সমঝোতা ভন্ডুলে কারও ইন্ধনে এসব ঘটতে পারে

মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম
Thumbnail image

বান্দরবানের রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুটের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে। ওখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যাঁদের সজাগ হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা হয়তো এক ধরনের আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন। কারণ কুকি চিনের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে। আগামী ১৬ তারিখে চূড়ান্ত সমঝোতা হবে। তাঁরা ভেবেছেন, এখানে অন্য কোনো সন্ত্রাসী দল তৎপর নেই। গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় ব্যাংক থেকে টাকা ও অস্ত্র লুটের সময় সেখানে দেড় ঘণ্টা ধরে অনেক সন্ত্রাসী একসঙ্গে অবস্থান করছিল।

মসজিদে ঢুকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে বের করে আনা হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলের আশপাশে কেউ সহযোগিতা চেয়ে কাউকে মোবাইলও করেনি আশপাশের থানায়। দুই-আড়াই কিলোমিটারের দূরত্বে আর্মি ক্যাম্প রয়েছে। বর্তমানে আধুনিক যোগাযোগের সময়ে মোবাইল ফোন আছে পকেটে পকেটে। আনসার সদস্যরাও কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই অস্ত্র দিয়ে দিয়েছেন। একটা গুলিও ফোটাননি। তা ছাড়া ঘটনাটি পাহাড়ের গহিন অরণ্যে নয়, এটা ঘটেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রুমা শহরে।

ওই একই লোক থানছিতে গিয়ে পরপর দুটি ব্যাংক দিনদুপুরে কীভাবে ডাকাতি করে। বিষয়গুলো একেবারেই হযবরল মনে হচ্ছে আমার কাছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার কথা, এটা ভন্ডুল করার একটা ইন্ধন আছে হয়তো। হয়তো কুকি চিনের মদদদাতারা চাইছে না সহজে সমঝোতার মাধ্যমে সেখানে শান্তি বিরাজ করুক। গতকাল দিনের বেলায় আবার ব্যাংক লুটের কথা কেউ হয়তো ভাবেনি। প্রথম ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ট্র্যাকিং করে চিহ্নিত করার দরকার ছিল। তাহলে আরেক ধাপে ব্যাংক লুটের সুযোগ তারা পেত না। তারা তো দৌড়ের ওপর থাকার কথা।

দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পাহাড়ি অঞ্চলে আজকে এই ব্যাংক লুট হবে, কালকে ওই ব্যাংক লুট হবে। ছোট ছোট সন্ত্রাসী গ্রুপ আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে। সহজে টাকা লুটের ঘটনা আরও ঘটবে। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। ব্যবস্থা না নিলে ডাকাতেরা এমন বার্তা পাবে যে ব্যাংক লুট করে আরাম করে খাওয়া যায়।

লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত