ইন্টারনেটভিত্তিক বিশ্বে ঘরে বসেই নানান শিক্ষামূলক সাইট ও অ্যাপস থেকে পছন্দের বিষয় জানা যাচ্ছে। এসব অ্যাপস শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিজ্ঞান, আর্টসহ নানা বিষয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করছে। এমন ৫টি অ্যাপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে ৫টি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেগুলো হলো–  

বার্টেলবাই 
হোমওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্টে সহায়তা করার জন্য একটি কার্যকরী অ্যাপ হলো বার্টেলবাই। এর মাধ্যমে সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, ম্যাথ, বিজনেস, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের যেকোনো প্রশ্ন লিখে, ছবি তুলে কিংবা স্ক্যান করে সহজেই উত্তর খুঁজে নেওয়া যায়। বার্টেলবাই শিক্ষার্থীর যেকোনো প্রশ্ন করার ৩০ মিনিটের মধ্যে এর সমাধান খুঁজে দেবে। এখানে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করে সমস্যার সমাধান দিয়ে অর্থ উপার্জনও কতে পারবে। 

স্কিলশেয়ার 
স্কিলশেয়ার একটি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে শিক্ষার্থী দক্ষ ও পেশাদারদের মাধ্যমে বিজনেস, ডিজাইন, সায়েন্স, ফটোগ্রাফি, গেমিং টেকনোলজি, মিউজিক, রাইটিং, ফ্যাশনসহ হাজারের বেশি কোর্সে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। স্কিলশেয়ারে প্রায় ২৬ হাজারের বেশি ক্লাস রয়েছে। প্রতিটি কোর্সের মধ্যে শিক্ষার্থীর প্রোগ্রেস সেভ করা হয়, যাতে শিক্ষার্থী তার অগ্রগতি বুঝতে পারে।

কুইলবোট
কুইলবোট একটি জনপ্রিয় প্যারাফ্রেজিং অ্যাপ। ইংরেজি গ্রামার কারেকশন, বানান, বিরামচিহ্ন, ওয়ার্ড মিসিউজসহ নানা ধরনের ভুল সংশোধন করে শিক্ষার্থীর লেখাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করবে। অ্যাপটির প্লেজিয়ারিজম টুলের মাধ্যমে যেকোনো লেখার অথোরশিপ সহজেই জেনে নিতে পারবে। বর্তমানে কুইলবোট সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে। 

ইউডেমি
ইউডেমি বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় একটি অনলাইন টিচিং প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ভাষায় ইউডেমি শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লাখের বেশি কোর্স অফার করে থাকে। এখানে শিক্ষার্থী বিনা খরচে বিভিন্ন কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। দক্ষ মেন্টরদের সরাসরি গাইডেন্সে কোডিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ড্রয়িং, বিজনেস, মিউজিক, ফটোগ্রাফি, পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট, লিডারশিপ স্কিলসহ বিভিন্ন কোর্সে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। ইউডেমিতে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের মাধ্যমে একজন ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে ক্লাসও নিতে পারবেন।

কুইজলেট
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য জনপ্রিয় একটি ই-লার্নিং ওয়েবসাইট হলো কুইজলেট। এখানে বিভিন্ন ধরনের লার্নিং টুলস ও ফ্ল্যাশকার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী লার্নিং মেথড চয়েস করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০ মিলিয়ন শিক্ষার্থী কুইজলেট ব্যবহার করে উপকার পাচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থী লার্নিং সেকশন থেকে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে শিখে; টেস্ট সেকশনে পরীক্ষা দিয়ে দক্ষতা যাচাই করতে পারবে। কুইজলেট লাইভ সেকশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে সরাসরি গেম খেলার মাধ্যমে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে।