আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
জীবনানন্দ দাশ তাঁর বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন, ‘মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে/এমনি হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ।’ এমনই এক তমালগাছের দেখা পাওয়া যায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নারচী গ্রামে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে গাছটি।
তমাল একপ্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বনগাব, মহেশকাণ্ড ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Mottled Ebony বা Bombay ebony। বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros cordifolia। এই গাছের আদিনিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে। সুবিশাল আকৃতি আর শীতল ছায়াই নয়, ভেষজ চিকিৎসাসহ নানা ব্যবহারের জন্যও তমালগাছ সুপরিচিত।
বেসরকারি উদ্ভিদ ও কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিকের গবেষক মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক সময় দেশের প্রায় সব এলাকায় তমালগাছের দেখা মিলত। তবে এখন গাছটি বিলুপ্তপ্রায়। বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এটি। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে তমালগাছকে সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকাভুক্ত করা হয়।
নারচী গ্রামে বাসুদেব মন্দিরের পাশে অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় দাঁড়িয়ে আছে তমালগাছটি। এই গাছ ঘিরে রয়েছে নানা কথা-উপকথা। সম্প্রতি নারচী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬০০ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিশাল পুকুর। সামনে খোলা মাঠ। তার পাশেই দাঁড়িয়ে তমালগাছটি। গাছের শীতল ছায়ায় বসে মন-শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন মানুষ। সেখানেই কথা হলো বাসুদেব মন্দিরের সেবায়েত রাম চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই মন্দিরটি ১৭৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কয়েক বছর পরই তমালগাছটির জন্ম বলে পূর্বপুরুষের কাছে তিনি শুনেছেন। সেই হিসেবে মন্দিরটি ২৭১ বছরের পুরোনো, আর গাছটির বয়স ২৫০ বছরের বেশি।
গ্রামের বাসিন্দা শিবনাথ শীল বলেন, ‘আমার বয়স ৭৩ বছর হয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকে গাছটিকে এভাবেই দেখছি। এমনকি আমার বাবা-কাকারাও গাছটিকে এমন বিশাল আকারেই দেখেছেন বলে তাঁদের মুখে শুনেছি।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. ছোরহাব হোসেন (৬৮) বলেন, দুই শতাব্দী প্রাচীন এই গাছ দেখতে এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই এই গ্রামে আসেন। মন্দির সেবায়েতের ঠাকুর বিঞ্চু চক্রবর্তী বলেন, এ গাছের পাতা লম্বা-আয়তাকার, যা দেখতে অনেকটা পানপাতার মতো। বিষাক্ত বলে তমালের ফল ও পাতার সংস্পর্শে মানুষ আসতে চায় না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মুরব্বিদের মুখ থেকে শোনা যায়, এই তমালগাছটির বয়স ২০০ বছর কিংবা তারও বেশি বয়সী। গাছটির আঙিনাজুড়ে প্রতিবছর দোল ও জামাই মেলা হয়। এ মেলাটিও আনুমানিক ১৫০ বছরের পুরোনো। এই তমালগাছটি আমাদের ইউনিয়নের ঐতিহ্য।’
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তমালের কাণ্ড ঘনকালো গাঁটযুক্ত। এর ছায়া খুব শীতল। ঘিওরের নারচী এলাকায় ২০০ বছরের বেশি বয়সী একটি তমালগাছ রয়েছে। এ রকম বয়স্ক তমালগাছ সচরাচর দেখা যায় না। সে জন্য এর যত্ন নেওয়া দরকার।
জীবনানন্দ দাশ তাঁর বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন, ‘মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে/এমনি হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ।’ এমনই এক তমালগাছের দেখা পাওয়া যায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নারচী গ্রামে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে গাছটি।
তমাল একপ্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বনগাব, মহেশকাণ্ড ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Mottled Ebony বা Bombay ebony। বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros cordifolia। এই গাছের আদিনিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে। সুবিশাল আকৃতি আর শীতল ছায়াই নয়, ভেষজ চিকিৎসাসহ নানা ব্যবহারের জন্যও তমালগাছ সুপরিচিত।
বেসরকারি উদ্ভিদ ও কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিকের গবেষক মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক সময় দেশের প্রায় সব এলাকায় তমালগাছের দেখা মিলত। তবে এখন গাছটি বিলুপ্তপ্রায়। বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এটি। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে তমালগাছকে সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকাভুক্ত করা হয়।
নারচী গ্রামে বাসুদেব মন্দিরের পাশে অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় দাঁড়িয়ে আছে তমালগাছটি। এই গাছ ঘিরে রয়েছে নানা কথা-উপকথা। সম্প্রতি নারচী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬০০ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিশাল পুকুর। সামনে খোলা মাঠ। তার পাশেই দাঁড়িয়ে তমালগাছটি। গাছের শীতল ছায়ায় বসে মন-শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন মানুষ। সেখানেই কথা হলো বাসুদেব মন্দিরের সেবায়েত রাম চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই মন্দিরটি ১৭৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কয়েক বছর পরই তমালগাছটির জন্ম বলে পূর্বপুরুষের কাছে তিনি শুনেছেন। সেই হিসেবে মন্দিরটি ২৭১ বছরের পুরোনো, আর গাছটির বয়স ২৫০ বছরের বেশি।
গ্রামের বাসিন্দা শিবনাথ শীল বলেন, ‘আমার বয়স ৭৩ বছর হয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকে গাছটিকে এভাবেই দেখছি। এমনকি আমার বাবা-কাকারাও গাছটিকে এমন বিশাল আকারেই দেখেছেন বলে তাঁদের মুখে শুনেছি।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. ছোরহাব হোসেন (৬৮) বলেন, দুই শতাব্দী প্রাচীন এই গাছ দেখতে এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই এই গ্রামে আসেন। মন্দির সেবায়েতের ঠাকুর বিঞ্চু চক্রবর্তী বলেন, এ গাছের পাতা লম্বা-আয়তাকার, যা দেখতে অনেকটা পানপাতার মতো। বিষাক্ত বলে তমালের ফল ও পাতার সংস্পর্শে মানুষ আসতে চায় না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মুরব্বিদের মুখ থেকে শোনা যায়, এই তমালগাছটির বয়স ২০০ বছর কিংবা তারও বেশি বয়সী। গাছটির আঙিনাজুড়ে প্রতিবছর দোল ও জামাই মেলা হয়। এ মেলাটিও আনুমানিক ১৫০ বছরের পুরোনো। এই তমালগাছটি আমাদের ইউনিয়নের ঐতিহ্য।’
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তমালের কাণ্ড ঘনকালো গাঁটযুক্ত। এর ছায়া খুব শীতল। ঘিওরের নারচী এলাকায় ২০০ বছরের বেশি বয়সী একটি তমালগাছ রয়েছে। এ রকম বয়স্ক তমালগাছ সচরাচর দেখা যায় না। সে জন্য এর যত্ন নেওয়া দরকার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে