সাদ্দাম হোসেন, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এখনো ট্রেনই ভরসা। কিন্তু এই ভ্রমণ এখন ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হচ্ছেন চালক-যাত্রীসহ অনেকে। দুই দিন আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে আখাউড়ায়। এদিকে পুলিশের কড়া নজরদারির পরও থামছে না পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ৯ মাসে রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে ১১০টি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাথর নিক্ষেপের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯ জন যাত্রী। ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি। এদিকে রেলওয়ে কন্ট্রোল রুম (ঢাকা বিভাগ) সূত্র জানায়, আখাউড়া-সিলেট, আখাউড়া-ময়মনসিংহ ও আখাউড়া-ঢাকা রেলপথে ২০২১ সালে এক বছরে এ রেলপথের চলন্ত ট্রেনে ৩৯টা পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনযাত্রী, গার্ড, চালক আহত হওয়া ছাড়াও ট্রেনসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, গত এক বছরে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলকারী আন্তনগর ও মেইল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের দায়িত্বরত গার্ড, চালকসহ যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এতে কেউ চোখ হারিয়েছেন, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চলতি মাসের ৫ তারিখে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পাথরে জখম হয়েছেন সহকারী ট্রেনচালক তৌহিদুল মুরসালিন। এতে জানালার কাচ ভেঙে ট্রেনের সহকারী চালক তৌহিদুল মুরসালিনের মাথার এক পাশ ফেটে যায়।
আহত তৌহিদুল মুরসালিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট থেকে ৯৫২ নম্বর তেলবাহী ট্রেন নিয়ে আখাউড়া আসছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মনতলা স্টেশনের আউটারে পৌঁছার পর হঠাৎ করে ইঞ্জিনে কয়েকটি ঢিল পড়ে। এ সময় একটি পাথর তাঁর মাথায় এসে পড়ে। এতে কপালের এক পাশ ফেটে যায়। পরে মনতলা স্টেশনে একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে আখাউড়ামুখী তিতাস কমিউটার ট্রেনে রাত পৌনে ১০টার দিকে আখাউড়া রেলসেকশনের পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরের আঘাতে জসিম উদ্দিন নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পেশায় তিনি একজন হকার।
২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনে সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশকালে দক্ষিণ আউটার সিগন্যাল এলাকায় লাদেন (২০), হৃদয় (১৯) ও আতিক (২০) এলোপাতাড়িভাবে ওই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে। ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে যাত্রীরা ঘটনাটি কর্তব্যরত স্টেশন ডিউটিরত রেলওয়ে পুলিশকে জানান। পরে তারা ওই তিন যুবককে আটক করে।
এ রকম একাধিক আটকের ঘটনা ঘটেছে পূর্বাঞ্চল রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে কারও শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যারা চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ছে, তারা সেটাকে অপরাধ বলে মনে করে না। শুধু আনন্দ পেতে অনেকে এই কাজ করছে। আবার অনেকে হয়তো ভাবে পাথর ছোড়া হলে ট্রেন থামবে কিংবা কিছু জিনিসপত্র কুড়িয়ে পাওয়া যাবে। মূলত এটা করে তারা অসুস্থ আনন্দ পাচ্ছে।
এমন ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও মনোবিকৃতি ঘটা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। জিআরপি সূত্রে জানা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িত ৮০ ভাগই বস্তির শিশু-কিশোর এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি। বস্তির শিশুদের আটক করা হলেও প্রমাণের অভাবে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মাজহারুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া মারাত্মক অপরাধ। এতে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি বিপন্ন হচ্ছে মানুষের জীবন।
জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোনো দুষ্কৃতকারীকে দেখা মাত্র যেন তাদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায় রেলওয়ে থানার আয়োজনে স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, বিনা টিকিটে রেলভ্রমণ, ট্রেনে অবৈধ মালামাল পরিবহন, চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন, ইভ টিজিং রোধে বিট পুলিশিং সভাও করা হচ্ছে।
যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এখনো ট্রেনই ভরসা। কিন্তু এই ভ্রমণ এখন ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হচ্ছেন চালক-যাত্রীসহ অনেকে। দুই দিন আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে আখাউড়ায়। এদিকে পুলিশের কড়া নজরদারির পরও থামছে না পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ৯ মাসে রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে ১১০টি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাথর নিক্ষেপের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯ জন যাত্রী। ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি। এদিকে রেলওয়ে কন্ট্রোল রুম (ঢাকা বিভাগ) সূত্র জানায়, আখাউড়া-সিলেট, আখাউড়া-ময়মনসিংহ ও আখাউড়া-ঢাকা রেলপথে ২০২১ সালে এক বছরে এ রেলপথের চলন্ত ট্রেনে ৩৯টা পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনযাত্রী, গার্ড, চালক আহত হওয়া ছাড়াও ট্রেনসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, গত এক বছরে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলকারী আন্তনগর ও মেইল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের দায়িত্বরত গার্ড, চালকসহ যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এতে কেউ চোখ হারিয়েছেন, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চলতি মাসের ৫ তারিখে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পাথরে জখম হয়েছেন সহকারী ট্রেনচালক তৌহিদুল মুরসালিন। এতে জানালার কাচ ভেঙে ট্রেনের সহকারী চালক তৌহিদুল মুরসালিনের মাথার এক পাশ ফেটে যায়।
আহত তৌহিদুল মুরসালিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট থেকে ৯৫২ নম্বর তেলবাহী ট্রেন নিয়ে আখাউড়া আসছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মনতলা স্টেশনের আউটারে পৌঁছার পর হঠাৎ করে ইঞ্জিনে কয়েকটি ঢিল পড়ে। এ সময় একটি পাথর তাঁর মাথায় এসে পড়ে। এতে কপালের এক পাশ ফেটে যায়। পরে মনতলা স্টেশনে একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে আখাউড়ামুখী তিতাস কমিউটার ট্রেনে রাত পৌনে ১০টার দিকে আখাউড়া রেলসেকশনের পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরের আঘাতে জসিম উদ্দিন নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পেশায় তিনি একজন হকার।
২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনে সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশকালে দক্ষিণ আউটার সিগন্যাল এলাকায় লাদেন (২০), হৃদয় (১৯) ও আতিক (২০) এলোপাতাড়িভাবে ওই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে। ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে যাত্রীরা ঘটনাটি কর্তব্যরত স্টেশন ডিউটিরত রেলওয়ে পুলিশকে জানান। পরে তারা ওই তিন যুবককে আটক করে।
এ রকম একাধিক আটকের ঘটনা ঘটেছে পূর্বাঞ্চল রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে কারও শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যারা চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ছে, তারা সেটাকে অপরাধ বলে মনে করে না। শুধু আনন্দ পেতে অনেকে এই কাজ করছে। আবার অনেকে হয়তো ভাবে পাথর ছোড়া হলে ট্রেন থামবে কিংবা কিছু জিনিসপত্র কুড়িয়ে পাওয়া যাবে। মূলত এটা করে তারা অসুস্থ আনন্দ পাচ্ছে।
এমন ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও মনোবিকৃতি ঘটা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। জিআরপি সূত্রে জানা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িত ৮০ ভাগই বস্তির শিশু-কিশোর এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি। বস্তির শিশুদের আটক করা হলেও প্রমাণের অভাবে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মাজহারুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া মারাত্মক অপরাধ। এতে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি বিপন্ন হচ্ছে মানুষের জীবন।
জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোনো দুষ্কৃতকারীকে দেখা মাত্র যেন তাদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায় রেলওয়ে থানার আয়োজনে স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, বিনা টিকিটে রেলভ্রমণ, ট্রেনে অবৈধ মালামাল পরিবহন, চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন, ইভ টিজিং রোধে বিট পুলিশিং সভাও করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে