চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেড়েছে শীতবস্ত্রের

ঠাকুরগাঁও ও পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৩৯
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৮

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে শীতের প্রকোপ বেশি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কাপড়ের দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। তবে শীতের কাপড়ের দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে কেনা পোশাক এখন কোনো কাজে লাগছে না। তাই তাঁরা আবারও ছুটছেন কনকনে শীত থেকে বাঁচতে ভারী পোশাকের সন্ধানে। আর ক্রেতাদের বেশি চাহিদা থাকার কারণে বিক্রেতারাও বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন।

পৌরসভার রেললাইনের পাশে ফুটপাতের এক দোকানের ক্রেতা বাঁধন বলেন, ‘ফ্যাশনের দরকার নাই। ভারী সোয়েটার লাগবে। এসব হালকা-পাতলা সোয়েটারে শীত মানে না।’ অস্বাভাবিক দাম হাঁকানোর অভিযোগ তোলেন তিনি আরও বলেন, ‘অনেকটা অসহায়ের মতোই দোকানির চাওয়া দামেই কিনে নিয়েছি পছন্দের একটি সোয়েটার। দুই সপ্তাহ আগেও যে পোশাক ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’

দোকানমালিক রানা বলেন, ‘বর্তমানে শীতের কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি।’ তিনি বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করলেও কয়েক দিন ধরে দাম একটু বেশিই বলে স্বীকার করেন।

ফুটপাতের হকার নুর আলী কম্বল বিক্রি করেন। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কম্বল বিক্রি হচ্ছে। পাতলা কম্বল বিক্রি হয় না বললেই চলে। এদিকে আগের তুলনায় কম্বলের দাম বেশি বলে দাবি করেছেন পৌর শহরের মানিক। তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে আমি ১ হাজার ৬৮০ টাকায় একটি কম্বল কিনেছিলেন। সেই কম্বলই দোকানি ৩ হাজার ৫০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানি। অনেক অনুরোধ করায় ৩ হাজার ৩০০ টাকায় কম্বলটি কিনতে পেরেছি।’

গত মঙ্গলবার ঢাকাই পট্টি মার্কেটে শীতের জামা কিনতে যান গৃহবধূ রোজিনা বেগম। সঙ্গে ১৩ বছরের মেয়ে জেমি। শীতের শুরুতে কিছু পোশাক কিনেছিলেন। কিন্তু শীতের তীব্রতায় সেসব পোশাক কোনো কাজে লাগছে না। রোজিনা বলেন, ‘দোকানে দোকানে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। আর এই সুযোগে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও যে কাপড় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় ছিল, এখন তা হাজার টাকার কমে দিতেই চাচ্ছেন না বিক্রেতারা।’

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, জেলায় কয়েক দিন ধরে কুয়াশা আর শীত জেঁকে বসেছে। ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর সূর্য উঠলেও রোদ বেশিক্ষণ থাকছে না। এতে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন।

গতকাল বুধবার পৌর শহরের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বড় মাঠের সামনের হকার্স মার্কেটে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তাঁরা প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন সেখান থেকে। কাপড় কিনতে আসা পৌর শহরের হাজীপাড়া মহল্লার সুমি আক্তার জানান, এখানে বাচ্চার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত