রাজনীতি চর্চার বিষয়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৮: ৩৭
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৫৬

‘ আমাদের দেশ মসজিদ, মন্দির, গির্জার দেশ। এ দেশে এ দেশের সকল সংস্কৃতি, সকল ধর্মের মানুষ সমান মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে।’বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মৌলভীবাজার শহরে মনু নদের পাড়ে শান্তিবাগ এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মন্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজনীতি চর্চার বিষয়। নির্বাচন বয়কট করে বেনামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, এ আবার কী ধরনের কাণ্ড!’

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া প্রমুখ।

মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে এরই মধ্যে বিনোদন কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে, শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২২ সালের জুন মাসে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার শহরের শান্তিবাগ এলাকায় ‘মনু নদের পাড়ে সড়ক, শিশুপার্ক, হাঁটাপথ ও সৌন্দর্যকরণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে চাঁদনীঘাট মনু সেতু থেকে ডাকঘর পর্যন্ত ৮০০ মিটার আরসিসি ঢালাই সড়ক পথ নির্মাণ করা হবে। সড়কের দুপাশে থাকবে হাঁটার পথ। একটি ক্যানটিন। নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক দুটি শৌচাগার। মনু নদের পাড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুল ও নানা জাতের স্থানীয় গাছ লাগানো হবে, থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চ। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৫ টাকা।

পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার প্রথম মেয়াদে শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছি। এখন দ্বিতীয় মেয়াদে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করছি। তারই অংশ হিসেবে মনু নদের তীরে শান্তিবাগ এলাকায় বিনোদন কেন্দ্রের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মন্ত্রী।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ছোট যানবাহন চলাচলের রাস্তা হচ্ছে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ছোট-বড় সবার সময় কাটানোর ব্যবস্থা থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ যাতে নিরাপদে হাঁটতে পারেন সে জন্য ওয়াকওয়ে থাকবে। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ফুলসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে। তেমনি মানুষ কিছুটা সময় নদীর পাড়ে বসে, আড্ডা দিয়ে তাদের সময় ভালো করে কাটাতে পারবে। এ ছাড়া পর্যটকেরা আসলে বিকেল এবং সন্ধ্যা উপভোগ করতে পারবেন। আমরা সঠিক সময়ে কাজটি শেষ করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত