মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বেড়েছে উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড ধানের উৎপাদন। কৃষকেরা আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ করছেন উচ্চফলনশীল জাতের ধান। এ ধানের ফলন বেশি হওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। ফলে উপজেলায় কমেছে দেশি ধানের চাষ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, দেশি জাতের ধান চাষ করলে একরপ্রতি ৩০-৩৫ মণ পাওয়া যায়। সেখানে উফশী জাতের ধান চাষ করলে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ মণ। এ জাতের ধানে বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কয়েক বছর আগেও তাঁরা দেশি ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ করতেন। দেশি ধানের চেয়ে উফশী জাতের ধান চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে জানান কৃষকেরা।
উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উফশী ধানের চারা রোপণ করছেন। এ উপজেলার কৃষকেরা উফশী ধান চাষে ঝুঁকছেন বেশি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫১০ হেক্টরে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ হেক্টরে হাইব্রিড ও ৪ হাজর ১১০ হেক্টরে জমিতে উফশী জাতের ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। দেশি ও স্থানীয় জাতের কোনো ধান চাষ করা হয়নি।
উপজেলায় গত আমন মৌসুমে ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে ১৭ হাজার ১২০ হেক্টরে উফশী, ১৩০ হেক্টরে দেশি স্থানীয় ও ২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়েছিল। কৃষকেরা উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করে স্থানীয় জাতের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি ফলন পাওয়ায় এসব ধানই বেশি করে চাষ করছেন। ফলে তাঁরা স্থানীয় জাতের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।
উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কৃষক বেলাল মিয়া বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা-চাচারা দেশি ধান চাষ করতেন। তখন ফলন ছিল অনেক কম; অবশ্য খরচও ছিল কম। কিন্তু এখন আর স্থানীয় ধান চাষ করে খরচ তোলা দায়।’
বেলাল মিয়া আরও বলেন, ‘স্থানীয় জাতের তুলনায় হাইব্রিড ও উফশীতে ফলন অনেক ভালো হয়। দেশি জাতের ধানের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। আমাদের এলাকার বেশির ভাগ কৃষক উফশী ধান চাষ করছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, কৃষকেরা কম খরচে বেশি ফলন চান। উন্নত মানের ধানের বীজ ব্যবহার করে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে এসব উফশী ও হাইব্রিড বীজ ব্যবহার করছেন। খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার উফশি ও হাইব্রিড ধানের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ধানে আগ্রহ কম এবং উফশী ও হাইব্রিড ধানে কৃষকদের আগ্রহ বেশি—এ বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া বলেন, ‘হাইব্রিড ও উফশী ধানের উৎপাদন বেশি দেশি প্রজাতির ধানের চেয়ে। এসব ধান চাষে কৃষকেরা লাভবান হন বেশি। হাইব্রিড ও উফশীর পাশাপাশি আমাদের দেশি ধান বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। দেশি ধানের যে বৈশিষ্ট্য, তার গুরুত্ব অনেক বেশি।’
মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে দেশি ধান সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা কম হয়। কিন্তু উন্নত দেশে জার্মপ্লাজম সেন্টারে গবেষণা করে বীজ সংরক্ষণ করে। দেশি ধান বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বেড়েছে উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড ধানের উৎপাদন। কৃষকেরা আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ করছেন উচ্চফলনশীল জাতের ধান। এ ধানের ফলন বেশি হওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। ফলে উপজেলায় কমেছে দেশি ধানের চাষ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, দেশি জাতের ধান চাষ করলে একরপ্রতি ৩০-৩৫ মণ পাওয়া যায়। সেখানে উফশী জাতের ধান চাষ করলে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ মণ। এ জাতের ধানে বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কয়েক বছর আগেও তাঁরা দেশি ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ করতেন। দেশি ধানের চেয়ে উফশী জাতের ধান চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে জানান কৃষকেরা।
উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উফশী ধানের চারা রোপণ করছেন। এ উপজেলার কৃষকেরা উফশী ধান চাষে ঝুঁকছেন বেশি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫১০ হেক্টরে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ হেক্টরে হাইব্রিড ও ৪ হাজর ১১০ হেক্টরে জমিতে উফশী জাতের ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। দেশি ও স্থানীয় জাতের কোনো ধান চাষ করা হয়নি।
উপজেলায় গত আমন মৌসুমে ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে ১৭ হাজার ১২০ হেক্টরে উফশী, ১৩০ হেক্টরে দেশি স্থানীয় ও ২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়েছিল। কৃষকেরা উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করে স্থানীয় জাতের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি ফলন পাওয়ায় এসব ধানই বেশি করে চাষ করছেন। ফলে তাঁরা স্থানীয় জাতের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।
উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কৃষক বেলাল মিয়া বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা-চাচারা দেশি ধান চাষ করতেন। তখন ফলন ছিল অনেক কম; অবশ্য খরচও ছিল কম। কিন্তু এখন আর স্থানীয় ধান চাষ করে খরচ তোলা দায়।’
বেলাল মিয়া আরও বলেন, ‘স্থানীয় জাতের তুলনায় হাইব্রিড ও উফশীতে ফলন অনেক ভালো হয়। দেশি জাতের ধানের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। আমাদের এলাকার বেশির ভাগ কৃষক উফশী ধান চাষ করছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, কৃষকেরা কম খরচে বেশি ফলন চান। উন্নত মানের ধানের বীজ ব্যবহার করে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে এসব উফশী ও হাইব্রিড বীজ ব্যবহার করছেন। খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার উফশি ও হাইব্রিড ধানের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ধানে আগ্রহ কম এবং উফশী ও হাইব্রিড ধানে কৃষকদের আগ্রহ বেশি—এ বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া বলেন, ‘হাইব্রিড ও উফশী ধানের উৎপাদন বেশি দেশি প্রজাতির ধানের চেয়ে। এসব ধান চাষে কৃষকেরা লাভবান হন বেশি। হাইব্রিড ও উফশীর পাশাপাশি আমাদের দেশি ধান বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। দেশি ধানের যে বৈশিষ্ট্য, তার গুরুত্ব অনেক বেশি।’
মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে দেশি ধান সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা কম হয়। কিন্তু উন্নত দেশে জার্মপ্লাজম সেন্টারে গবেষণা করে বীজ সংরক্ষণ করে। দেশি ধান বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে