চারঘাট প্রতিনিধি
চারঘাট উপজেলার মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধান ও গম। কৃষকেরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন ফসলের খেতে। তবে অনেক কৃষক পাখি ও ইঁদুর থেকে ফসল রক্ষায় ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন। এতে ফসল রক্ষা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি। ফসলের সুরক্ষা দেওয়া শেষে পলিথিনগুলো জমিতে পড়ে থাকছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নিমপাড়া, শলুয়া, সরদহসহ সব কটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধান ও গমের জমিতে বাঁশের ছোট ছোট খুঁটির মাথায় বাঁধা রয়েছে বিভিন্ন রঙের পলিথিন। জমিতে শত শত পলিথিন বাঁধা বাঁশের লাঠি পোঁতা রয়েছে। দূর থেকে মনে হবে সাদা বক বসে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধান রোপণের পর খেতে পাখি বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। এ জন্য জমিতে পলিথিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যাতে পাখি ভয়ে না বসে। তাঁরা জানান, বক, শালিক, মাছরাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধানের জমিতে বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। আবার অনেক জমিতে এখন গম পরিপক্ব হচ্ছে। ইঁদুর গমের দানা খেয়ে ফেলছে। এ জন্য তাঁরা পলিথিন টাঙিয়ে রোধ করার চেষ্টা করছেন।
অথচ কৃষিবিদেরা বলছেন, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। এটি মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে।
ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘পাখির অত্যাচারে খেতে পলিথিন দিয়েছি।’ পলিথিন তো খুবই ক্ষতিকারক, তবু কেন ব্যবহার করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তো কেউ আমাকে বলেনি। আমি মূর্খ মানুষ, এত কিছু জানি না।’
শলুয়া গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিতে গম করেছি। অথচ ইঁদুর খেয়ে ফেলছে। এ জন্য বাধ্য হয়ে পলিথিন টাঙিয়েছি। বাতাসের সঙ্গে পলিথিন উড়লে শব্দের সৃষ্টি হয়। তখন ইঁদুর পালিয়ে যায়। এতে ভালো ফল পাচ্ছি, তবে পলিথিন জমির ক্ষতি করবে, এটা জানতাম না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ‘ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। পাখি বসার জন্য জমিতে কাঠ ও বাঁশের লাঠি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল ভালো রাখে। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে পাখি ও ইঁদুরের পরিমাণ বেশি থাকায় পলিথিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এটা করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের সচেতন করা হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ফসলি জমিতে ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ, পলিথিন সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। তাই এ বিষয়ে এখনই কৃষকদের সচেতন করা উচিত।
চারঘাট উপজেলার মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধান ও গম। কৃষকেরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন ফসলের খেতে। তবে অনেক কৃষক পাখি ও ইঁদুর থেকে ফসল রক্ষায় ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন। এতে ফসল রক্ষা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি। ফসলের সুরক্ষা দেওয়া শেষে পলিথিনগুলো জমিতে পড়ে থাকছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নিমপাড়া, শলুয়া, সরদহসহ সব কটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধান ও গমের জমিতে বাঁশের ছোট ছোট খুঁটির মাথায় বাঁধা রয়েছে বিভিন্ন রঙের পলিথিন। জমিতে শত শত পলিথিন বাঁধা বাঁশের লাঠি পোঁতা রয়েছে। দূর থেকে মনে হবে সাদা বক বসে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধান রোপণের পর খেতে পাখি বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। এ জন্য জমিতে পলিথিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যাতে পাখি ভয়ে না বসে। তাঁরা জানান, বক, শালিক, মাছরাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধানের জমিতে বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। আবার অনেক জমিতে এখন গম পরিপক্ব হচ্ছে। ইঁদুর গমের দানা খেয়ে ফেলছে। এ জন্য তাঁরা পলিথিন টাঙিয়ে রোধ করার চেষ্টা করছেন।
অথচ কৃষিবিদেরা বলছেন, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। এটি মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে।
ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘পাখির অত্যাচারে খেতে পলিথিন দিয়েছি।’ পলিথিন তো খুবই ক্ষতিকারক, তবু কেন ব্যবহার করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তো কেউ আমাকে বলেনি। আমি মূর্খ মানুষ, এত কিছু জানি না।’
শলুয়া গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিতে গম করেছি। অথচ ইঁদুর খেয়ে ফেলছে। এ জন্য বাধ্য হয়ে পলিথিন টাঙিয়েছি। বাতাসের সঙ্গে পলিথিন উড়লে শব্দের সৃষ্টি হয়। তখন ইঁদুর পালিয়ে যায়। এতে ভালো ফল পাচ্ছি, তবে পলিথিন জমির ক্ষতি করবে, এটা জানতাম না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ‘ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। পাখি বসার জন্য জমিতে কাঠ ও বাঁশের লাঠি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল ভালো রাখে। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে পাখি ও ইঁদুরের পরিমাণ বেশি থাকায় পলিথিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এটা করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের সচেতন করা হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ফসলি জমিতে ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ, পলিথিন সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। তাই এ বিষয়ে এখনই কৃষকদের সচেতন করা উচিত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে