দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
‘শিক্ষার কোনো বয়স নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই’—এমন স্লোগান চারপাশে অহরহ শোনা যায়। কিন্তু এই কথা মেনে কজনইবা আর বুড়ো বয়সে স্কুলে যান। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স যে কোনো বাধা নয়, তারই যেন জলজ্যান্ত উদাহরণ জলিদা বেগম। অভাবের সংসারে ছোট বয়সে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি চল্লিশ বছর বয়সী এই নারী কাউন্সিলর। কিন্তু তাতে কী! সম্প্রতি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ঠিকই পরীক্ষায় বসে গেছেন তিনি।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল) ফাইনাল পরীক্ষা হচ্ছে ওই স্কুলে। কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বসেই পরীক্ষায় অংশ নেন তিন সন্তানের জননী জলিদা বেগম। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুর পৌর এলাকার নান্দোপাড়া গ্রামে। তিনি এবারের দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন ৪, ৫, ৬ সিংগা-বহরমপুর, রৈপাড়া ও নান্দোপাড়া-চৌপুকুরিয়া ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
আজকের পত্রিকাকে কাউন্সিলর জলিদা বেগম বলেন, ‘সংসারে খুব অভাব ছিল। যে কারণে ছোট বয়সেই বাবা-মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর স্কুলে যেতে পারিনি আর। এই বয়সে এসে ভাবলাম, সাংসারিক জীবন ও জনসেবার পাশাপাশি চাইলে তো আমি লেখাপড়াও করতে পারি। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি সত্যিই আজ পরীক্ষা দিচ্ছি।’
জলিদা জানান, স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রথম প্রথম কয়েক দিন তিনি ক্লাসও করেছেন। অল্প বয়সী সহপাঠীরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছে। এরপর কাজের ব্যস্ততায় ক্লাস করতে না পারলেও ঠিকই বাসায় বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দরকার হলে দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষকদের।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, জলিদা ২০২১ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির ভোকেশনালে ভর্তি হন। এটি অন্যদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জলিদার পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বয়স বেশি হলেও জলিদার পড়াশোনায় খুব আগ্রহ। পরীক্ষা তিনি ভালোই দিচ্ছেন। এমনকি এত বছর পর লিখতে বসেও তাঁর মধ্যে কোনো জড়তা নেই।’
‘শিক্ষার কোনো বয়স নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই’—এমন স্লোগান চারপাশে অহরহ শোনা যায়। কিন্তু এই কথা মেনে কজনইবা আর বুড়ো বয়সে স্কুলে যান। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স যে কোনো বাধা নয়, তারই যেন জলজ্যান্ত উদাহরণ জলিদা বেগম। অভাবের সংসারে ছোট বয়সে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি চল্লিশ বছর বয়সী এই নারী কাউন্সিলর। কিন্তু তাতে কী! সম্প্রতি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ঠিকই পরীক্ষায় বসে গেছেন তিনি।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল) ফাইনাল পরীক্ষা হচ্ছে ওই স্কুলে। কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বসেই পরীক্ষায় অংশ নেন তিন সন্তানের জননী জলিদা বেগম। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুর পৌর এলাকার নান্দোপাড়া গ্রামে। তিনি এবারের দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন ৪, ৫, ৬ সিংগা-বহরমপুর, রৈপাড়া ও নান্দোপাড়া-চৌপুকুরিয়া ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
আজকের পত্রিকাকে কাউন্সিলর জলিদা বেগম বলেন, ‘সংসারে খুব অভাব ছিল। যে কারণে ছোট বয়সেই বাবা-মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর স্কুলে যেতে পারিনি আর। এই বয়সে এসে ভাবলাম, সাংসারিক জীবন ও জনসেবার পাশাপাশি চাইলে তো আমি লেখাপড়াও করতে পারি। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি সত্যিই আজ পরীক্ষা দিচ্ছি।’
জলিদা জানান, স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রথম প্রথম কয়েক দিন তিনি ক্লাসও করেছেন। অল্প বয়সী সহপাঠীরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছে। এরপর কাজের ব্যস্ততায় ক্লাস করতে না পারলেও ঠিকই বাসায় বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দরকার হলে দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষকদের।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, জলিদা ২০২১ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির ভোকেশনালে ভর্তি হন। এটি অন্যদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জলিদার পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বয়স বেশি হলেও জলিদার পড়াশোনায় খুব আগ্রহ। পরীক্ষা তিনি ভালোই দিচ্ছেন। এমনকি এত বছর পর লিখতে বসেও তাঁর মধ্যে কোনো জড়তা নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে