ক্ষমতার অপব্যবহারের পরকালীন পরিণতি

মাহমুদ হাসান ফাহিম
Thumbnail image

পৃথিবীতে মানুষ সাময়িক ক্ষমতার মালিক হয়। সে যদি আল্লাহর তাআলার নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষমতার ন্যায়সংগত ব্যবহার না করে, তাহলে তা হবে জুলুম। তার জন্য রয়েছে পরকালে জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তি।

ক্ষমতার অপব্যবহারকরীর শাস্তি আল্লাহ তাআলা চাইলে দুনিয়াতেই দিতে পারেন। ছিনিয়ে নিতে পারেন তার ক্ষমতা। তিনি পথের ভিখারিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী করেন। আবার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধরকেও বানাতে পারেন রাস্তার ফকির। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, আপনি যাকে চান ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার কাছ থেকে চান তা ছিনিয়ে নেন। আপনি যাকে চান সম্মানিত করেন, আর যাকে চান করেন লাঞ্ছিত। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)

ন্যায়পরায়ণতা, ইনসাফ, সুশাসন, অধীনস্থদের অধিকার আদায় এবং তাদের কল্যাণকামিতাই হলো ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার। এমন ক্ষমতাবানদের জন্য রয়েছে আল্লাহর তাআলার পক্ষ থেকে সীমাহীন মর্যাদা ও সম্মান। পক্ষান্তরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে স্বার্থ হাসিল করা। কাউকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম।

হাদিসে উভয় দলের পুরস্কার ও শাস্তির কথা এসেছে। হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ন্যায়পরায়ণ শাসক কিয়ামতের দিন আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় এবং সবচেয়ে নৈকট্যপ্রাপ্ত হবেন। আর অত্যাচারীরা হবে সর্বাধিক ঘৃণিত ও শাস্তিপ্রাপ্ত। অধিকন্তু সে আল্লাহর দরবার থেকেও বহু দূরে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি: ১৩৭৯) 

যে যত বড় পদে কাজ করে, তার দায়িত্ব তত বড় এবং পরকালে তার হিসাবও হবে বেশি। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে আল্লাহ তাআলার কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। এ সম্পর্কে সহিহ্ বুখারি ও মুসলিমে দীর্ঘ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি: ৮৫৩; মুসলিম: ৪৮২৮) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত