বই আছে থরে থরে কমতি কেবল পাঠকের

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৮: ৩৭
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৩১

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি গণগ্রন্থাগার এখন পাঠক শূন্য। বই আছে থরে থরে কমতি কেবল পাঠকের। খুব একটা দেখা মেলেনা বই প্রেমীদের। গ্রন্থাগার একেবারেই নিস্তব্ধ। কোনো কোলাহল নেই, ভিড় নেই, বই প্রেমীদের আড্ডা নেই।

গ্রন্থাগারের চারদিকে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। এক অদ্ভুত পরিবেশ। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার একেএম কলেজে অবস্থিত সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একে মেমোরিয়াল কলেজে অবস্থিত গ্রন্থাগারটি কলেজ খোলা থাকলে কিছু পাঠক হয়। উপজেলার এই সরকারি গণগ্রন্থাগারটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৩ সালের ৮ জুন। গণগ্রন্থাগারটি পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০১৫ সালের ১৬ মে।

সরকারি গণগ্রন্থাগার সূত্রে জানা যায়, গ্রন্থাগারটি পাঠকদের জন্য উন্মুক্তের পর কয়েক বছর বেশ ভালো পাঠক ছিল। সেই সময়ে পাঠকের আনাগোনায় মুখরিত ছিল গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ। উপজেলার সরকারি গণগ্রন্থাগারটিতে সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৬৭৯টি গ্রন্থ রয়েছে।

এর মধ্যে বাংলায় প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬টি আর ইংরেজিতে প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে ২১৩টি। গল্প, উপন্যাস, কবিতার বই, শিশুতোষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই, শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা বই, ইতিহাস, ধর্মীয় বই, সংগীতের বই, শরীর চর্চার বই, মনোবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভূগোল, দর্শন সহ আরও অনেক রকম বই আছে এই গ্রন্থাগারে।

এ ছাড়া প্রতিদিনের সংবাদপত্রতো আছেই। এখানে রয়েছে এক সঙ্গে বসে ১০০ জনের অধিক পাঠক বই পড়ার মতো বিশাল লাইব্রেরি।

এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও কেন পাঠক নেই গ্রন্থাগারে এর উত্তর জানা নেই গ্রন্থাগার সংশ্লিষ্টদের। উপজেলার সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. আঃ রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘদিন গ্রন্থাগারটি বন্ধ থাকায় এমন অবস্থা হয়েছে। গ্রন্থাগারে পাঠক বৃদ্ধির জন্য উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়। খুব শিগগিরই আমরা পাঠক বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোরালো পদক্ষেপ নিব।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা আজকের পত্রিকাকে জানান, উপজেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা সরকারের একটি মহৎ উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হলে নতুন নতুন পাঠক তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, এখনকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের প্রতি আসক্তি বেড়েছে। ডিভাইসের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে তাদের ফেরাতে হবে। তাদেরকে বই মুখি করতে পারইলেই সেটা সম্ভব হবে। উপজেলার সরকারি গণগ্রন্থাগারে পাঠক বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইতিমধ্যে আমি উপজেলা সহকারী লাইব্রেরিয়ানকে নির্দেশনা দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত