কোরআনের আলোকে জাকাত

ড. মো. শাহজাহান কবীর
Thumbnail image

ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার সম্পদ পবিত্র করেন এবং তাতে বরকত দান করেন। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি জাকাত প্রদানের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো, জাকাত আদায় করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা বাকারা: ৪৩) 
কেউ নির্ধারিত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে এবং তা পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত তার কাছে থাকলে, সেই সম্পদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে জাকাত বলা হয়। বছরের যেকোনো সময় জাকাত আদায় করা যায়। তবে রমজান মাসে জাকাত আদায় আলাদা মর্যাদা বহন করে। কেননা এ সময় আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। 
জাকাত ধনীদের দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং তা দরিদ্রের অধিকার। এ অধিকার মহান আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তাদের অর্থাৎ ধনীদের ধন-সম্পদে অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা যারিয়াত: ১৯) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সোনা-রুপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে খরচ করে না, তাদের কষ্টদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা তাওবা: ৩৪) 
তাই প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত পরকালে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় যথাযথভাবে জাকাত আদায় করা। অন্যকে জাকাত দানে উৎসাহিত করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের যথাযথভাবে জাকাত আদায়ের তৌফিক দান করুন। 

ড. মো. শাহজাহান কবীর
চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত