হাজিদের সেবা করতে গিয়েও সিট দখল, দুই চিকিৎসককে জরিমানা

উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৩, ১০: ০২
Thumbnail image

চলতি বছর পবিত্র হজ চলাকালে হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য সরকারি খরচে সৌদি আরব গেছেন জাহানাবাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসক মেজর সুলতানা তানজিনা আল মিজান এবং সিলেট সিএমএইচের মেজর সাদিয়া আফরীন। কিন্তু সেখানে গিয়ে আবাসন কক্ষের একটি সিট দখলের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ কারণে ওই সিটের ভাড়ার সমপরিমাণ অর্থ তাঁদের বেতন থেকে রাখবে সরকার।

বিষয়টি নিয়ে ২২ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিস। এতে জানানো হয়, হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দিতে মক্কার হোটেল দিয়ার আল মাতার (বাড়ি নম্বর-১)-এ মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। একই ভবনে সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলের সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়। এই ভবনের ২১২ নম্বর কক্ষে তিনটি সিট রয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ সিট মেজর সুলতানা তানজিনা আল মিজান এবং ‘খ’ সিট মেজর সাদিয়া আফরীনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকে তাঁরা দুজন সেখানে অবস্থান করছেন। খালি থাকা অবশিষ্ট সিটে দ্বিতীয় পর্যায়ে আসা সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলের সদস্য বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের ডা. সিরাজুম মুনিরাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ডা. সিরাজুম মুনিরা বরাদ্দকৃত ওই কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে আগে থেকে অবস্থান করা দুই চিকিৎসক তাঁকে বাধা দেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে মেজর সুলতানা তানজিনা আল মিজান ও মেজর সাদিয়া আফরীনকে মৌখিকভাবে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপরও পাঁচ দিন ধরে ডা. সিরাজুম মুনিরাকে ওই কক্ষে উঠতে দেননি তাঁরা।

জানা গেছে, ওই হোটেলের প্রতিটি সিটের ভাড়া (হজ মৌসুম) ৪ হাজার ৬৫০ সৌদি রিয়াল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সিট দখলের ওই ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে চিঠি দিয়েছেন সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সেলর হজ মো. জহিরুল ইসলাম। তাঁদের দুজনের কাছ থেকে ৪ হাজার ৬৫০ সৌদি রিয়াল কেটে রাখা হবে বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিসের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে গত ২৬ মে হজযাত্রীদের সেবা না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলের বাইরে তায়েফ ভ্রমণ করায় হজ সহায়ক দলের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিল সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিস। সংশ্লিষ্ট ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আলাদা আলাদাভাবে এ নোটিশে বলা হয়, এমন আচরণ টিমের সদস্যদের বিষয়ে হজযাত্রীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব তৈরি, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং সরকারি অর্থ অপচয়ের শামিল। তাঁদের জেদ্দার হজ কাউন্সেলরের কাছে এ জন্য ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত