গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ার শোভনা থেকে খর্ণিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কে ১০০ মিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি কাদা মাটি ও পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এখন জনভোগান্তির আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে শোভনা-খর্ণিয়া সড়কের এ অংশটি।
জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন নাজুক অবস্থা কেন? এমন প্রশ্ন এখন স্থানীয় জনগণের। তবে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, অতি দ্রুত কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হবে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা প্রমত্তা ভদ্রা নদী আশির দশকে পলি পড়ে ভরাট হয়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়। সেই থেকে ওই সমতল ভূমিতে এলাকার হাজারো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে ফলাতে থাকে ফসল। এরপর ওই ভরাট নদীর ওপর দিয়ে এলজিইডি অধিদপ্তরের অর্থায়নে পাকা কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ভরাট হওয়া ভদ্রা নদী খনন করে। এতে শোভনা-খর্ণিয়া দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্দশার কথা ভেবে এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থিক অনুদানে ও উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় খনন করা নদীর ওপর প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। যা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে থাকে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সেতু দিয়ে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মোটর ভ্যান, নছিমন করিমন যাতায়াত করে থাকেন।
এ ছাড়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন একটি কৃষি প্রধান এলাকা বলে খ্যাত। এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য খর্ণিয়া, ডুমুরিয়া, আঠারমাইল, চুকনগর, কাঁঠালতলা ও খুলনাসহ বিভিন্ন হাটে বাজারজাত করার একমাত্র উপায় এ কাঠের সেতুটি। কিন্তু ২ বছর যেতে না যেতেই খনন করা ওই ভদ্রা নদী আবারও পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে সেতুর এলাকা সংকুচিত করে মাত্র ৩০ ফুট রেখে বাকি অংশ কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মাটির রাস্তা দিয়ে শুকনার সময় ভালো চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে কাদা পানি জমে পড়ায় যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও চলা খুবই কষ্টের ব্যাপার। এমন অভিযোগ এলাকার সাধারণ মানুষের।
বৃষ্টি হলেই কৃষকেরা পড়েন দুশ্চিন্তায়। তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপার করতে না পেরে নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ বিষয়ে কথা হয় শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক কোরমান শেখ, আবু বক্কার, মোটরসাইকেল চালক সমিতি সভাপতি মিজানুর মোল্লা, মটরভ্যান শ্রমিক নেতা শহীদ গাজী, ব্যবসায়ী রুহুল বাওয়ালি, মনিরুল সরদারের সঙ্গে। তারা বলেন, শোভনা-খর্ণিয়া এ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে কাঁচা রাস্তাটি আমাদের খুবই ভোগান্তিতে ফেলে। এমনকি বাইরের আত্মীয়স্বজনও আসতে অনীহা প্রকাশ করে। এ প্রসঙ্গে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য বলেন, কাঁচা মাটির রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা পাকা করার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া পাকা ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডুমুরিয়ার শোভনা থেকে খর্ণিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কে ১০০ মিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি কাদা মাটি ও পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এখন জনভোগান্তির আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে শোভনা-খর্ণিয়া সড়কের এ অংশটি।
জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন নাজুক অবস্থা কেন? এমন প্রশ্ন এখন স্থানীয় জনগণের। তবে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, অতি দ্রুত কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হবে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা প্রমত্তা ভদ্রা নদী আশির দশকে পলি পড়ে ভরাট হয়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়। সেই থেকে ওই সমতল ভূমিতে এলাকার হাজারো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে ফলাতে থাকে ফসল। এরপর ওই ভরাট নদীর ওপর দিয়ে এলজিইডি অধিদপ্তরের অর্থায়নে পাকা কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ভরাট হওয়া ভদ্রা নদী খনন করে। এতে শোভনা-খর্ণিয়া দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্দশার কথা ভেবে এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থিক অনুদানে ও উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় খনন করা নদীর ওপর প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। যা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে থাকে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সেতু দিয়ে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মোটর ভ্যান, নছিমন করিমন যাতায়াত করে থাকেন।
এ ছাড়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন একটি কৃষি প্রধান এলাকা বলে খ্যাত। এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য খর্ণিয়া, ডুমুরিয়া, আঠারমাইল, চুকনগর, কাঁঠালতলা ও খুলনাসহ বিভিন্ন হাটে বাজারজাত করার একমাত্র উপায় এ কাঠের সেতুটি। কিন্তু ২ বছর যেতে না যেতেই খনন করা ওই ভদ্রা নদী আবারও পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে সেতুর এলাকা সংকুচিত করে মাত্র ৩০ ফুট রেখে বাকি অংশ কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মাটির রাস্তা দিয়ে শুকনার সময় ভালো চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে কাদা পানি জমে পড়ায় যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও চলা খুবই কষ্টের ব্যাপার। এমন অভিযোগ এলাকার সাধারণ মানুষের।
বৃষ্টি হলেই কৃষকেরা পড়েন দুশ্চিন্তায়। তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপার করতে না পেরে নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ বিষয়ে কথা হয় শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক কোরমান শেখ, আবু বক্কার, মোটরসাইকেল চালক সমিতি সভাপতি মিজানুর মোল্লা, মটরভ্যান শ্রমিক নেতা শহীদ গাজী, ব্যবসায়ী রুহুল বাওয়ালি, মনিরুল সরদারের সঙ্গে। তারা বলেন, শোভনা-খর্ণিয়া এ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে কাঁচা রাস্তাটি আমাদের খুবই ভোগান্তিতে ফেলে। এমনকি বাইরের আত্মীয়স্বজনও আসতে অনীহা প্রকাশ করে। এ প্রসঙ্গে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য বলেন, কাঁচা মাটির রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা পাকা করার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া পাকা ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে