‘গান্ধীর আদর্শে ভারতের মুক্তি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ২০
Thumbnail image

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (১৮৬৯-১৯৪৮) মৃত্যুর ৭৪ বছর পূর্ণ হলো গতকাল ৩০ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এই দিনে নাথুরাম গডসে নামের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক ভক্ত তাঁকে হত্যা করেন। অহিংস আন্দোলনের এই পথিকৃৎ আজীবন বহুত্ববাদের কথা বলেছেন। গত শতাব্দীর শুরু যেমন, বর্তমানেও ঠিক ততটাই গান্ধীর চিন্তা ভারতের জন্য প্রাসঙ্গিক বলে উঠে এসেছে রামচন্দ্র গুহের এক লেখায়।

স্ক্রলডটকমের এক প্রবন্ধে রামচন্দ্র লেখেন, গান্ধী সবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন। এ সময় ১৯১৫ সালের এপ্রিলের এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে কথা বলছিলেন তিনি। উপস্থিতিদের মধ্যে ছিলেন নানা ধর্মের শিক্ষার্থী।

নিজের গুরু ও ভারতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গোপালকৃঞ্চ গোখলের প্রসঙ্গ টেনে গান্ধী বলেন, একদিন এক হিন্দু সন্ন্যাসী রাজনীতিতে মুসলমানের ওপর হিন্দুদের শ্রেষ্ঠত্ব থাকার বিষয়ে তাঁকে (গোপালকৃঞ্চ) নানা যুক্তি দেন। একপর্যায়ে গোপালকৃঞ্চ ওই সন্ন্যাসীকে বলেন, ‘হিন্দু হওয়ার জন্য আমাকে যদি আপনার কথাই মানতে হয়, তাহলে যান—সবাইকে বলে দিন আমি হিন্দু নই।’

এরপর গান্ধী মন্তব্য করেন, গোপালকৃঞ্চ একজন উঁচুদরের হিন্দু ছিলেন। কিন্তু রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি তথা দুনিয়াদারির বিষয় ধর্ম দিয়ে বিচার করার বিরোধী ছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতীয় সমাজকে যেকোনো সময়ের তুলনায় বিভক্ত করে তুলেছে। বিজেপি এই বিভেদনীতি ধার করেছে আরএসএস থেকে। সংঘটি ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালে যেমন, ৯৭ বছর পর আজও উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাস করে।

আর মহাত্মা গান্ধী আজীবন এ ধারণার বিরোধিতা করেছেন। তাঁকে মরতেও হয়েছে এ কারণে। ১৯৪৫ সালে লেখা এক ছোট্ট বইয়ে গান্ধী লেখেন, ‘সাম্প্রদায়িক ঐক্যের প্রথম শর্ত হলো, কংগ্রেসের প্রত্যেক সদস্যকে নিজ ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, ইহুদি তথা যাবতীয় ধর্মের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারতে হবে। ভিন্ন ধর্মের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত