নাজিম আল শমষের, ঢাকা
অনুমোদন পাওয়ার আগেই ইংল্যান্ড থেকে আনা ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছিল। দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল বল। রীতিমতো চমকে দিয়েই ঘোষণা এসেছিল দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের প্রথম ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট উইমেনস সুপার লিগ বা ডব্লিউএসএলের।
পাঁচ তারকা হোটেলে দুই অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে একাধিক জাঁকালো অনুষ্ঠান করে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টস মেয়েদের ফুটবলকে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখিয়ে এখন যেন আড়ালে। গত মার্চে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে ঘোষণা এসেছিল ডব্লিউএসএলের। ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবলের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছিলেন, ১৫ মে শুরু হবে ডব্লিউএসএল। ১ মে প্লেয়ার ড্রাফটের কথা থাকলেও সেদিন উন্মোচন করা হয় ট্রফি। বলা হয়েছিল, ডব্লিউএসএল নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে ১৩ মে।
১৩ মে পার হয়েছে আগেই। কবে শুরু ডব্লিউএসএল, শেষ পর্যন্ত হবে কি না—এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরই খুঁজে পাওয়া যায়নি কে-স্পোর্টস আর বাফুফের কাছ থেকে। বলা হয়েছিল, খেলা হবে বসুন্ধরার মাঠ কিংস অ্যারেনায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা এই টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ায় তৈরি হয় মাঠ নিয়ে জটিলতা। সেখান থেকেই মূলত আর টুর্নামেন্ট করার মতো উপযুক্ত মাঠ খুঁজে পায়নি কে-স্পোর্টস।
ডব্লিউএসএল আদৌ হবে কি না—এই প্রশ্ন আছে খোদ বাফুফেরই। বাফুফের এক কর্মকর্তার দাবি, এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে হলে অন্তত এক বছরের প্রস্তুতির প্রয়োজন। কিন্তু কে-স্পোর্টস পূর্ব কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই পাঁচ তারকা হোটেলে যে দুটি অনুষ্ঠান করেছে, পুরোটাই একরকম লোকদেখানো! ডব্লিউএসএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি সেই কর্মকর্তার।
ডব্লিউএসএল নিয়ে গত মাস পর্যন্ত অন্ধকারে ছিলেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। বাফুফের অনুমোদন ছাড়া শুধু সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও মাহফুজা আক্তার কিরণের মৌখিক অনুমোদন নিয়েই এত দূর এসেছেন কে-স্পোর্টসের চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম। মাহফুজা আক্তার কিরণ শুরু থেকেই ছিলেন ডব্লিউএসএল নিয়ে প্রচারণার সঙ্গে জড়িত।
এই মাসের শুরুতে নির্বাহী কমিটিতে ডব্লিউএসএল অনুমোদন পেলেও সেই সভায় রীতিমতো তোপের মুখে পড়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন ও কিরণ। অনুমোদন পেলেও টুর্নামেন্ট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বাফুফের একজন সহসভাপতি। কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন কে-স্পোর্টসের সঙ্গে বাফুফের আগের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। বাফুফে সূত্র জানায়, প্রভাবশালী সেই সহসভাপতির আপত্তির কারণেই ডব্লিউএসএল আয়োজনের ব্যাপারে বাফুফে থেকে কোনো সবুজ সংকেত পায়নি কে-স্পোর্টস।
ডব্লিউএসএলের অগ্রগতি জানতে যোগাযোগ করা হয় কিরণের সঙ্গে। ‘ফাহাদ করিমের সঙ্গে কথা বলুন’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন। ফাহাদ করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। যদিও গত সপ্তাহে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন, ডব্লিউএসএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বাকি দুটি দলের দ্রুতই ব্যবস্থা হয়ে যাবে—ফাহাদ করিমকে এমনই আশাবাদী দেখা গিয়েছিল। ডব্লিউএসএল নিয়ে বাফুফের শঙ্কা নিয়ে ফাহাদ বলেছিলেন, ‘বাফুফের এখানে কোনো ভূমিকা নেই। এটা অপেশাদার টুর্নামেন্ট। বাফুফে উল্টো আমাদের কাছ থেকে টাকা পাবে।’ জাতীয় আর আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের নিয়ে হওয়া একটি টুর্নামেন্ট কীভাবে ‘অপেশাদার’ হয় আর বাফুফের ভূমিকা না থাকলে কিরণ ডব্লিউএসএলে কোন ভূমিকায় আছেন, সেটি নিয়েও আছে প্রশ্ন।
টুর্নামেন্টের জন্য বিভিন্ন মহাদেশের খেলোয়াড় আনার ঘোষণা দিলেও বাফুফের সূত্র থেকে জানা গেছে, শুধু নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের রাজি করাতে পেরেছে কে-স্পোর্টস। কিংস অ্যারেনা না পাওয়ায় বিকল্প ধরা হয়েছিল মানহীন টার্ফ ও নোংরা পরিবেশের জন্য বিতর্কিত কমলাপুর স্টেডিয়াম। ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে নারীদের ফিফা উইন্ডো। প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রস্তুতি শুরু হলে ডব্লিউএসএল পাবে না বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদেরও।
অনুমোদন পাওয়ার আগেই ইংল্যান্ড থেকে আনা ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছিল। দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল বল। রীতিমতো চমকে দিয়েই ঘোষণা এসেছিল দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের প্রথম ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট উইমেনস সুপার লিগ বা ডব্লিউএসএলের।
পাঁচ তারকা হোটেলে দুই অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে একাধিক জাঁকালো অনুষ্ঠান করে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টস মেয়েদের ফুটবলকে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখিয়ে এখন যেন আড়ালে। গত মার্চে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে ঘোষণা এসেছিল ডব্লিউএসএলের। ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবলের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছিলেন, ১৫ মে শুরু হবে ডব্লিউএসএল। ১ মে প্লেয়ার ড্রাফটের কথা থাকলেও সেদিন উন্মোচন করা হয় ট্রফি। বলা হয়েছিল, ডব্লিউএসএল নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে ১৩ মে।
১৩ মে পার হয়েছে আগেই। কবে শুরু ডব্লিউএসএল, শেষ পর্যন্ত হবে কি না—এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরই খুঁজে পাওয়া যায়নি কে-স্পোর্টস আর বাফুফের কাছ থেকে। বলা হয়েছিল, খেলা হবে বসুন্ধরার মাঠ কিংস অ্যারেনায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা এই টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ায় তৈরি হয় মাঠ নিয়ে জটিলতা। সেখান থেকেই মূলত আর টুর্নামেন্ট করার মতো উপযুক্ত মাঠ খুঁজে পায়নি কে-স্পোর্টস।
ডব্লিউএসএল আদৌ হবে কি না—এই প্রশ্ন আছে খোদ বাফুফেরই। বাফুফের এক কর্মকর্তার দাবি, এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে হলে অন্তত এক বছরের প্রস্তুতির প্রয়োজন। কিন্তু কে-স্পোর্টস পূর্ব কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই পাঁচ তারকা হোটেলে যে দুটি অনুষ্ঠান করেছে, পুরোটাই একরকম লোকদেখানো! ডব্লিউএসএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি সেই কর্মকর্তার।
ডব্লিউএসএল নিয়ে গত মাস পর্যন্ত অন্ধকারে ছিলেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। বাফুফের অনুমোদন ছাড়া শুধু সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও মাহফুজা আক্তার কিরণের মৌখিক অনুমোদন নিয়েই এত দূর এসেছেন কে-স্পোর্টসের চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম। মাহফুজা আক্তার কিরণ শুরু থেকেই ছিলেন ডব্লিউএসএল নিয়ে প্রচারণার সঙ্গে জড়িত।
এই মাসের শুরুতে নির্বাহী কমিটিতে ডব্লিউএসএল অনুমোদন পেলেও সেই সভায় রীতিমতো তোপের মুখে পড়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন ও কিরণ। অনুমোদন পেলেও টুর্নামেন্ট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বাফুফের একজন সহসভাপতি। কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন কে-স্পোর্টসের সঙ্গে বাফুফের আগের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। বাফুফে সূত্র জানায়, প্রভাবশালী সেই সহসভাপতির আপত্তির কারণেই ডব্লিউএসএল আয়োজনের ব্যাপারে বাফুফে থেকে কোনো সবুজ সংকেত পায়নি কে-স্পোর্টস।
ডব্লিউএসএলের অগ্রগতি জানতে যোগাযোগ করা হয় কিরণের সঙ্গে। ‘ফাহাদ করিমের সঙ্গে কথা বলুন’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন। ফাহাদ করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। যদিও গত সপ্তাহে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন, ডব্লিউএসএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বাকি দুটি দলের দ্রুতই ব্যবস্থা হয়ে যাবে—ফাহাদ করিমকে এমনই আশাবাদী দেখা গিয়েছিল। ডব্লিউএসএল নিয়ে বাফুফের শঙ্কা নিয়ে ফাহাদ বলেছিলেন, ‘বাফুফের এখানে কোনো ভূমিকা নেই। এটা অপেশাদার টুর্নামেন্ট। বাফুফে উল্টো আমাদের কাছ থেকে টাকা পাবে।’ জাতীয় আর আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের নিয়ে হওয়া একটি টুর্নামেন্ট কীভাবে ‘অপেশাদার’ হয় আর বাফুফের ভূমিকা না থাকলে কিরণ ডব্লিউএসএলে কোন ভূমিকায় আছেন, সেটি নিয়েও আছে প্রশ্ন।
টুর্নামেন্টের জন্য বিভিন্ন মহাদেশের খেলোয়াড় আনার ঘোষণা দিলেও বাফুফের সূত্র থেকে জানা গেছে, শুধু নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের রাজি করাতে পেরেছে কে-স্পোর্টস। কিংস অ্যারেনা না পাওয়ায় বিকল্প ধরা হয়েছিল মানহীন টার্ফ ও নোংরা পরিবেশের জন্য বিতর্কিত কমলাপুর স্টেডিয়াম। ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে নারীদের ফিফা উইন্ডো। প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রস্তুতি শুরু হলে ডব্লিউএসএল পাবে না বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদেরও।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে