Ajker Patrika

জমেনি নগরীর ঈদবাজার

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ২৬
জমেনি নগরীর ঈদবাজার

গত দুই বছর করোনার কারণে বিধিনিষেধ ছিল ঈদের বাজারে। তাই ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে সবকিছু। তাই গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সিলেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে দুই বছর পর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে খুলেছে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ব্যবসায় আগের গতি ফিরে না আসায় পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নগরীর প্রতিটি মার্কেট আর শপিং মলে বাহারি আলোকসজ্জা করা হয়েছে। তবে জিন্দাবাজারের ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, কাকলি শপিং সেন্টার, আল-হামরা শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটসহ কোনো শপিং মলেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন। ক্রেতারাও আসছেন কিন্তু কেনার চেয়ে ঘুরে দেখার প্রবণতা বেশি।

নগরীর জিন্দাবাজরে মিতালি মার্কেটে গজ কাপড় কিনতে এসেছেন জান্নাতুল শাম্মি। তিনি বলেন, কাপড়ের দাম অনেক বেশি। গত বছর যে কাপড় ৬০ টাকা গজে কিনেছি এ বছর সে কাপড় ৭০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা নিম্মি রহমান বলেন, ‘আজ ঘুরে ঘুরে দেখছি ড্রেসের কী কী কালেকশন এসেছে। আরও কয়েক দিন পর কিনব। তবে এবার কাপড়ের দাম অনেক বেশি।’

জিন্দাবাজারে নিউ শ্যামলী মার্কেটের বিক্রেতা সুহেল আহমেদ বলেন, এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। বেশির ভাগ ক্রেতাই এসে কাপড় দেখে দামাদামি করে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কিনছেনও।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের কাকলি শপিং সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন খান বলেন, ‘এবার ঈদে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। তবে এখন দিনের বেলায় ক্রেতারা আসছেন। আশা করছি, ২০ রমজানের পর পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।’

মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ঈদকে ঘিরে নগরের প্রতিটি মার্কেট বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। তবে বিক্রি এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীরা গত দুই বছর করোনার কারণে অনেক লোকসানে রয়েছেন। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।’

এদিকে ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্নে করতে নগরের প্রতি মার্কেটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) এবিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, ১০ রোজার পর থেকে নগরের প্রতিটি তালিকাভুক্ত মার্কেটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি করা হচ্ছে। প্রতিটি চেক পোস্টে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ছাড়া মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার বাড়তি আটটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত