পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়ায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত গণশৌচাগার। ফলে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্প এলাকা। দিন দিন এ শিল্পাঞ্চলের ব্যাপ্তি ঘটায় এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে আসছে মানুষ। কিন্তু চরম ব্যস্ত এ এলাকায় নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার। থানা হাট এলাকায় যেটি আছে, সেটিও ব্যবহারের অযোগ্য। এমনকি পটিয়া পৌর সদরের উপজেলা পরিষদের একটু পশ্চিমে একমাত্র গণশৌচাগারটিও অদৃশ্য কারণে বন্ধ রয়েছে।
ফলে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কর্মমুখী ও পথ চলতি মানুষকে। এতে পুরুষেরা বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন খোলা জায়গায় মূত্রত্যাগ করেন। অনেক জায়গায় মলত্যাগ করে ছিন্নমূলেরা। ফলে বাড়ছে পরিবেশদূষণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে জনভোগান্তিও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের বাসস্টেশন, উপজেলা সদর, কলেজগেট, বাজার কোথাও নেই পাবলিক টয়লেট। যে দুটি আছে তার মধ্যে একটি বন্ধ, অন্যটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষকে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সময় অনেক পথচারী বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে মলত্যাগ করেন।
মুন্সেফ বাজারের সবজি বিক্রেতা দিদারুল আলম বলেন, পাবলিক টয়লেট না থাকায় বাজারে আসা মানুষ রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করে। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। দ্রুত সরকারিভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা দরকার।
পটিয়া সদরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকেটা করতে আসা জিরি ইউনিয়নের নুরুল আজা বলেন, ‘পটিয়ার মতো প্রথম শ্রেণির একটি পৌর এলাকায় কোনো পাবলিক টয়লেট না থাকায় আমাদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা পুরুষ মানুষ তো কোনো না কোনোভাবে সারতে পারি; কিন্তু মহিলা ও বাচ্চাদের সমস্যা পোহাতে হয়।’
পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় নারীদের ভোগান্তি অবর্ণনীয়। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্য দিয়ে যাওয়া-আসা করে প্রতিদিন লাখো মানুষ। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাগামী বাস, বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস, ট্রাক, রিকশাসহ নানাভাবে অসংখ্য মানুষের চলাচল এ মহাসড়কটি ঘিরে। কিন্তু পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মানুষের জন্য সড়কের পাশে কিংবা জমায়েতের স্থানগুলোতে নেই পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।
এস আলম বাস কাউন্টারে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা এক স্কুলশিক্ষিকা জানান, ‘পটিয়ায় পাবলিক টয়লেট না থাকায় আমরা যারা দূর-দূরান্তে যাতায়াত করি, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
মোহছেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা একাধিক মা জানান, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রায়ই বাইরে এসে বিপাকে পড়তে হয়। কারণ, পটিয়ার মতো একটি পৌর এলাকায় কোনো গণশৌচাগার নেই।
আবুল কালাম নামের এক ফেরিওয়ালা জানান, এত বড় এলাকা, কিন্তু সরকারি কোনো টয়লেট নেই। রাস্তার পাশে যেরকম দুর্গন্ধ, তাতে নাক চেপে চলাফেরা করতে হয়।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল বলেন, ‘পটিয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাবলিক টয়লেট ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তবে উপজেলা সদরের পাশে অবস্থিত পৌরসভার গণশৌচাগারটি কেন বন্ধ রয়েছে, তা তিনি খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান মেয়র।
পটিয়ায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত গণশৌচাগার। ফলে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্প এলাকা। দিন দিন এ শিল্পাঞ্চলের ব্যাপ্তি ঘটায় এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে আসছে মানুষ। কিন্তু চরম ব্যস্ত এ এলাকায় নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার। থানা হাট এলাকায় যেটি আছে, সেটিও ব্যবহারের অযোগ্য। এমনকি পটিয়া পৌর সদরের উপজেলা পরিষদের একটু পশ্চিমে একমাত্র গণশৌচাগারটিও অদৃশ্য কারণে বন্ধ রয়েছে।
ফলে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কর্মমুখী ও পথ চলতি মানুষকে। এতে পুরুষেরা বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন খোলা জায়গায় মূত্রত্যাগ করেন। অনেক জায়গায় মলত্যাগ করে ছিন্নমূলেরা। ফলে বাড়ছে পরিবেশদূষণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে জনভোগান্তিও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের বাসস্টেশন, উপজেলা সদর, কলেজগেট, বাজার কোথাও নেই পাবলিক টয়লেট। যে দুটি আছে তার মধ্যে একটি বন্ধ, অন্যটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষকে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সময় অনেক পথচারী বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে মলত্যাগ করেন।
মুন্সেফ বাজারের সবজি বিক্রেতা দিদারুল আলম বলেন, পাবলিক টয়লেট না থাকায় বাজারে আসা মানুষ রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করে। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। দ্রুত সরকারিভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা দরকার।
পটিয়া সদরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকেটা করতে আসা জিরি ইউনিয়নের নুরুল আজা বলেন, ‘পটিয়ার মতো প্রথম শ্রেণির একটি পৌর এলাকায় কোনো পাবলিক টয়লেট না থাকায় আমাদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা পুরুষ মানুষ তো কোনো না কোনোভাবে সারতে পারি; কিন্তু মহিলা ও বাচ্চাদের সমস্যা পোহাতে হয়।’
পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় নারীদের ভোগান্তি অবর্ণনীয়। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্য দিয়ে যাওয়া-আসা করে প্রতিদিন লাখো মানুষ। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাগামী বাস, বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস, ট্রাক, রিকশাসহ নানাভাবে অসংখ্য মানুষের চলাচল এ মহাসড়কটি ঘিরে। কিন্তু পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মানুষের জন্য সড়কের পাশে কিংবা জমায়েতের স্থানগুলোতে নেই পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।
এস আলম বাস কাউন্টারে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা এক স্কুলশিক্ষিকা জানান, ‘পটিয়ায় পাবলিক টয়লেট না থাকায় আমরা যারা দূর-দূরান্তে যাতায়াত করি, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
মোহছেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা একাধিক মা জানান, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রায়ই বাইরে এসে বিপাকে পড়তে হয়। কারণ, পটিয়ার মতো একটি পৌর এলাকায় কোনো গণশৌচাগার নেই।
আবুল কালাম নামের এক ফেরিওয়ালা জানান, এত বড় এলাকা, কিন্তু সরকারি কোনো টয়লেট নেই। রাস্তার পাশে যেরকম দুর্গন্ধ, তাতে নাক চেপে চলাফেরা করতে হয়।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল বলেন, ‘পটিয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাবলিক টয়লেট ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তবে উপজেলা সদরের পাশে অবস্থিত পৌরসভার গণশৌচাগারটি কেন বন্ধ রয়েছে, তা তিনি খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান মেয়র।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪