সম্পাদকীয়
ঘোষণা করায় বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। শিক্ষার প্রতি কি কোনো কারণে আমাদের উদাসীনতা বাড়ছে? ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকলে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, সে ক্ষতি নানা উপায়ে পুষিয়েও নেওয়া যায়, কিন্তু শিক্ষা খাতের ক্ষতির প্রভাব সুদূরপ্রসারী, এই ক্ষতি সহজে পোষানো সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় শনিবার ‘শিক্ষার ঘাড়ে করোনার কোপ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে সবার মনে অনেক প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রতিবেদনের শুরুতেই আছে: পূর্বাচলে ধুমধাম করে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা চলছে, খোলা রয়েছে পর্যটনকেন্দ্র। গত শুক্রবার থেকে ক্রিকেটের আসর বিপিএলও শুরু। সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, ঠিক তখনই আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এল।
করোনার কারণে দেড় বছর কার্যত বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে একটু একটু করে চালু হচ্ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পড়াশোনার কার্যক্রম। নতুন বছরের শুরুতে যখন স্কুল-কলেজে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিনের আটকে থাকা পরীক্ষা নিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আবারও নতুন করে শিক্ষাজট বাড়াবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, হঠাৎ করেই শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংক্রমণের হার কমে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এখন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নির্ভর করবে আমাদের সবার ওপর।’
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রভাব-সম্পর্কিত একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার অনাগ্রহ সৃষ্টি হওয়া, একাংশের পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া, মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া, একা থাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া, স্কুলে-পাড়ায় খেলাধুলা-দৌড়াদৌড়ি না থাকায় শারীরিক সমস্যা বাড়া, বইয়ের চেয়ে ডিভাইসে আসক্তি মাত্রাতিরিক্ত হওয়া, পড়তে না বসায় অভিভাবকদের চাপ-বকার কারণে জেদ বেড়ে যাওয়া, নানাবিধ মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়া প্রভৃতি বহু ধরনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য, জানা-অজানা সমস্যা নতুন প্রজন্মের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে, যা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন কতটা বিপর্যস্ত হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
ঘোষণা করায় বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। শিক্ষার প্রতি কি কোনো কারণে আমাদের উদাসীনতা বাড়ছে? ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকলে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, সে ক্ষতি নানা উপায়ে পুষিয়েও নেওয়া যায়, কিন্তু শিক্ষা খাতের ক্ষতির প্রভাব সুদূরপ্রসারী, এই ক্ষতি সহজে পোষানো সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় শনিবার ‘শিক্ষার ঘাড়ে করোনার কোপ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে সবার মনে অনেক প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রতিবেদনের শুরুতেই আছে: পূর্বাচলে ধুমধাম করে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা চলছে, খোলা রয়েছে পর্যটনকেন্দ্র। গত শুক্রবার থেকে ক্রিকেটের আসর বিপিএলও শুরু। সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, ঠিক তখনই আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এল।
করোনার কারণে দেড় বছর কার্যত বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে একটু একটু করে চালু হচ্ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পড়াশোনার কার্যক্রম। নতুন বছরের শুরুতে যখন স্কুল-কলেজে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিনের আটকে থাকা পরীক্ষা নিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আবারও নতুন করে শিক্ষাজট বাড়াবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, হঠাৎ করেই শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংক্রমণের হার কমে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এখন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নির্ভর করবে আমাদের সবার ওপর।’
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রভাব-সম্পর্কিত একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার অনাগ্রহ সৃষ্টি হওয়া, একাংশের পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া, মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া, একা থাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া, স্কুলে-পাড়ায় খেলাধুলা-দৌড়াদৌড়ি না থাকায় শারীরিক সমস্যা বাড়া, বইয়ের চেয়ে ডিভাইসে আসক্তি মাত্রাতিরিক্ত হওয়া, পড়তে না বসায় অভিভাবকদের চাপ-বকার কারণে জেদ বেড়ে যাওয়া, নানাবিধ মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়া প্রভৃতি বহু ধরনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য, জানা-অজানা সমস্যা নতুন প্রজন্মের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে, যা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন কতটা বিপর্যস্ত হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে