রাজশাহী প্রতিনিধি
আমের জন্য প্রসিদ্ধ রাজশাহী। আর রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু আম জেলার বাঘা উপজেলায়। সবচেয়ে বেশি আমবাগানও এই উপজেলায়। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো, চলতি মৌসুমে বাঘায় আমের মুকুল এসেছে সবচেয়ে কম। তাই গাছে আমের সংখ্যাও অনেক কম। এতে হতাশ বাঘার চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়ার কারণে বাঘায় এবার ফলন কম।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর ৯ উপজেলা ও মহানগরে এবার ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদন হতে পারে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন।
সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে বাঘা উপজেলায়। বাঘায় এবার মুকুল আসার হার মাত্র ৬০ শতাংশ। গত বছর মুকুল এসেছিল ৮৫ শতাংশ। এবার হেক্টরপ্রতি সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন হিসেবে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৬ হাজার ৮৪১ মেট্রিক টন।
জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমবাগান চারঘাটে। এখানকার ৩ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ হাজার ২৮৯ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। চারঘাটের মাত্র ৬৫ শতাংশ গাছে এবার মুকুল এসেছিল। গতবার এই হার ছিল ৯০ শতাংশ।
কৃষি বিভাগের হিসাবে রাজশাহী মহানগরে ২০৮ হেক্টর, পবায় ৯২০, তানোরে ৩৬০, মোহনপুরে ৪০৭, বাগমারায় ৫৬৫, দুর্গাপুরে ৮৫০, পুঠিয়ায় ১ হাজার ৫৩০ এবং গোদাগাড়ীতে ১ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। নগরে ৭৮ শতাংশ, পবায় ৯৫, তানোরে ৮০, মোহনপুরে ৯০, বাগমারায় ৮৫, পুঠিয়ায় ৮০ এবং গোদাগাড়ীতে ৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।
রাজশাহী মহানগরে হেক্টরপ্রতি ১২ দশমিক ১২, পবায় ১২ দশমিক ১০, তানোরে ১২, মোহনপুরে ১২ দশমিক ১৭, বাগমারায় ১২ দশমিক ১৫, দুর্গাপুরে ১২ দশমিক ২০, পুঠিয়ায় ১২ দশমিক ১০ এবং গোদাগাড়ীতে ১২ দশমিক ১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষি বিভাগ আশা করছে, শহরে ২ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন, পবায় ১১ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন, তানোরে ৪ হাজার ৩২০, মোহনপুরে ৪ হাজার ৯৫৩, বাগমারায় ৬ হাজার ৮৬৫, দুর্গাপুরে ১০ হাজার ৩৭০, পুঠিয়ায় ১৮ হাজার ৫১৩ এবং গোদাগাড়ীতে ১৪ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।
রাজশাহীর শালবাগানের আম ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাঘায় তাঁর তিনটি বাগান ইজারা নেওয়া। রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি আম হয় বাঘায়। বাঘার আম সুস্বাদুও। ঢাকা থেকে যাঁরা অর্ডার দেন, তাঁরা বাঘার আমই চান। কিন্তু এবার বাঘার গাছে আম কম।
বাঘার মনিগ্রাম এলাকার ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামও একই কথা জানালেন। আমিরুল জানান, তিন বছরের জন্য তিনি বাঘার ১৫ বিঘা আমবাগান ইজারা নিয়েছেন। গত বছর রমজান ও করোনার কারণে আমে ভালো দাম পাননি। ভেবেছিলেন গতবার আর এবারের আমে ইজারা নেওয়া টাকা উঠে আসবে। আগামী বছর শুধু লাভ হবে। কিন্তু গাছে এত কম আম যে সে আশা করতে পারছেন না।
বাঘায় আমের ফলন কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, এক বছর আম বেশি হলে পরের বছর সাধারণত কম হয়। তা ছাড়া আবহাওয়াগত নানা কারণও থাকে। এবার বাঘায় কিছুই আমের উপযোগী ছিল না। খেয়াল করলে বাঘার পাশের চারঘাট উপজেলারও একই অবস্থা দেখা যায়।
তবে গাছে কম থাকলেও ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, গাছে আম বেশি থাকলে আমে আমে ধাক্কা খেয়ে ঝরে পড়ে। পাতলা থাকলে পড়ে না। কম আম বড়ও হয়। তাই ফলনে খুব একটা সমস্যা হবে না। এবার আমের দামও ভালো থাকবে। চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
গত ১৩ মে থেকে রাজশাহীতে গুটি জাতের আম নামানো শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ বা লখনা, ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা।
আমের জন্য প্রসিদ্ধ রাজশাহী। আর রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু আম জেলার বাঘা উপজেলায়। সবচেয়ে বেশি আমবাগানও এই উপজেলায়। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো, চলতি মৌসুমে বাঘায় আমের মুকুল এসেছে সবচেয়ে কম। তাই গাছে আমের সংখ্যাও অনেক কম। এতে হতাশ বাঘার চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়ার কারণে বাঘায় এবার ফলন কম।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর ৯ উপজেলা ও মহানগরে এবার ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদন হতে পারে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন।
সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে বাঘা উপজেলায়। বাঘায় এবার মুকুল আসার হার মাত্র ৬০ শতাংশ। গত বছর মুকুল এসেছিল ৮৫ শতাংশ। এবার হেক্টরপ্রতি সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন হিসেবে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৬ হাজার ৮৪১ মেট্রিক টন।
জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমবাগান চারঘাটে। এখানকার ৩ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ হাজার ২৮৯ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। চারঘাটের মাত্র ৬৫ শতাংশ গাছে এবার মুকুল এসেছিল। গতবার এই হার ছিল ৯০ শতাংশ।
কৃষি বিভাগের হিসাবে রাজশাহী মহানগরে ২০৮ হেক্টর, পবায় ৯২০, তানোরে ৩৬০, মোহনপুরে ৪০৭, বাগমারায় ৫৬৫, দুর্গাপুরে ৮৫০, পুঠিয়ায় ১ হাজার ৫৩০ এবং গোদাগাড়ীতে ১ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। নগরে ৭৮ শতাংশ, পবায় ৯৫, তানোরে ৮০, মোহনপুরে ৯০, বাগমারায় ৮৫, পুঠিয়ায় ৮০ এবং গোদাগাড়ীতে ৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।
রাজশাহী মহানগরে হেক্টরপ্রতি ১২ দশমিক ১২, পবায় ১২ দশমিক ১০, তানোরে ১২, মোহনপুরে ১২ দশমিক ১৭, বাগমারায় ১২ দশমিক ১৫, দুর্গাপুরে ১২ দশমিক ২০, পুঠিয়ায় ১২ দশমিক ১০ এবং গোদাগাড়ীতে ১২ দশমিক ১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষি বিভাগ আশা করছে, শহরে ২ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন, পবায় ১১ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন, তানোরে ৪ হাজার ৩২০, মোহনপুরে ৪ হাজার ৯৫৩, বাগমারায় ৬ হাজার ৮৬৫, দুর্গাপুরে ১০ হাজার ৩৭০, পুঠিয়ায় ১৮ হাজার ৫১৩ এবং গোদাগাড়ীতে ১৪ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।
রাজশাহীর শালবাগানের আম ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাঘায় তাঁর তিনটি বাগান ইজারা নেওয়া। রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি আম হয় বাঘায়। বাঘার আম সুস্বাদুও। ঢাকা থেকে যাঁরা অর্ডার দেন, তাঁরা বাঘার আমই চান। কিন্তু এবার বাঘার গাছে আম কম।
বাঘার মনিগ্রাম এলাকার ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামও একই কথা জানালেন। আমিরুল জানান, তিন বছরের জন্য তিনি বাঘার ১৫ বিঘা আমবাগান ইজারা নিয়েছেন। গত বছর রমজান ও করোনার কারণে আমে ভালো দাম পাননি। ভেবেছিলেন গতবার আর এবারের আমে ইজারা নেওয়া টাকা উঠে আসবে। আগামী বছর শুধু লাভ হবে। কিন্তু গাছে এত কম আম যে সে আশা করতে পারছেন না।
বাঘায় আমের ফলন কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, এক বছর আম বেশি হলে পরের বছর সাধারণত কম হয়। তা ছাড়া আবহাওয়াগত নানা কারণও থাকে। এবার বাঘায় কিছুই আমের উপযোগী ছিল না। খেয়াল করলে বাঘার পাশের চারঘাট উপজেলারও একই অবস্থা দেখা যায়।
তবে গাছে কম থাকলেও ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, গাছে আম বেশি থাকলে আমে আমে ধাক্কা খেয়ে ঝরে পড়ে। পাতলা থাকলে পড়ে না। কম আম বড়ও হয়। তাই ফলনে খুব একটা সমস্যা হবে না। এবার আমের দামও ভালো থাকবে। চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
গত ১৩ মে থেকে রাজশাহীতে গুটি জাতের আম নামানো শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ বা লখনা, ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে