তিতাসে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পছন্দের প্রতীক পেয়ে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের উল্লাসে উপজেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। এ সময় কর্মী-সমর্থকদের তাঁদের প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

তিতাস উপজেলার ৯ ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৪৭৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৬ জন। ইতিমধ্যে একজন চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কড়িকান্দি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে ১ জন, ভিটিকান্দি ইউনিয়নে ১ জন ও মজিদপুর ইউনিয়নে ১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৪, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, কড়িকান্দি ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং সাতানী ইউনিয়নের ২, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন গত মঙ্গলবারে ৬৭ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদের ৪৯ জন।

উপজেলার সাতানী ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, পাইনি। এলাকার বাসিন্দাদের দাবির মুখে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ঘোড়া প্রতীক পেয়েছি। আশা করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’

৯ নম্বর মজিদপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মুকবুল মাহমুদ প্রধান বলেন, ‘আমি বর্তমান ইউপি সদস্য। এবারও ওয়ার্ডবাসীর সমর্থনে প্রার্থী হয়েছি। তালা প্রতীক পেয়েছি। আশা করি ওয়ার্ডবাসী এবারও আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।’