ক্রীড়া ডেস্ক
বিখ্যাত ক্রীড়াবিদদের আত্মজীবনী নিয়ে অসংখ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র তাঁদের আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু ক্রীড়াজগতে নেতিবাচক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাঁরা ‘কুখ্যাত’ হয়ে আছেন, তাঁদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ কজন প্রযোজক-পরিচালক-চিত্রনাট্যকার দেখিয়েছেন?
ক্রেইগ রবার্টস-সাইমন ফারনাবি-স্কট মারে আছেন এই তালিকায়। যাঁকে নিয়ে সম্প্রতি ‘দ্য ফ্যান্টম অব দ্য ওপেন’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাঁরা বিশ্বব্যাপী বাহবা কুড়াচ্ছেন, তিনি যে কুখ্যাতি দিয়েই কিংবদন্তি বনে গেছেন! ১৫ বছর আগে ওপারে পাড়ি জমানো মরিস ফ্লিটক্রফট আবার যেন পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।
ফ্লিটক্রফটকে বলা হয় গলফ ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে খেলোয়াড়। ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজও মনে করা হয় তাঁকে। ১৯৭৬ সালের ব্রিটিশ ওপেনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ১২১টি শট (অ্যাটেম্পট) নিতে হয়েছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই এতবার সুযোগ পাওয়ার কথা নয় কোনো গলফারের। তবে ফ্লিটক্রফট নিয়েছিলেন প্রতারণার আশ্রয়। টুর্নামেন্টের আয়োজক দ্য রয়্যাল অ্যান্ড অ্যানসেন্ট গলফ ক্লাবের (সংক্ষেপে আর অ্যান্ড এ) সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছিল তাঁর। ছদ্মবেশ ধারণ করে নাম বদলে বারবার বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। একটি-দুটি নয়; পাঁচটি ছদ্মনাম ছিল তাঁর।
আসল নামে ব্রিটিশ ওপেনের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হতেই বেশভূষা পাল্টে জিনি পাচেকি পরিচয়ে ফের অংশ নেন। এরপর জেরাল্ড হোপি, জেমস বিউ জোলি, আরনল্ড পামট্রি ছদ্মনামে খেলেন। শেষমেশ কাউন্ট ম্যানফ্রেড ভন হফমেন্সটাল নাম ধারণ করে সফল হন।
প্রতারণা করে ব্রিটিশ ওপেন খেলে রাতারাতি তারকা বনে যান ফ্লিটক্রফট। তাঁর ‘হাইপ’ এতটাই বেড়ে যায় যে আইটিভির সে সময়কার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’-এ অতিথি করে আনা হয়। তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ব্লাইদিফিল্ড কান্ট্রি ক্লাব ভোজসভার আয়োজন করে। আশির দশকের শেষ দিকে ক্লাবটি তাঁকে আমন্ত্রণও জানায়। কিন্তু তাঁর খেলা দেখে হতাশ হতে হয় উপস্থিত দর্শকদের। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে ক্লাবটিও। ফ্লিটক্রফটের ছলচাতুরী বুঝতে পারে তারাও। তাঁকে দেখার পর ক্লাবের পেশাদার গলফার বাডি হোয়াইটেনের প্রতিক্রিয়া সেটিরই জানান দেয়, ‘আমরা একটু বেশিই ভেবেছিলাম। আসলে ওকে আনাড়ি গলফার বলাই জুতসই হবে।’
অথচ ম্যানচেস্টারের জন্ম নেওয়া ফ্লিটক্রফটের ৪৫ বছর বয়সের আগেও গলফ নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। তিনি মূলত ছিলেন কপিকল চালক ও আইসক্রিম বিক্রেতা। অভিনয়ের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্লিটক্রফট বলে গেছেন, ‘১৯৭৪ সালের শরতে আমি গলফের প্রেমে পড়ি। খেলাটিকে ভালোবেসেছিলাম। তাই বড় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম।’
ফ্লিটক্রফটের ক্যাডি (গলফের সরঞ্জাম বহনকারী) ছিলেন তাঁর ছেলে জিন। তাঁকে সব সময় কাছ থেকে দেখেছেন জিনই। বাবা প্রতারণা করলেও তাঁকে নিয়ে আজও গর্বিত তিনি, ‘বাবা ছিলেন গলফের সত্যিকারের চরিত্র। খেলাটিকে খুব ভালোবাসতেন। এভাবেই তিনি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।’
বিখ্যাত ক্রীড়াবিদদের আত্মজীবনী নিয়ে অসংখ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র তাঁদের আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু ক্রীড়াজগতে নেতিবাচক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাঁরা ‘কুখ্যাত’ হয়ে আছেন, তাঁদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ কজন প্রযোজক-পরিচালক-চিত্রনাট্যকার দেখিয়েছেন?
ক্রেইগ রবার্টস-সাইমন ফারনাবি-স্কট মারে আছেন এই তালিকায়। যাঁকে নিয়ে সম্প্রতি ‘দ্য ফ্যান্টম অব দ্য ওপেন’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাঁরা বিশ্বব্যাপী বাহবা কুড়াচ্ছেন, তিনি যে কুখ্যাতি দিয়েই কিংবদন্তি বনে গেছেন! ১৫ বছর আগে ওপারে পাড়ি জমানো মরিস ফ্লিটক্রফট আবার যেন পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।
ফ্লিটক্রফটকে বলা হয় গলফ ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে খেলোয়াড়। ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজও মনে করা হয় তাঁকে। ১৯৭৬ সালের ব্রিটিশ ওপেনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ১২১টি শট (অ্যাটেম্পট) নিতে হয়েছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই এতবার সুযোগ পাওয়ার কথা নয় কোনো গলফারের। তবে ফ্লিটক্রফট নিয়েছিলেন প্রতারণার আশ্রয়। টুর্নামেন্টের আয়োজক দ্য রয়্যাল অ্যান্ড অ্যানসেন্ট গলফ ক্লাবের (সংক্ষেপে আর অ্যান্ড এ) সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছিল তাঁর। ছদ্মবেশ ধারণ করে নাম বদলে বারবার বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। একটি-দুটি নয়; পাঁচটি ছদ্মনাম ছিল তাঁর।
আসল নামে ব্রিটিশ ওপেনের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হতেই বেশভূষা পাল্টে জিনি পাচেকি পরিচয়ে ফের অংশ নেন। এরপর জেরাল্ড হোপি, জেমস বিউ জোলি, আরনল্ড পামট্রি ছদ্মনামে খেলেন। শেষমেশ কাউন্ট ম্যানফ্রেড ভন হফমেন্সটাল নাম ধারণ করে সফল হন।
প্রতারণা করে ব্রিটিশ ওপেন খেলে রাতারাতি তারকা বনে যান ফ্লিটক্রফট। তাঁর ‘হাইপ’ এতটাই বেড়ে যায় যে আইটিভির সে সময়কার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’-এ অতিথি করে আনা হয়। তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ব্লাইদিফিল্ড কান্ট্রি ক্লাব ভোজসভার আয়োজন করে। আশির দশকের শেষ দিকে ক্লাবটি তাঁকে আমন্ত্রণও জানায়। কিন্তু তাঁর খেলা দেখে হতাশ হতে হয় উপস্থিত দর্শকদের। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে ক্লাবটিও। ফ্লিটক্রফটের ছলচাতুরী বুঝতে পারে তারাও। তাঁকে দেখার পর ক্লাবের পেশাদার গলফার বাডি হোয়াইটেনের প্রতিক্রিয়া সেটিরই জানান দেয়, ‘আমরা একটু বেশিই ভেবেছিলাম। আসলে ওকে আনাড়ি গলফার বলাই জুতসই হবে।’
অথচ ম্যানচেস্টারের জন্ম নেওয়া ফ্লিটক্রফটের ৪৫ বছর বয়সের আগেও গলফ নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। তিনি মূলত ছিলেন কপিকল চালক ও আইসক্রিম বিক্রেতা। অভিনয়ের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্লিটক্রফট বলে গেছেন, ‘১৯৭৪ সালের শরতে আমি গলফের প্রেমে পড়ি। খেলাটিকে ভালোবেসেছিলাম। তাই বড় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম।’
ফ্লিটক্রফটের ক্যাডি (গলফের সরঞ্জাম বহনকারী) ছিলেন তাঁর ছেলে জিন। তাঁকে সব সময় কাছ থেকে দেখেছেন জিনই। বাবা প্রতারণা করলেও তাঁকে নিয়ে আজও গর্বিত তিনি, ‘বাবা ছিলেন গলফের সত্যিকারের চরিত্র। খেলাটিকে খুব ভালোবাসতেন। এভাবেই তিনি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে