জাহিদ হাসান, যশোর
শুক্রবার বেলা পৌনে ২টা। যশোর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা রবীন্দ্রনাথ সড়কের (আরএন রোড) নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট মার্কেট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আশপাশের সব দোকানই বন্ধ। এমন সময় দুই যুবক এসে মার্কেটের গেটে ব্যানার টানালেন। তাতে লেখা, ‘ব্যাক বেঞ্চার মেজবান’। ভেতরে ঝাড়ু দিয়ে মেঝেতে পাতা হলো চট।
এর মধ্যে দু-একজন করে ছিন্নমূল, শ্রমজীবীসহ দরিদ্র মানুষ আসতে থাকেন। একটু দূর থেকে কয়েক হাঁড়ি রান্না করা খাবার এবং পরিবেশনের থালা-গ্লাস নিয়ে আসেন আরও কয়েক যুবক। এর মধ্যে বিভিন্ন বয়সী চার শতাধিক মানুষে ভরে যায় এলাকা। শুরু হয় খাবার পরিবেশন। তৃপ্তি ভরে খিচুড়ি-মাংস খেয়ে মানুষগুলো চলে যান। এ জন্য কাউকে কোনো টাকা দিতে হলো না।
দরিদ্র মানুষের জন্য বিনা মূল্যে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার দুপুরে এমন খাবারের ব্যবস্থা করে যশোরের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ব্যাক বেঞ্চার’। খাবার আছে যতক্ষণ, পরিবেশন করা হবে ততক্ষণ—এমন স্লোগান নিয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রথম দিকে ৬০ থেকে ৭০ জন মানুষ খেতে আসলেও এখন তা চার শতাধিক মানুষে দাঁড়িয়েছে, যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খেতে আসা শংকরপুর বস্তির বাসিন্দা প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন বলেন, ‘শহরে ভিক্ষা করি। গত বছর একজনের মাধ্যমে জানতে পারি, এখানে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার ভালোমন্দ খেতে দেয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিক্ষা করে দুপুরে এখানে এসে ভালোমন্দ খাই।’ গহরজান বিবি নামের আরেক ভিক্ষুক বলেন, ‘বাড়িতে মন ভরে খেতে পারিনে। আজ মন ভরে খেয়ে গেলাম। দোয়া করি, আমরা প্রতি মাসে না, প্রতি সপ্তাহে যেন এমনভাবে খেতে পারি।’
সেখানে শ্রমজীবী মানুষকেও দেখা গেল। রিকশাচালক হাবিবুর রহমান জানান, দরিদ্র মানুষ বলে ভালো খাবার সব সময় খেতে পারেন না। খাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই সংগঠন মাসে একবার এমন আয়োজন করে বলে খেতে এসে ভালো লাগে।
ব্যাক বেঞ্চার সংগঠনের সদস্য ১৯ জন। তাঁদের চাঁদার টাকা দিয়ে প্রথমে এই খাবারের আয়োজন শুরু করা হয়। এখন অনেক মানুষ এতে শরিক হচ্ছেন। তাঁদের সহযোগিতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি জাকিউল ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, এই নীতিতে আমরা বিশ্বাসী না। আমরা চাই, যাঁরা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, হতদরিদ্র; তাঁদের নিয়েই ভালো থাকতে। সেই নীতি থেকে এই খাবারের আয়োজন করে আসছি।’
সংগঠনের উপদেষ্টা লেনিন আনোয়ার জানান, শুধু মাসে একবার নয়, প্রতি শুক্রবার খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের।
শুক্রবার বেলা পৌনে ২টা। যশোর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা রবীন্দ্রনাথ সড়কের (আরএন রোড) নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট মার্কেট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আশপাশের সব দোকানই বন্ধ। এমন সময় দুই যুবক এসে মার্কেটের গেটে ব্যানার টানালেন। তাতে লেখা, ‘ব্যাক বেঞ্চার মেজবান’। ভেতরে ঝাড়ু দিয়ে মেঝেতে পাতা হলো চট।
এর মধ্যে দু-একজন করে ছিন্নমূল, শ্রমজীবীসহ দরিদ্র মানুষ আসতে থাকেন। একটু দূর থেকে কয়েক হাঁড়ি রান্না করা খাবার এবং পরিবেশনের থালা-গ্লাস নিয়ে আসেন আরও কয়েক যুবক। এর মধ্যে বিভিন্ন বয়সী চার শতাধিক মানুষে ভরে যায় এলাকা। শুরু হয় খাবার পরিবেশন। তৃপ্তি ভরে খিচুড়ি-মাংস খেয়ে মানুষগুলো চলে যান। এ জন্য কাউকে কোনো টাকা দিতে হলো না।
দরিদ্র মানুষের জন্য বিনা মূল্যে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার দুপুরে এমন খাবারের ব্যবস্থা করে যশোরের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ব্যাক বেঞ্চার’। খাবার আছে যতক্ষণ, পরিবেশন করা হবে ততক্ষণ—এমন স্লোগান নিয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রথম দিকে ৬০ থেকে ৭০ জন মানুষ খেতে আসলেও এখন তা চার শতাধিক মানুষে দাঁড়িয়েছে, যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খেতে আসা শংকরপুর বস্তির বাসিন্দা প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন বলেন, ‘শহরে ভিক্ষা করি। গত বছর একজনের মাধ্যমে জানতে পারি, এখানে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার ভালোমন্দ খেতে দেয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিক্ষা করে দুপুরে এখানে এসে ভালোমন্দ খাই।’ গহরজান বিবি নামের আরেক ভিক্ষুক বলেন, ‘বাড়িতে মন ভরে খেতে পারিনে। আজ মন ভরে খেয়ে গেলাম। দোয়া করি, আমরা প্রতি মাসে না, প্রতি সপ্তাহে যেন এমনভাবে খেতে পারি।’
সেখানে শ্রমজীবী মানুষকেও দেখা গেল। রিকশাচালক হাবিবুর রহমান জানান, দরিদ্র মানুষ বলে ভালো খাবার সব সময় খেতে পারেন না। খাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই সংগঠন মাসে একবার এমন আয়োজন করে বলে খেতে এসে ভালো লাগে।
ব্যাক বেঞ্চার সংগঠনের সদস্য ১৯ জন। তাঁদের চাঁদার টাকা দিয়ে প্রথমে এই খাবারের আয়োজন শুরু করা হয়। এখন অনেক মানুষ এতে শরিক হচ্ছেন। তাঁদের সহযোগিতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি জাকিউল ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, এই নীতিতে আমরা বিশ্বাসী না। আমরা চাই, যাঁরা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, হতদরিদ্র; তাঁদের নিয়েই ভালো থাকতে। সেই নীতি থেকে এই খাবারের আয়োজন করে আসছি।’
সংগঠনের উপদেষ্টা লেনিন আনোয়ার জানান, শুধু মাসে একবার নয়, প্রতি শুক্রবার খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪