নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তীব্র যানজট নিয়ে দিনের পর দিন পার করার অভিজ্ঞতা নগরবাসীর রয়েছে। দীর্ঘ সময় পর কদিন ধরে এই দুর্ভোগ আবার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে নগরবাসীর ঘাড়ে চেপে বসেছে। অসহনীয় এই যানজট সাধারণের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
অসহনীয় যানজটের কথা স্বীকার করে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ)। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় যানজট পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, শহরে জিইসি মোড় থেকে জাকির হোসেন রোডের পোর্ট ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সামান্য দূরত্বে ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৩৬৮৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই। এ সময় অভিভাবকেরা সন্তানদের দিতে ও নিতে গিয়ে গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করছেন। তখন গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। মূলত সে সময় যানজট পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের এই কর্তা বলেন, জাকির হোসেন রোডসহ বিভিন্ন রেল ক্রসিং সম্প্রতি যানজটের আরেকটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের গেটম্যান ট্রেন আসার অনেক আগেই ক্রসিংয়ের দুই পাশে সড়ক বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতে ব্যস্ততম সড়কটিতে মুহূর্তে যানজট তৈরি হয়ে যায়।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘লালখান বাজার থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বর্তমানে ওই সড়কটি বাদ দিয়ে অনেকেই জাকির হোসেন রোড ব্যবহার করছেন। এতে এই সড়কটিতে লোকজনের যাতায়াতও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে গড়ে ওঠা হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সড়কগুলো যানজট মুক্ত রাখার জন্য।’
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা শুধু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখে থাকি। কিন্তু এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ে জড়িয়ে আছে। যা ভিন্ন ভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো দেখে থাকে।’
ট্রাফিক পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘সম্প্রতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মালামাল লোড-আনলোডের পরিমাণ বেশি হচ্ছে। এতে বন্দরের বাইরে ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যানবাহন এখানে জড়ো হচ্ছে। গাড়িগুলো অন্য কোথাও রাখার জায়গা নেই। গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সাময়িকভাবে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে। তবে আমরা এলাকাটি যানজট মুক্ত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে গণপরিবহনে চড়ে জিইসি মোড়ে পৌঁছতে স্বাভাবিক সময়ে ১৫-২০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু পিক আওয়ারে এই গন্তব্যে পৌঁছাতে লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জিইসি মোড়গামী আবুল কাশেম নামের এক বাসযাত্রী এমনটাই জানালেন।
ট্রাফিক পুলিশের মতে, সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সড়কজুড়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিং জায়গা না থাকা, যত্রতত্র পার্কিং, মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, ইউ টার্নসহ বিভিন্ন কারণে যানজট লেগে থাকছে।
নাগরিকদের কয়েকজন আরও কিছু কারণ যোগ করে বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ির চলাচল রয়েছে। আবার বিকেল হলেই সড়ক ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায়। এ কারণে সড়কগুলো সংকীর্ণ হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
তীব্র যানজট নিয়ে দিনের পর দিন পার করার অভিজ্ঞতা নগরবাসীর রয়েছে। দীর্ঘ সময় পর কদিন ধরে এই দুর্ভোগ আবার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে নগরবাসীর ঘাড়ে চেপে বসেছে। অসহনীয় এই যানজট সাধারণের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
অসহনীয় যানজটের কথা স্বীকার করে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ)। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় যানজট পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, শহরে জিইসি মোড় থেকে জাকির হোসেন রোডের পোর্ট ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সামান্য দূরত্বে ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৩৬৮৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই। এ সময় অভিভাবকেরা সন্তানদের দিতে ও নিতে গিয়ে গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করছেন। তখন গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। মূলত সে সময় যানজট পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের এই কর্তা বলেন, জাকির হোসেন রোডসহ বিভিন্ন রেল ক্রসিং সম্প্রতি যানজটের আরেকটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের গেটম্যান ট্রেন আসার অনেক আগেই ক্রসিংয়ের দুই পাশে সড়ক বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতে ব্যস্ততম সড়কটিতে মুহূর্তে যানজট তৈরি হয়ে যায়।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘লালখান বাজার থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বর্তমানে ওই সড়কটি বাদ দিয়ে অনেকেই জাকির হোসেন রোড ব্যবহার করছেন। এতে এই সড়কটিতে লোকজনের যাতায়াতও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে গড়ে ওঠা হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সড়কগুলো যানজট মুক্ত রাখার জন্য।’
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা শুধু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখে থাকি। কিন্তু এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ে জড়িয়ে আছে। যা ভিন্ন ভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো দেখে থাকে।’
ট্রাফিক পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘সম্প্রতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মালামাল লোড-আনলোডের পরিমাণ বেশি হচ্ছে। এতে বন্দরের বাইরে ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যানবাহন এখানে জড়ো হচ্ছে। গাড়িগুলো অন্য কোথাও রাখার জায়গা নেই। গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সাময়িকভাবে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে। তবে আমরা এলাকাটি যানজট মুক্ত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে গণপরিবহনে চড়ে জিইসি মোড়ে পৌঁছতে স্বাভাবিক সময়ে ১৫-২০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু পিক আওয়ারে এই গন্তব্যে পৌঁছাতে লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জিইসি মোড়গামী আবুল কাশেম নামের এক বাসযাত্রী এমনটাই জানালেন।
ট্রাফিক পুলিশের মতে, সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সড়কজুড়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিং জায়গা না থাকা, যত্রতত্র পার্কিং, মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, ইউ টার্নসহ বিভিন্ন কারণে যানজট লেগে থাকছে।
নাগরিকদের কয়েকজন আরও কিছু কারণ যোগ করে বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ির চলাচল রয়েছে। আবার বিকেল হলেই সড়ক ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায়। এ কারণে সড়কগুলো সংকীর্ণ হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে