ঝরে পড়েছে সাড়ে ১১% পরীক্ষার্থী

রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ০৩
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৩

দেড় বছর পর আজ প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসছে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা। এই পরীক্ষায় নেই রাজশাহী বিভাগের ২৪ হাজার ৬৫৭ শিক্ষার্থী। মোট শিক্ষার্থীর হিসাবে এই হার ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ। নবম শ্রেণিতে এরা রেজিস্ট্রেশন করলেও এসএসসি পরীক্ষার জন্য তারা ফরমই পূরণ করেনি। এসএসসিতে এসে বিভাগের এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়ল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের আট জেলায় নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৫ জন এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিল। ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ ছাত্র এবং ৫ শতাংশ ছাত্রী ফরম পূরণ করেনি। গড়ে এই হার ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, এবার করোনার কারণে টেস্ট পরীক্ষা হয়নি। তাই ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ শিক্ষার্থী কোথায় সে বিষয়ে কোনো ধারণাও পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু তাঁরা এসএসসি দিচ্ছে না, তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে তাঁরা ঝরে পড়েছে।

বিভাগের আট জেলায় এবার মোট ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি দেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৯১৬ জন। আর ছাত্রী ৯৮ হাজার ৬৫২ জন। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৫ জন, অনিয়মিত ১৯ হাজার ৭৬১ জন। এ ছাড়া ২৬২ জন মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেবে।

বিভাগের আট জেলায় এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৮১ হাজার ২২৪ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭২৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১১ হাজার ৬১৯ জন পরীক্ষা দেবে। সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার ৭৫৮ জন পরীক্ষার্থী সিরাজগঞ্জে। এ ছাড়া বগুড়ায় ৩৫ হাজার ১৩৭ জন, রাজশাহীতে ৩৩ হাজার ৩১৭ জন, পাবনায় ৩০ হাজার ৪৮৫ জন, নওগাঁয় ২৫ হাজার ৯২৬ জন, নাটোরে ১৮ হাজার ২৩৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ হাজার ৬৮ জন এবং জয়পুরহাটে ৯ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এবার ২০২০ সালের চেয়ে বিভাগে পরীক্ষার্থী বেশি ৬ হাজার ৪৮৭ জন।

এ বছর আগেরবারের চেয়ে কেন্দ্রও বেড়েছে আটটি। এবার ২৬৮ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ৫২টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬টি, নাটোরে ২৬টি, নওগাঁয় ৩৯টি, পাবনায় ৩১টি, সিরাজগঞ্জে ৪৬টি, বগুড়ায় ৪১টি এবং জয়পুরহাটে ১৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে।

এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিভাবকদের না আসার জন্য বলেছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। করোনাকালে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোকবুল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে আমরা অভিভাবকদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি- তাঁরা যেন কেন্দ্রের সামনে ভিড় না করেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্র সচিবেরাও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।’

বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, পরীক্ষার জন্য এবার ১৭টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক আছেন। দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা চলাকালে তাঁরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ঝটিকা সফর করবেন। প্রশ্নফাঁসের মিথ্যা গুজব যেন কেউ না ছড়াতে পারে, সে বিষয়েও তাঁরা সতর্ক আছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত