আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
আকস্মিক বন্যায় বাড়িতে গলা অবদি পানি। তাই আশ্রয় নিয়েছেন তিস্তার ডান তীর প্রতিরক্ষা মূল বাঁধের ওপর। তিস্তা নদীর পানি কমেছে। তবে পানি কমলেও এখন পর্যন্ত ফেরা হয়নি বাড়িতে। কথা হলে এমনটিই জানান গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের গান্নার পাড় গ্রামের মুক্তা বেওয়া। তাঁর মতো অনেকেরই আশ্রয় হয়েছে বাঁধের পাড়ে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গেলে কথা হয় মুক্তা বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে হঠাৎ করি বাড়ির ঘরের ভেতর পানি ঢুকে। কোন কিছু সরে নেওয়ার আগতে (আগে) বিসনাপত্র ভিজি গেইছে। পানি কমলেও ঘরে ঢোকতে পাং (পারি) নাই। ঘরের যা কিছু আছে সবকিছু ভাসি গেইছে পানির স্রোতে। এখন কোলার ছাওয়া নিয়ে রাস্তার ধারে কোনোরকম রাত কাটাং (কাটানো) চোল। সরকার থাকি চাউল দিছে, কিন্তু চাউল দিয়া কি হইবে। রান্না করিম কেমন করি। সব জাগাতে পানি আর কাদো হইছে, থালা-বাটি ভাসে নিয়া গেইছে। কোলার ছাওয়া ধরি অনেক কষ্ট করি পড়ি আছুং বাঁধের ধারোত।’
কথা হয় একই গ্রামের আছিয়া বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মুই দুদিন ধরি রাস্তার ধারোত শুধু চিড়া খেয়া আচুং (আছি)। বাড়িত পানি, রান্না-বারা কিছু করবার পাং নাই। শুধু চিড়া ভিজা কি খাবার মনায় (ইচ্ছে হয়)। ঘরের জিনিসপত্র সব পানিতে ভাসি গেইছে।’
ওই গ্রামের এনামুল বলেন, ‘সরকার যদি তিস্তার পাড় ভালো করি বান্দিল হয়, তা হইলে আর হামাক পানিত ভাসি যাওয়া লাগিল না হয়।’
লক্ষীটারি ইউনিয়নের ইচলি গ্রামের নয়া মিয়া বলেন, ‘কয়েক মাস আগে নদী ভাঙি যাওয়ার পর বাঁধে বাড়ি করি দিছে চেয়ারম্যান। হঠাৎ বন্যার পানি আসি সে বাড়িও বাঁধসহ ভাঙি নিয়া গেল। এলা (এখন) কোনটে যায়া (গিয়ে) বাড়ি করমো।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা গ্রামের নওশা মিয়া জানান, ‘ছবি তুলি কি হইবে বাবা, সরকার তো হামার কথা ভাবে না। যদি হামার কথা ভাবতো তা হইলে আজকে হামার এমন পরিণতি হয়!’
নোহালী ইউনিয়নের ব্যাংকপাড়া গ্রামের মরিয়ম নেছা বেওয়া জানান, ‘মোর খুব আশা ছিলো স্বামীর ভিটা-মাটিত থাকি বাকি জীবনটা কাটে দিনুং হয়। সর্বনাশা তিস্তা মোর থাকার ঘরটাও ভাঙি নিয়া গেল।’
আকস্মিক বন্যায় বাড়িতে গলা অবদি পানি। তাই আশ্রয় নিয়েছেন তিস্তার ডান তীর প্রতিরক্ষা মূল বাঁধের ওপর। তিস্তা নদীর পানি কমেছে। তবে পানি কমলেও এখন পর্যন্ত ফেরা হয়নি বাড়িতে। কথা হলে এমনটিই জানান গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের গান্নার পাড় গ্রামের মুক্তা বেওয়া। তাঁর মতো অনেকেরই আশ্রয় হয়েছে বাঁধের পাড়ে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গেলে কথা হয় মুক্তা বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে হঠাৎ করি বাড়ির ঘরের ভেতর পানি ঢুকে। কোন কিছু সরে নেওয়ার আগতে (আগে) বিসনাপত্র ভিজি গেইছে। পানি কমলেও ঘরে ঢোকতে পাং (পারি) নাই। ঘরের যা কিছু আছে সবকিছু ভাসি গেইছে পানির স্রোতে। এখন কোলার ছাওয়া নিয়ে রাস্তার ধারে কোনোরকম রাত কাটাং (কাটানো) চোল। সরকার থাকি চাউল দিছে, কিন্তু চাউল দিয়া কি হইবে। রান্না করিম কেমন করি। সব জাগাতে পানি আর কাদো হইছে, থালা-বাটি ভাসে নিয়া গেইছে। কোলার ছাওয়া ধরি অনেক কষ্ট করি পড়ি আছুং বাঁধের ধারোত।’
কথা হয় একই গ্রামের আছিয়া বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মুই দুদিন ধরি রাস্তার ধারোত শুধু চিড়া খেয়া আচুং (আছি)। বাড়িত পানি, রান্না-বারা কিছু করবার পাং নাই। শুধু চিড়া ভিজা কি খাবার মনায় (ইচ্ছে হয়)। ঘরের জিনিসপত্র সব পানিতে ভাসি গেইছে।’
ওই গ্রামের এনামুল বলেন, ‘সরকার যদি তিস্তার পাড় ভালো করি বান্দিল হয়, তা হইলে আর হামাক পানিত ভাসি যাওয়া লাগিল না হয়।’
লক্ষীটারি ইউনিয়নের ইচলি গ্রামের নয়া মিয়া বলেন, ‘কয়েক মাস আগে নদী ভাঙি যাওয়ার পর বাঁধে বাড়ি করি দিছে চেয়ারম্যান। হঠাৎ বন্যার পানি আসি সে বাড়িও বাঁধসহ ভাঙি নিয়া গেল। এলা (এখন) কোনটে যায়া (গিয়ে) বাড়ি করমো।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা গ্রামের নওশা মিয়া জানান, ‘ছবি তুলি কি হইবে বাবা, সরকার তো হামার কথা ভাবে না। যদি হামার কথা ভাবতো তা হইলে আজকে হামার এমন পরিণতি হয়!’
নোহালী ইউনিয়নের ব্যাংকপাড়া গ্রামের মরিয়ম নেছা বেওয়া জানান, ‘মোর খুব আশা ছিলো স্বামীর ভিটা-মাটিত থাকি বাকি জীবনটা কাটে দিনুং হয়। সর্বনাশা তিস্তা মোর থাকার ঘরটাও ভাঙি নিয়া গেল।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে