আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
এক প্যাকেট লেস চিপস, আধা কেজি পপকর্ন আর কোকা-কোলার কয়েকটি ছোট ক্যান আমদানিকারকে ব্যক্তিগত উপহার হিসেবেই পণ্যের কনটেইনারে ভরেই পাঠিয়েছিলেন জাপানি রপ্তানিকারক। শুল্ক কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দেখেছে, ১৫ কেজি ওজনের এই সব উপহারসামগ্রীর দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। ঘোষণাবহির্ভূতভাবে পণ্যগুলো কনটেইনারে পাওয়ার কারণে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় আট লাখ টাকা।
মজার ব্যাপার হলো, এই উপহারসামগ্রীর কারণে শুল্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে হয়েছে ২২টি। এক মাসের বেশি সময় ওপর–নিচের দপ্তরে পাঠিয়ে এ-সংক্রান্ত নথিতে সই করেন ৫৭ জন কর্মকর্তা। ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে নিয়োগ দেওয়া হয় বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ছয় কর্মকর্তাকে। পণ্য বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় পাহারাদারের (স্কট অফিসার) মনোনীত বন্দরের তিন নিরাপত্তাকর্মীকে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম ও রাজর্শ্বী চাকমাকে। এই সব আয়োজন সম্পন্ন করে পণ্য খালাসে আমদানিকারকের সময় লাগে ৪৩ দিন, যা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে করা সম্ভব ছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, ঢাকার পুরানা পল্টনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুভাসা মেরিন জাপান থেকে প্রায় ২৭ টন ওজনের ডিজেল, জেনারেটর, ওয়েল্ডিং ওয়্যারসহ নানা ওয়েল্ডিং সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। এই সব সামগ্রীর সঙ্গে একই কনটেইনারে রপ্তানিকারক চিপস, পপকর্নসহ সামান্য কিছু খাবার পাঠায়, যা শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিড়ম্বনায় ফেলে আমদানিকারককে।
আমদানিকারক একেএম সুলতান আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমার এক্সপোর্টার আমাকে ভালোবেসে আধা কেজি পপকর্ন, দেড় কেজি লেস পটেটো চিপস, ছয় কেজি ময়দা এবং সাত কেজি ওজনের কোকাকোলা পাঠিয়েছে খাওয়ার জন্য। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দরের ও শিপিং এজেন্ট এর বিলম্ব মাশুলসহ প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ভাবে হয়রানির শিকার হলে আমরা ব্যবসা করব কীভাবে।’
জানা গেছে, কাস্টমসের এই সব নথিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন উপকমিশনার জাকির হোসেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা জানান। চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অফিসার (প্র.) সুরাইয়া ইসলাম জুঁই স্বীকার করেন, ঘোষণা বহির্ভূত পণ্যের কারণে আমদানিকারক কিছুটা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ পণ্যটি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার পর থেকে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয়। এ কারণে এই পণ্যের চালানটি খালাস করতে অনেক সময় লাগে। পাশাপাশি আমদানিকারককে শিপিং এবং বন্দর চার্জ বাবদ অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হয়েছে।
এক প্যাকেট লেস চিপস, আধা কেজি পপকর্ন আর কোকা-কোলার কয়েকটি ছোট ক্যান আমদানিকারকে ব্যক্তিগত উপহার হিসেবেই পণ্যের কনটেইনারে ভরেই পাঠিয়েছিলেন জাপানি রপ্তানিকারক। শুল্ক কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দেখেছে, ১৫ কেজি ওজনের এই সব উপহারসামগ্রীর দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। ঘোষণাবহির্ভূতভাবে পণ্যগুলো কনটেইনারে পাওয়ার কারণে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় আট লাখ টাকা।
মজার ব্যাপার হলো, এই উপহারসামগ্রীর কারণে শুল্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে হয়েছে ২২টি। এক মাসের বেশি সময় ওপর–নিচের দপ্তরে পাঠিয়ে এ-সংক্রান্ত নথিতে সই করেন ৫৭ জন কর্মকর্তা। ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে নিয়োগ দেওয়া হয় বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ছয় কর্মকর্তাকে। পণ্য বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় পাহারাদারের (স্কট অফিসার) মনোনীত বন্দরের তিন নিরাপত্তাকর্মীকে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম ও রাজর্শ্বী চাকমাকে। এই সব আয়োজন সম্পন্ন করে পণ্য খালাসে আমদানিকারকের সময় লাগে ৪৩ দিন, যা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে করা সম্ভব ছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, ঢাকার পুরানা পল্টনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুভাসা মেরিন জাপান থেকে প্রায় ২৭ টন ওজনের ডিজেল, জেনারেটর, ওয়েল্ডিং ওয়্যারসহ নানা ওয়েল্ডিং সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। এই সব সামগ্রীর সঙ্গে একই কনটেইনারে রপ্তানিকারক চিপস, পপকর্নসহ সামান্য কিছু খাবার পাঠায়, যা শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিড়ম্বনায় ফেলে আমদানিকারককে।
আমদানিকারক একেএম সুলতান আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমার এক্সপোর্টার আমাকে ভালোবেসে আধা কেজি পপকর্ন, দেড় কেজি লেস পটেটো চিপস, ছয় কেজি ময়দা এবং সাত কেজি ওজনের কোকাকোলা পাঠিয়েছে খাওয়ার জন্য। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দরের ও শিপিং এজেন্ট এর বিলম্ব মাশুলসহ প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ভাবে হয়রানির শিকার হলে আমরা ব্যবসা করব কীভাবে।’
জানা গেছে, কাস্টমসের এই সব নথিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন উপকমিশনার জাকির হোসেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা জানান। চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অফিসার (প্র.) সুরাইয়া ইসলাম জুঁই স্বীকার করেন, ঘোষণা বহির্ভূত পণ্যের কারণে আমদানিকারক কিছুটা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ পণ্যটি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার পর থেকে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয়। এ কারণে এই পণ্যের চালানটি খালাস করতে অনেক সময় লাগে। পাশাপাশি আমদানিকারককে শিপিং এবং বন্দর চার্জ বাবদ অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪