আল মাহফুজ
রোমের প্রখ্যাত ফিল্মমেকার সালভাতোর ডি ভিতা। ডাকনাম টোটো। সে আলফ্রেডোর মৃত্যুর খবর শুনে ৩০ বছর পর বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। আলফ্রেডোর সঙ্গে টোটোর ছিল দারুণ সখ্য। বলা চলে, ছোট্ট টোটোর মনে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার সুপ্ত বীজ বৃদ্ধ আলফ্রেডোই বপন করেছিল।
বাড়ি ফিরে টোটো তার গুরু-বন্ধু আলফ্রেডোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির হয়। পেছন থেকে দেখতে পায়, একটি ছোট্ট ছেলে পাদ্রীর পাশাপাশি হেঁটে চলেছে; যেভাবে একদা টোটো হাঁটত। সে জানতে পারে, আলফ্রেডো তার জন্য ‘কিছু একটা’ উপহার রেখে গেছে। পরের দৃশ্যে দেখা যায়, যে সিনেমা হলের সঙ্গে টোটোর শৈশব-কৈশোর জড়িত, সেই পরিত্যক্ত প্রেক্ষাগৃহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
টোটো রোমে ফিরে যায়। তারপর আসে অন্তিম সেই দৃশ্য। ঝকঝকে ফাঁকা সিনেমা হলে সালভাতোরের একা সিনেমা দেখার দৃশ্য। ততক্ষণে আমরা জেনে যাই, টোটোর জন্য আলফ্রেডোর রেখে যাওয়া বস্তু ছিল একগুচ্ছ বাতিল ফিল্ম রিল। অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে সেই রিলের পর্দা উন্মোচিত হতে থাকে।
‘সিনেমা প্যারাদিসো’ টোটোর শহরের একটি সিনেমা হলের নাম। আলফ্রেডো ছিল এই হলের প্রজেকশনিস্ট। শৈশবেই টোটো তার কাছ থেকে ফিল্ম প্রজেকশন বিদ্যা আয়ত্ত করে। আলফ্রেডোর প্রজেকশন রুমে বাতিল রিলের বাক্স থাকত। টোটো তার কাছে ওই বাক্সটি পাওয়ার জন্য আবদার করত সব সময়। সিনেমার শেষ প্রান্তে এসে দেশের নামকরা ফিল্মমেকার টোটো আবিষ্কার করে, আলফ্রেডো তার জন্য রেখে গেছে সেই বাতিল রিলের বাক্স, যেগুলো চার্চের নিষেধাজ্ঞার কারণে তখন সিনেমা হলে দেখানো যেত না।
পর্দাজুড়ে তখন ভেসে উঠছে ছবির পর ছবি। নায়ক-নায়িকার চুম্বনের ছবি। তখনকার দিনের ‘নিষিদ্ধ’ ছবি। অধিকার আর অভিমানের চিরন্তন ছবি। বড় হয়ে যাওয়া টোটোর তখন ছোট্ট টোটোকে মনে পড়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছে, কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আলফ্রেডোর মতো মানুষেরা প্রান্তিক এলাকায় সিনেমা দেখাত। কতটা ভালোবাসা নিয়ে আলফ্রেডো এই বাতিল হওয়া ফিল্ম দিনের পর দিন সংরক্ষণ করেছে। টোটো ঝাপসা চোখে সিনেমা দেখে চলেছে আর সব অভিমান নিমেষে গলে যাচ্ছে। অবিশ্বাসের হাসিতে মুখ চেপে ধরছে। কান্না আটকে রাখতে চাচ্ছে। বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে তার। অনেক দিনের যন্ত্রণা অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে। ওদিকে স্বর্গীয় সিম্ফনি বেজে চলে প্রেক্ষাগৃহে। এই দৃশ্য দিয়ে শেষ হয় ‘সিনেমা প্যারাদিসো’। আমরা যতবার এই দৃশ্য দেখি, চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
রোমের প্রখ্যাত ফিল্মমেকার সালভাতোর ডি ভিতা। ডাকনাম টোটো। সে আলফ্রেডোর মৃত্যুর খবর শুনে ৩০ বছর পর বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। আলফ্রেডোর সঙ্গে টোটোর ছিল দারুণ সখ্য। বলা চলে, ছোট্ট টোটোর মনে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার সুপ্ত বীজ বৃদ্ধ আলফ্রেডোই বপন করেছিল।
বাড়ি ফিরে টোটো তার গুরু-বন্ধু আলফ্রেডোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির হয়। পেছন থেকে দেখতে পায়, একটি ছোট্ট ছেলে পাদ্রীর পাশাপাশি হেঁটে চলেছে; যেভাবে একদা টোটো হাঁটত। সে জানতে পারে, আলফ্রেডো তার জন্য ‘কিছু একটা’ উপহার রেখে গেছে। পরের দৃশ্যে দেখা যায়, যে সিনেমা হলের সঙ্গে টোটোর শৈশব-কৈশোর জড়িত, সেই পরিত্যক্ত প্রেক্ষাগৃহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
টোটো রোমে ফিরে যায়। তারপর আসে অন্তিম সেই দৃশ্য। ঝকঝকে ফাঁকা সিনেমা হলে সালভাতোরের একা সিনেমা দেখার দৃশ্য। ততক্ষণে আমরা জেনে যাই, টোটোর জন্য আলফ্রেডোর রেখে যাওয়া বস্তু ছিল একগুচ্ছ বাতিল ফিল্ম রিল। অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে সেই রিলের পর্দা উন্মোচিত হতে থাকে।
‘সিনেমা প্যারাদিসো’ টোটোর শহরের একটি সিনেমা হলের নাম। আলফ্রেডো ছিল এই হলের প্রজেকশনিস্ট। শৈশবেই টোটো তার কাছ থেকে ফিল্ম প্রজেকশন বিদ্যা আয়ত্ত করে। আলফ্রেডোর প্রজেকশন রুমে বাতিল রিলের বাক্স থাকত। টোটো তার কাছে ওই বাক্সটি পাওয়ার জন্য আবদার করত সব সময়। সিনেমার শেষ প্রান্তে এসে দেশের নামকরা ফিল্মমেকার টোটো আবিষ্কার করে, আলফ্রেডো তার জন্য রেখে গেছে সেই বাতিল রিলের বাক্স, যেগুলো চার্চের নিষেধাজ্ঞার কারণে তখন সিনেমা হলে দেখানো যেত না।
পর্দাজুড়ে তখন ভেসে উঠছে ছবির পর ছবি। নায়ক-নায়িকার চুম্বনের ছবি। তখনকার দিনের ‘নিষিদ্ধ’ ছবি। অধিকার আর অভিমানের চিরন্তন ছবি। বড় হয়ে যাওয়া টোটোর তখন ছোট্ট টোটোকে মনে পড়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছে, কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আলফ্রেডোর মতো মানুষেরা প্রান্তিক এলাকায় সিনেমা দেখাত। কতটা ভালোবাসা নিয়ে আলফ্রেডো এই বাতিল হওয়া ফিল্ম দিনের পর দিন সংরক্ষণ করেছে। টোটো ঝাপসা চোখে সিনেমা দেখে চলেছে আর সব অভিমান নিমেষে গলে যাচ্ছে। অবিশ্বাসের হাসিতে মুখ চেপে ধরছে। কান্না আটকে রাখতে চাচ্ছে। বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে তার। অনেক দিনের যন্ত্রণা অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে। ওদিকে স্বর্গীয় সিম্ফনি বেজে চলে প্রেক্ষাগৃহে। এই দৃশ্য দিয়ে শেষ হয় ‘সিনেমা প্যারাদিসো’। আমরা যতবার এই দৃশ্য দেখি, চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে