Ajker Patrika

শিক্ষার্থীরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে

ত্রিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৬
শিক্ষার্থীরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে

ত্রিশালে করোনার টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ায় ও বিশৃঙ্খলার কারণে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে, মাস্ক না পরে করোনার টিকা নিচ্ছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে এমন চিত্র দেখা যায়। এ নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১২ থেকে ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের স্কুলভিত্তিক টিকা কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসেবে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিয়মিতই বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবারেও টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে ছিল না কোনো শৃঙ্খলা। অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। কার আগে কে টিকা দেবে, এ নিয়ে ছিল প্রতিযোগিতা।

শুভ নামে একজন বলেন, ‘সবাই করোনার টিকা নিচ্ছে। একটা নিয়ম থাকলে ভালো হতো। এখানে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রক্রিয়া। মাস্ক পরছে না। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে টিকা দিতে না আসার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এ জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

তানজিলা নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, টিকা নিতে এসে বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। কোনো নিয়মনীতির বালাই নেই। হুড়োহুড়ি করেই নিতে হয়েছে টিকা।

আরেক শিক্ষার্থী রাকিবের মতে, টিকা নিতে আসার জন্য বিভিন্ন স্কুলকে আলাদা আলাদা সময় ঠিক করে দেওয়া উচিত। তাহলে একই সময়ে সবাই ভিড় জমাবে না। এভাবে টিকে নিলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, টিকাদানের শুরু থেকেই বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। দুদিন আগে টিকা নিতে এসে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। একপর্যায়ে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিষয়গুলো খুবই দুঃখজনক।

ত্রিশাল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর আনাম বলেন, ‘আমরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিতে। বুধবার দুই হাজার ৬৩৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভিন্ন সময়ে টিকা নিতে আসার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীরা একই সময় চলে আসে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত