তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
বহু দিন ধরে রেলের নিয়োগ বন্ধ। অথচ একের পর এক অবসরে যাচ্ছেন দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে সংস্থাটির জনবল এখন প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকে ঠেকেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া শুরু করেছে রেলওয়ে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পাঁচটি পদে প্রায় ২ হাজার ৭৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদেরই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়নি। কবে থেকে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাও জানে না রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে, পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’ তবে কবে নাগাদ হবে এসব পরীক্ষা, তা জানাতে পারেনি রেলের ডিজি।
এদিকে নিয়োগ পরীক্ষা রেলওয়ে নেবে নাকি, থার্ড পার্টির মাধ্যমে নেওয়া হবে, সেটিও এখন চূড়ান্ত হয়নি।
দীর্ঘদিন পর ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট প্রথম ২৮০ জন সহকারী লোকো মাস্টার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেলওয়ে। একই মাসের ২৯ তারিখে ৫৬০ জন সহকারী স্টেশন মাস্টার নেওয়ার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তারপর গত বছরের ১৪ নভেম্বর ৭৫২ জন পয়েন্টসম্যান পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় রেলওয়ে। এরপর ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৬টি খালাসি পদে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৫৩ জন গার্ড নেওয়ার জন্য নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী রেলের দুই অঞ্চলে মোট লোক দরকার ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। কিন্তু আছে মাত্র ২৪ হাজার ৪৬৪ জন। অর্থাৎ, ২৩ হাজার ১৭৩ জন লোকবলের ঘাটতিতে আছে রেলওয়েতে।
এ অবস্থায় কবে নাগাদ হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এমএন্ডসিপি) এ কে এম আব্দুল্লাহ আল বাকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। তার মধ্যে একটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক নিতে গেলে জেলা প্রশাসকদেরও অনুমতি লাগবে। এই অনুমোদন এখনো নেওয়া হয়নি। এগুলো পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ঠিক কবে শুরু হবে, সেটা এখনি বলা যাচ্ছে না।’
রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে পাঁচ সদস্যদের একটি নিয়োগ কমিটি আছে। সেই কমিটিতে আছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন সদস্য এবং রেলওয়ের দুজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চ্যালেঞ্জর কথা জানিয়ে নিয়োগ কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সব সরকারি দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পাওয়াও একটু চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। প্রতি শুক্র ও শনিবার—দুই দিনে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চলতে থাকে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পেতেই দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়। ফলে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ার এটাও একটা কারণ।
একটি স্টেশন চালু রাখতে তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। কিন্তু এই তিন ধরনের পদের যেকোনো একটির ঘাটতিতে বন্ধ রাখতে হয় স্টেশন।
রেলসূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে মোট স্টেশন আছে ৪৮৪টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে ৩৬৮টি এবং সাময়িক বন্ধ আছে ১১৬টি।
এভাবে এতগুলো রেলস্টেশন বন্ধ থাকলে ট্রেন চালিয়ে লাভ কী—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক সময়ে জনবল নিয়োগ দিতে না পারা রেলের সদিচ্ছার অভাব। নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে কেন্দ্র কোনো সমস্যা নয়। জনবল নিয়োগ না দিয়ে একের পর এক প্রকল্প নিচ্ছে রেল। সেসব প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ করা কঠিন হবে জনবলের অভাবে। রেলকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য লোকবলের কোনো বিকল্প নেই।’
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগের অপেক্ষায়
সহকারী লোক মাস্টার—২৮০ জন
সহকারী স্টেশন মাস্টার—৫৬০ জন
পয়েন্টে ম্যান—৭৫২ জন
খালাসি—১০৮৬ জন
গার্ড—৫৩ জন
বহু দিন ধরে রেলের নিয়োগ বন্ধ। অথচ একের পর এক অবসরে যাচ্ছেন দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে সংস্থাটির জনবল এখন প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকে ঠেকেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া শুরু করেছে রেলওয়ে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পাঁচটি পদে প্রায় ২ হাজার ৭৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদেরই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়নি। কবে থেকে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাও জানে না রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে, পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’ তবে কবে নাগাদ হবে এসব পরীক্ষা, তা জানাতে পারেনি রেলের ডিজি।
এদিকে নিয়োগ পরীক্ষা রেলওয়ে নেবে নাকি, থার্ড পার্টির মাধ্যমে নেওয়া হবে, সেটিও এখন চূড়ান্ত হয়নি।
দীর্ঘদিন পর ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট প্রথম ২৮০ জন সহকারী লোকো মাস্টার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেলওয়ে। একই মাসের ২৯ তারিখে ৫৬০ জন সহকারী স্টেশন মাস্টার নেওয়ার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তারপর গত বছরের ১৪ নভেম্বর ৭৫২ জন পয়েন্টসম্যান পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় রেলওয়ে। এরপর ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৬টি খালাসি পদে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৫৩ জন গার্ড নেওয়ার জন্য নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী রেলের দুই অঞ্চলে মোট লোক দরকার ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। কিন্তু আছে মাত্র ২৪ হাজার ৪৬৪ জন। অর্থাৎ, ২৩ হাজার ১৭৩ জন লোকবলের ঘাটতিতে আছে রেলওয়েতে।
এ অবস্থায় কবে নাগাদ হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এমএন্ডসিপি) এ কে এম আব্দুল্লাহ আল বাকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। তার মধ্যে একটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক নিতে গেলে জেলা প্রশাসকদেরও অনুমতি লাগবে। এই অনুমোদন এখনো নেওয়া হয়নি। এগুলো পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ঠিক কবে শুরু হবে, সেটা এখনি বলা যাচ্ছে না।’
রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে পাঁচ সদস্যদের একটি নিয়োগ কমিটি আছে। সেই কমিটিতে আছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন সদস্য এবং রেলওয়ের দুজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চ্যালেঞ্জর কথা জানিয়ে নিয়োগ কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সব সরকারি দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পাওয়াও একটু চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। প্রতি শুক্র ও শনিবার—দুই দিনে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চলতে থাকে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পেতেই দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়। ফলে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ার এটাও একটা কারণ।
একটি স্টেশন চালু রাখতে তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। কিন্তু এই তিন ধরনের পদের যেকোনো একটির ঘাটতিতে বন্ধ রাখতে হয় স্টেশন।
রেলসূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে মোট স্টেশন আছে ৪৮৪টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে ৩৬৮টি এবং সাময়িক বন্ধ আছে ১১৬টি।
এভাবে এতগুলো রেলস্টেশন বন্ধ থাকলে ট্রেন চালিয়ে লাভ কী—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক সময়ে জনবল নিয়োগ দিতে না পারা রেলের সদিচ্ছার অভাব। নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে কেন্দ্র কোনো সমস্যা নয়। জনবল নিয়োগ না দিয়ে একের পর এক প্রকল্প নিচ্ছে রেল। সেসব প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ করা কঠিন হবে জনবলের অভাবে। রেলকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য লোকবলের কোনো বিকল্প নেই।’
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগের অপেক্ষায়
সহকারী লোক মাস্টার—২৮০ জন
সহকারী স্টেশন মাস্টার—৫৬০ জন
পয়েন্টে ম্যান—৭৫২ জন
খালাসি—১০৮৬ জন
গার্ড—৫৩ জন
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে