আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের বদরগঞ্জে ঘৃনই নদীর পুনঃখনন কাজে সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালির কারণে বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন চলমান এ প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করতে গিয়ে খনন করা মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতীরবর্তী ফসলের জমিতে। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে অর্ধশতাধিক কৃষকের ফসল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ঠিকাদার থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফসল নষ্ট করে নদীর খননকাজ চলতে পারে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রংপুরের প্রকল্প কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।’
কিন্তু রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলছেন, নদী খনন হলে কৃষকেরাই উপকৃত হবেন। তাই তাঁদের একটু ক্ষতি মেনে নিতে হবে।
আর বদরগঞ্জের অতিরিক্ত উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেছেন, এক বছর আগে মাইকিং করে নদীর পাশের জমিতে ফসল না লাগাতে বলা হয়েছে। কৃষকেরা সেই নির্দেশনা মানেননি। তাই ফসলের ক্ষতি হলেও করার কিছুই নেই।
ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের অধীন ঘৃনই নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে পুনঃখনন করা হচ্ছে। ১২ প্যাকেজে ১০ জন ঠিকাদার এ কাজ করছেন। দুটি প্যাকেজে প্রায় ৭০ লাখ টাকায় খাগড়াবন্দের ঠাঠারীপাড়া থেকে সুপারির ঘাট পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ মিটার খননের কাজ পেয়েছেন রাজশাহীর ঠিকাদার ফিরোজ কবীর। অভিযোগ উঠেছে, চুক্তিতে এই কাজ মোস্তাক আলী খন্দকার ডালিম নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ফিরোজ। তিনি নিজে কাজ তদারক করেন না। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামও সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন না।
এ সুযোগে ডালিম প্রকল্পের পরিকল্পনা না মেনেই খনন করে চলেছেন। গত সপ্তাহে খাগড়াবন্দ ঠাঠারীপাড়া এলাকায় দেখা যায়, চারটি
এক্সকেভেটর দিয়ে নদীর মাটি তুলে ফেলা হচ্ছে তীরবর্তী সরিষা ও আলুখেতে। এ নিয়ে কথা বলার জন্য দায়িত্বশীল কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
কথা হয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ মণ্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক বাদল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, এক মাস পরেই আলুগুলো ঘরে তোলা যেত। খনন করার জন্য সময় আছে আরও ছয় মাস। কিন্তু তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে গিয়ে ঠিকাদার যা ইচ্ছা তাই করছেন। বাদল ও তাঁর তিন ভাইয়ের দেড় বিঘা আলুখেতের ওপর খননের মাটি ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষুব্ধ। কাজ বন্ধ করতে গেলে ঠিকাদার তাঁদের পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার ডালিম বলেন, পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করলে অনেকের জমিও কাটা পড়বে। কাজে বাধা আসবে। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদের নির্দেশে যেখানে যেভাবে সুবিধা হচ্ছে সেভাবে কাজ করছেন বলেও দাবি করেন ডালিম। কৃষকদের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ কিনে নিয়েছি। কারও ক্ষতি হলে আমার কিছু করার নেই।’ মূল ঠিকাদার ফিরোজ কবীর অবশ্য কাজ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কোনো উপায় না পেয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে গত ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা ইউএনওকে চিঠি দিয়েছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখবেন।
রংপুরের বদরগঞ্জে ঘৃনই নদীর পুনঃখনন কাজে সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালির কারণে বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন চলমান এ প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করতে গিয়ে খনন করা মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতীরবর্তী ফসলের জমিতে। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে অর্ধশতাধিক কৃষকের ফসল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ঠিকাদার থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফসল নষ্ট করে নদীর খননকাজ চলতে পারে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রংপুরের প্রকল্প কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।’
কিন্তু রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলছেন, নদী খনন হলে কৃষকেরাই উপকৃত হবেন। তাই তাঁদের একটু ক্ষতি মেনে নিতে হবে।
আর বদরগঞ্জের অতিরিক্ত উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেছেন, এক বছর আগে মাইকিং করে নদীর পাশের জমিতে ফসল না লাগাতে বলা হয়েছে। কৃষকেরা সেই নির্দেশনা মানেননি। তাই ফসলের ক্ষতি হলেও করার কিছুই নেই।
ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের অধীন ঘৃনই নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে পুনঃখনন করা হচ্ছে। ১২ প্যাকেজে ১০ জন ঠিকাদার এ কাজ করছেন। দুটি প্যাকেজে প্রায় ৭০ লাখ টাকায় খাগড়াবন্দের ঠাঠারীপাড়া থেকে সুপারির ঘাট পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ মিটার খননের কাজ পেয়েছেন রাজশাহীর ঠিকাদার ফিরোজ কবীর। অভিযোগ উঠেছে, চুক্তিতে এই কাজ মোস্তাক আলী খন্দকার ডালিম নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ফিরোজ। তিনি নিজে কাজ তদারক করেন না। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামও সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন না।
এ সুযোগে ডালিম প্রকল্পের পরিকল্পনা না মেনেই খনন করে চলেছেন। গত সপ্তাহে খাগড়াবন্দ ঠাঠারীপাড়া এলাকায় দেখা যায়, চারটি
এক্সকেভেটর দিয়ে নদীর মাটি তুলে ফেলা হচ্ছে তীরবর্তী সরিষা ও আলুখেতে। এ নিয়ে কথা বলার জন্য দায়িত্বশীল কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
কথা হয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ মণ্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক বাদল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, এক মাস পরেই আলুগুলো ঘরে তোলা যেত। খনন করার জন্য সময় আছে আরও ছয় মাস। কিন্তু তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে গিয়ে ঠিকাদার যা ইচ্ছা তাই করছেন। বাদল ও তাঁর তিন ভাইয়ের দেড় বিঘা আলুখেতের ওপর খননের মাটি ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষুব্ধ। কাজ বন্ধ করতে গেলে ঠিকাদার তাঁদের পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার ডালিম বলেন, পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করলে অনেকের জমিও কাটা পড়বে। কাজে বাধা আসবে। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদের নির্দেশে যেখানে যেভাবে সুবিধা হচ্ছে সেভাবে কাজ করছেন বলেও দাবি করেন ডালিম। কৃষকদের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ কিনে নিয়েছি। কারও ক্ষতি হলে আমার কিছু করার নেই।’ মূল ঠিকাদার ফিরোজ কবীর অবশ্য কাজ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কোনো উপায় না পেয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে গত ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা ইউএনওকে চিঠি দিয়েছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে