সপ্তম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়ার শিবির থেকে আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ছেড়ে যায় তাঁদের বহনকারী নৌবাহিনীর জাহাজ পেঙ্গুইন। সেটি বেলা ৩টার দিকে ভাসানচর পৌঁছায়।

নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, গত বুধবার কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবির থেকে দুই গ্রুপে ৩৭৯ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। প্রথম গ্রুপে ২৫৭ জন এবং দ্বিতীয় গ্রুপে ১২২ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। পরে তাঁদের ভাসানচরে পাঠানো হয়।

এদের মধ্যে ১৩২ জন পুরুষ, ৯৮ জন নারী ও ১৪৯ জন শিশু রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, ৩ ও ৪ মার্চ পঞ্চম দফায় ৪ হাজার ২১ এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ী গতকাল আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যার হাউসে। সেখানে তাঁদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।