ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-হামলায় পায়রা বন্দরের কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
Thumbnail image

৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কয়েক দফা হামলা চালিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদারের বিরুদ্ধে। ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান বলেছে, গত শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে গত রোববার তারা বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। 

এদিকে হামলা ও চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করলেও উন্নয়নকাজ বন্ধের দাবি অস্বীকার করেছেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতির বিষয়টি তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। স্থানীয় রাজনৈতিক ঊর্ধ্বতন নেতাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

তবে অভিযুক্ত আশিক তালুকদার বলেন, ‘পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে আমার বাপ-দাদার জমিও রয়েছে। আমি বা দলীয় লোকজনকে বন্দরের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। কাজ দেওয়া হয় বিএনপির লোকজনের। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বন্দরে গিয়েছিলাম। তখন কথা-কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। এর বেশি কিছু হয়নি।’

বন্দর সূত্র বলেছে, বন্দরের প্রথম টার্মিনালের ড্রেনেজসহ নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মূল ঠিকাদার হলো চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান সিসিইসি এবং সিআরসি। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার এবিএম ওয়াটার কোম্পানি লিমিটেড। হামলায় চীনা নাগরিকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার জোরপূর্বক উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দেন। কাজ করতে হলে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বন্ধ ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি পুনরায় কাজ শুরু হয়। ১ মার্চ মোটরসাইকেলের বহর গিয়ে কোম্পানির দপ্তর ভাঙচুর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মারধর করে। বাধ্য হয়ে তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ।

গতকাল দুপুরে বন্দর চেয়ারম্যান নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে কাজ শুরু করতে বলেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘অন্যদের কাছে ঘটনাটি শুনেছি। উপজেলায় বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। আশিক বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক।’ 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, এ বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত