ঘিওরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে শুকনা বীজতলা পদ্ধতির

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৫
Thumbnail image

পোকা, নানা ধরনের ছত্রাকের আক্রমণ, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে ইরি-বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এমন ঘটনা প্রতিবছরই ঘটছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে কৃষকেরা এখন শুকনা (পলিথিন ঢাকা দিয়ে) বীজতলা তৈরি করছেন। কম সময়ে স্বাস্থ্যবান ও ভালো চারা পাওয়ায় এরই মধ্যে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান আবাদের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত মানিকগঞ্জের ঘিওরের কৃষকেরা। এখন তাঁরা বীজতলা পরিচর্যা ও বোরো চারা আবাদের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাদামাটিতে বীজতলা তৈরির পাশাপাশি পলিথিন পদ্ধতির বীজতলা তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন এলাকার কৃষকেরা। ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ পদ্ধতি।

বানিয়াজুরীর রাথুরা গ্রামের কৃষক কবির খান বলেন, ‘রোপণের সময় কাদামাটির চারার বয়স বেশি হয়ে যায়। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলন হয় না। আর পলিথিন পদ্ধতির চারা সঠিক বয়সে জমিতে রোপণ করা যায়। ফলনও হয় ভালো।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২৮৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫ হেক্টরই পলিথিন বীজতলা। উপজেলায় যেসব বীজতলা তৈরি করা হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বীজ গজানোর পর রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের বেলায় পলিথিন তুলে ফেলতে হয়। মাঝেমধ্যে সেচ দিতে হয়। পলিথিন ঢাকা দিয়ে তৈরি বীজতলা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় নষ্ট হয় না এবং সময়মতো জমিতে বপন করা যায়।

ঘিওর সদর ইউনিয়নের মাইলাঘী গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘তিন বছর ধরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা তৈরি করছি। এতে শীতে বীজতলা নষ্ট হয় না। ফলন ভালো হয়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ‘তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ কারণে আমরা কৃষকদের পলিথিনের ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এভাবে বীজতলা তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত