শিশু আরাফ হত্যায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

ফাঁসিপ্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ০৮: ১৮
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১০: ১৫

চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ বাকলিয়ায় দুই বছর আগে একটি বাড়ির পানির ট্যাংকে ডুবিয়ে দুই বছরের শিশু আব্দুর রহমান ওরফে আরাফ হত্যা মামলার রায়ে আদালত মা-ছেলেসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

আসামিরা হলেন হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. ফরিদ (৩৭), ঘটনাস্থলের বাড়ির বাসিন্দা নাজমা বেগম (৪০), এবং নাজমার ছেলে মো. হাসান (২৩)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত মহানগর পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি উচ্চ আদালতের অনুমোদনসাপেক্ষে এ রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি ফরিদ স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আশুর পক্ষে কাজ করতেন। আশুর সঙ্গে তাঁর আপন ভাই বর্তমান ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বিরোধ ছিল। ইয়াসিন চৌধুরী আশু এবং কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বিরোধের সুযোগে নুরুল আলমকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেন আসামি ফরিদ।

নুরুল আলমের বাড়ির (মিয়া ভবন) ভাড়াটিয়া আব্দুল কাইয়ুমের দুই বছরের ছেলে আরাফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ফরিদ। এ কাজে তিনি ২০ হাজার টাকায় নাজমাকে রাজি করান। মিয়া ভবনের সপ্তম তলার ছাদের একটি কক্ষে বসবাস করতেন নাজমা। মিয়া ভবনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করেন নাজমার ছেলে হাসান।

পরিকল্পনা মতে, ২০২০ সালের ৭ জুন বিকেলে নাজমা শিশু আরাফকে ছাদে নিয়ে পানির ট্যাংকে ফেলে হত্যা করেন। এতে সহায়তা করে তাঁর ছেলে হাসান। পরে আরাফকে না পেয়ে তাঁর বাবা কাইয়ুম বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ পরদিন নাজমাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্বীকারোক্তি মতে দুই দিন পর অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত