রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
ফুলকপি ও বাঁধাকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি। অথচ গ্রীষ্মকালেও এখন চাষ হচ্ছে এ সবজির। মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অসময়ে এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। খরচ বেশি হলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান হন তাঁরা। এবারও বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া, শিবপুর, শুভরাজপুর ষৌলমারি এবং গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, গাড়াডোবা, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ আবার খেত থেকে কপি তুলছেন। গ্রীষ্মকালের এ সময়ে চাষিরা সাধারণত বাঁধাকপির ট্রপিক্যাল কুইক, সুপার সান, নামধারী এন এস ফরটি থ্রি ও ফুলকপির সামার হোয়াইট, মুক্তি, লিডার জাতের কপির আবাদ করেন। এ সময়ে এসব ফসল আবাদে খরচ বেড়ে যায়। কারণ অসময়ে কপি উৎপাদন করতে প্রচুর সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। ফলে চলতি মৌসুমে কপি আবাদে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। এরপরও আবহাওয়া ভালো থাকায় লাভের আশা কৃষকের।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি এবং ফুলকপির আবাদ হয়েছে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে।
মেহেরপুর শহরের শেখপাড়ার কৃষক পুলক বলেন, ‘আমি এবার শেখপাড়ার একটি মাঠে ১৮ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা কপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে চলতি মৌসুমে খরচ বাড়ায় লাভের অঙ্কটা কিছুটা কমেছে। হঠাৎ করে দাম কমে গেলে লোকসানে পড়তে হয় চাষিদের। ফলে এ সময়ে সবজির আবাদ করে অনেক সময় ঝুঁকিতে পড়তে হয়।’
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অসময়ে কপির আবাদ করতে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় অতিবৃষ্টির কারণে। তা ছাড়া পোকার আক্রমণ বেশি থাকে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি করতে হয়। ফলে শীতকালে যে কপি আবাদ করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, সেই কপি গ্রীষ্মকালে আবাদ করতে গেলে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমি এবার ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। বৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘১ বিঘা জমিতে কপি আবাদে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেখানে বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকায়।’
সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কৃষক সেলিম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমি ২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করেছি। যদিও তেল, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় এবার আবাদে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। দুই বিঘা জমির কপি এখন বিক্রির উপযোগী। ব্যবসায়ীরা জমিতে আসছেন। আশা করি, জমি থেকেই কপি বিক্রি হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমির কপির দাম বলেছি ২ লাখ ৪০ হাজার টকা। ব্যবসায়ীরা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম বলেছেন।
আর কিছুদিন অপেক্ষা করে ২ লাখ টাকা দাম হলে কপিগুলো বিক্রি করে দেব। আশা করি, মোটা অঙ্কের লাভ করতে পারব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য) এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘অসময়ে বাঁধাকপি ও ফুলকপি আবাদ করা একটু কঠিন। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিশেষ করে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে কীভাবে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা যায়। কৃষকেরা এখন অনেক সতর্ক। তাঁরাও চেষ্টা করেন অসময়ে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করে লাভবান হতে।’
ফুলকপি ও বাঁধাকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি। অথচ গ্রীষ্মকালেও এখন চাষ হচ্ছে এ সবজির। মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অসময়ে এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। খরচ বেশি হলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান হন তাঁরা। এবারও বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া, শিবপুর, শুভরাজপুর ষৌলমারি এবং গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, গাড়াডোবা, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ আবার খেত থেকে কপি তুলছেন। গ্রীষ্মকালের এ সময়ে চাষিরা সাধারণত বাঁধাকপির ট্রপিক্যাল কুইক, সুপার সান, নামধারী এন এস ফরটি থ্রি ও ফুলকপির সামার হোয়াইট, মুক্তি, লিডার জাতের কপির আবাদ করেন। এ সময়ে এসব ফসল আবাদে খরচ বেড়ে যায়। কারণ অসময়ে কপি উৎপাদন করতে প্রচুর সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। ফলে চলতি মৌসুমে কপি আবাদে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। এরপরও আবহাওয়া ভালো থাকায় লাভের আশা কৃষকের।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি এবং ফুলকপির আবাদ হয়েছে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে।
মেহেরপুর শহরের শেখপাড়ার কৃষক পুলক বলেন, ‘আমি এবার শেখপাড়ার একটি মাঠে ১৮ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা কপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে চলতি মৌসুমে খরচ বাড়ায় লাভের অঙ্কটা কিছুটা কমেছে। হঠাৎ করে দাম কমে গেলে লোকসানে পড়তে হয় চাষিদের। ফলে এ সময়ে সবজির আবাদ করে অনেক সময় ঝুঁকিতে পড়তে হয়।’
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অসময়ে কপির আবাদ করতে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় অতিবৃষ্টির কারণে। তা ছাড়া পোকার আক্রমণ বেশি থাকে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি করতে হয়। ফলে শীতকালে যে কপি আবাদ করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, সেই কপি গ্রীষ্মকালে আবাদ করতে গেলে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমি এবার ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। বৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘১ বিঘা জমিতে কপি আবাদে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেখানে বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকায়।’
সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কৃষক সেলিম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমি ২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করেছি। যদিও তেল, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় এবার আবাদে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। দুই বিঘা জমির কপি এখন বিক্রির উপযোগী। ব্যবসায়ীরা জমিতে আসছেন। আশা করি, জমি থেকেই কপি বিক্রি হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমির কপির দাম বলেছি ২ লাখ ৪০ হাজার টকা। ব্যবসায়ীরা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম বলেছেন।
আর কিছুদিন অপেক্ষা করে ২ লাখ টাকা দাম হলে কপিগুলো বিক্রি করে দেব। আশা করি, মোটা অঙ্কের লাভ করতে পারব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য) এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘অসময়ে বাঁধাকপি ও ফুলকপি আবাদ করা একটু কঠিন। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিশেষ করে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে কীভাবে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা যায়। কৃষকেরা এখন অনেক সতর্ক। তাঁরাও চেষ্টা করেন অসময়ে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করে লাভবান হতে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে