নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় আলুর ক্রমাগত দরপতনে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করে মোট খরচের অর্ধেকও উঠছে না। ফলে এখনো হিমাগারে পড়ে আছে সংরক্ষণ করা সিংহভাগ আলু। এ অবস্থায় তাঁরা সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সরেজমিনে বেশ কয়েকটি হিমাগারে দেখা গেছে, মৌসুম শেষের দিকে হলেও এখনো রয়ে গেছে প্রায় ৬০ ভাগ আলু। দেখা মিলছে না ক্রেতাদের। আলু বিক্রি করতে না পেরে হিমাগারের সামনে বসে কৃষকেরা হাহাকার করছেন। দরপতনে হতাশ হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।
চাষিরা বলছেন, উৎপাদন ও সংরক্ষণ খরচের পর এখন বড় লোকসানে তাঁরা। বর্তমান দরে আলু বিক্রি করে খরচের অর্ধেকও আসছে না। অথচ গত বছরের এই সময়ে হিমাগারে সংরক্ষণকৃত আলু বিক্রি নিয়ে তাঁদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভালো দামের আশায় মৌসুমের শুরুতে আলু বিক্রি না করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু মজুত করেন। কিন্তু এখন ভালো দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সবাই। পুঁজি হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উৎপাদন ও হিমাগারের ব্যয় মিলিয়ে প্রকার ভেদে প্রতি বস্তা (৬০ কেজি) আলুতে খরচ পড়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বস্তা প্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
আলুচাষি আফরাফুল মণ্ডল বলেন, ‘এ বছর আলুর দাম খুবই কম। চাষের খরচও উঠছে না। যে আলু গত বছর ৫০ টাকা কেচি বিক্রি করেছি, সেই আলু বর্তমানে ১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। হিমাগারের ভাড়া দিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। দাম কমের কারণে অনেকে আলু হিমাগার থেকে তুলতেই আসছেন না।’
আলু ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, ‘একদম পথে বসে গেছি। ২৪ টাকা কেজি আলু কিনে হিমাগারে রেখেছিলাম। এখন বিক্রি করছি ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি। গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু এবার লোকসান ঠেকাতে সরকারের কোনো নজরদারি নেই।’
আরেক আলু ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম জানান, বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাপে থাকার কারণে এখন দাম কম হওয়ায় সত্ত্বেও আলু বিক্রি করছেন। এ কারণে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সরকারিভাবে হিমাগার থেকে আলু কিনে রপ্তানির উদ্যোগ নিলে নিঃস্ব হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন তাঁরা।
হিমাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক দিন পরেই আলু সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অথচ হিমাগারে সংরক্ষিত আলু উত্তোলনে আগ্রহ নেই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, বেশি দামের আশায় কৃষকেরা আলু বিক্রি না করে হিমাগারে মজুত করেছেন। সবাই যখন একসঙ্গে হিমাগার থেকে আলু বের করে বিক্রি করতে যাচ্ছেন, তখন বাজারে দাম কমে গেছে। এ ছাড়া শুরুর দিকে দাম ঠিকই ছিল। মজুত করার কারণে দাম কমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আলু চাষে কৃষকেরা যেন আগ্রহ না হারায় সে জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নওগাঁয় আলুর ক্রমাগত দরপতনে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করে মোট খরচের অর্ধেকও উঠছে না। ফলে এখনো হিমাগারে পড়ে আছে সংরক্ষণ করা সিংহভাগ আলু। এ অবস্থায় তাঁরা সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সরেজমিনে বেশ কয়েকটি হিমাগারে দেখা গেছে, মৌসুম শেষের দিকে হলেও এখনো রয়ে গেছে প্রায় ৬০ ভাগ আলু। দেখা মিলছে না ক্রেতাদের। আলু বিক্রি করতে না পেরে হিমাগারের সামনে বসে কৃষকেরা হাহাকার করছেন। দরপতনে হতাশ হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।
চাষিরা বলছেন, উৎপাদন ও সংরক্ষণ খরচের পর এখন বড় লোকসানে তাঁরা। বর্তমান দরে আলু বিক্রি করে খরচের অর্ধেকও আসছে না। অথচ গত বছরের এই সময়ে হিমাগারে সংরক্ষণকৃত আলু বিক্রি নিয়ে তাঁদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভালো দামের আশায় মৌসুমের শুরুতে আলু বিক্রি না করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু মজুত করেন। কিন্তু এখন ভালো দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সবাই। পুঁজি হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উৎপাদন ও হিমাগারের ব্যয় মিলিয়ে প্রকার ভেদে প্রতি বস্তা (৬০ কেজি) আলুতে খরচ পড়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বস্তা প্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
আলুচাষি আফরাফুল মণ্ডল বলেন, ‘এ বছর আলুর দাম খুবই কম। চাষের খরচও উঠছে না। যে আলু গত বছর ৫০ টাকা কেচি বিক্রি করেছি, সেই আলু বর্তমানে ১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। হিমাগারের ভাড়া দিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। দাম কমের কারণে অনেকে আলু হিমাগার থেকে তুলতেই আসছেন না।’
আলু ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, ‘একদম পথে বসে গেছি। ২৪ টাকা কেজি আলু কিনে হিমাগারে রেখেছিলাম। এখন বিক্রি করছি ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি। গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু এবার লোকসান ঠেকাতে সরকারের কোনো নজরদারি নেই।’
আরেক আলু ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম জানান, বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাপে থাকার কারণে এখন দাম কম হওয়ায় সত্ত্বেও আলু বিক্রি করছেন। এ কারণে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সরকারিভাবে হিমাগার থেকে আলু কিনে রপ্তানির উদ্যোগ নিলে নিঃস্ব হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন তাঁরা।
হিমাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক দিন পরেই আলু সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অথচ হিমাগারে সংরক্ষিত আলু উত্তোলনে আগ্রহ নেই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, বেশি দামের আশায় কৃষকেরা আলু বিক্রি না করে হিমাগারে মজুত করেছেন। সবাই যখন একসঙ্গে হিমাগার থেকে আলু বের করে বিক্রি করতে যাচ্ছেন, তখন বাজারে দাম কমে গেছে। এ ছাড়া শুরুর দিকে দাম ঠিকই ছিল। মজুত করার কারণে দাম কমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আলু চাষে কৃষকেরা যেন আগ্রহ না হারায় সে জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে