চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১৫: ০৫

ঈদের আগে রাজশাহীর বাজারগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ নতুন পোশাক, কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে ছুটছেন বাজারের দিকে। এবার ১০ রমজানের পর  মূলত রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। তবে গতকাল শনিবারের মতো বাজারে ভিড় এবার আর দেখা যায়নি। চাঁদরাত পর্যন্ত এমন ভিড় থাকবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল শনিবার সকাল থেকেই শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে নতুন পোশাক কেনার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। গত কিছুদিন ধরে তীব্র গরমের কারণে রাজশাহীর বাজার রাতে জমজমাট হলেও এখন দিনরাত সরব। সাহেববাজারের মুদি দোকানগুলোতেও মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেমাই, চিনি, মসলা, পোলাওয়ের চাল, ডাল কিংবা তেল কিনতে ভিড় করছিলেন সবাই।

রাজশাহী শহরের দোকানগুলোতে এখন বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। তাই বাধ্য হয়ে খোলা তেলই বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন সবাই। ঈদের আগে সবার এমন কেনাকাটায় সাহেববাজারে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। রাস্তার ওপর দিয়েই ঠাসাঠাসি করে চলাচল করছেন মানুষ। স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয় করে কেনাকাটা করে শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন সবাই।

এবার ঈদের কেনাকাটায় নগরীর আরডিএ মার্কেটে ভিড় দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। শেষ মুহূর্তে ভিড় বেড়েছে নিউমার্কেট, থিম ওমর প্লাজাসহ নামীদামি ব্র্যান্ডের আউটলেটেও। ফুটপাতেও শাড়ি, লুঙ্গি, প্যান্ট, শার্টের দোকানে সমানতালে চলছে বিকিকিনি। ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফুটপাতের আঁতর, সুরমা, টুপি এবং বেল্টের দোকানিরাও।

গতকাল শনিবার সকালে নগরীর সাহেববাজারের এক ফুটপাতের দোকানে লুঙ্গি দেখছিলেন মো. সুমন। তিনি বলেন, বিসিকের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তিনি। বেতন-বোনাস না হওয়ায় কেনাকাটা করতে পারেননি। শুক্রবার বেতন-বোনাস পেয়েই শনিবার বাজারে এসেছেন।

নিউমার্কেটের লাবণী শাড়ি ঘরে শাড়ি দেখতে দেখতে ফারুক হোসেন নামের এ ব্যক্তি বললেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। ঢাকা থেকে পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনে আনতে পারেননি। তাই বাড়ি এসেই বাজারে এসেছেন কেনাকাটা করতে।

রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি। তবে এবার আশানুরূপ বেচাকেনা হয়েছে। এখনো প্রচুর মানুষ বাজারে আসছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই ব্যস্ত। একেবারে চাঁদরাত পর্যন্ত এ রকম বিকিকিনি চলবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত