বৃষ্টি ও ঢলে তলিয়ে গেছে কিশোরগঞ্জের দুই শ গ্রাম

কিশোরগঞ্জ ও অষ্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ১১: ২৪
আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১৫: ২৬

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনসহ অন্তত আটটি উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ স্থানীয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

গতকাল সোমবার জেলার কয়েকটি প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে ও হাট-বাজারে পানি উঠেছে। গবাদিপশুসহ গৃহস্থালি মালামাল সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন বানভাসি মানুষ। অনেকে

উঠছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকারিভাবে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের হাবেলীপাড়া, মধ্য অষ্টগ্রাম স্বপনপাড়া, দক্ষিণহাটি, হাবেলীপাড়া, ঋষিপাড়া, গোয়াইলহাটি, উত্তরহাটি নোয়াপাড়া, সাপান্তবাজার, মোহতলাবাজার, খয়েরপুর, কদমচাল, কাদিরপুর, মনোহরপুর, জিন্নাতপুর, চাঁনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।

ইটনা উপজেলার, লাইপাশা, মৃগা, জয়সিদ্ধি ডুইয়েরপাড়, নুরপুর, বানিহাটি, পুরানহাটি, আমিরগঞ্জ, ইটনাবাজার, নতুনবাজার, আনন্দবাজারসহ উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত।

মিঠামইনে কেওয়ারজোড়, ঢাকী, বৈরাটি ও খাটখাল, গোপদিঘি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে পানি উঠেছে। এ ছাড়া, ইটনা ও অষ্টগ্রামের ২০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

অষ্টগ্রামের কাদিরপুর ও খয়েরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (সপ্রাবি), ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ ও গাবতলি সপ্রাবি এবং মিঠামইনে ৭৩ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে কয়েক শ বানভাসি পরিবার। হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, নিরাপত্তার জন্য গত শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে ইটনার চৌগাংগা ও শান্তিপুর, বড়িবাড়ি, এনসহিলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক, টিয়ারকোণা, চং নোয়াগাঁও ও আনন্দবাজার, অষ্টগ্রামের কলমার সাপান্ত, কাকুরিয়া, শান্তিপুর, বাজুরী আদমপুরের চৌদন্ত, গাজীরহাটি, দোয়েলপুরসহ ১৫টি গ্রামে।

মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলার কাটখাল, বৈরাটি, গোপদিঘী, কেওয়ারজোড়সহ ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। ইতিমধ্যে ৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮০টি পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চান, আমরা তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিক ট্রলারের ব্যবস্থা রেখেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত