তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি মাসের উৎপাদন থেকে গড়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিই অপচয় হচ্ছে। অবৈধ পানির সংযোগ, পাইপলাইন ছিদ্র থাকা এবং বিল কম দেখানো—এই তিন কারণে ঘটছে এই অপচয়। অপচয় হওয়া এসব পানিকে রাজস্ববহির্ভূত পানি বা সিস্টেম লস হিসেবে দেখাচ্ছে সংস্থাটি। চট্টগ্রাম ওয়াসার ৭ মাসের (চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট) ‘ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি (এমআইএস) প্রতিবেদন’ পর্যালোচনা করে পানি অপচয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও পুরো নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা। দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার হলেও সংস্থাটি বর্তমানে ৪১ থেকে ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি প্রান্তিক ওয়ার্ড এখনো পানির সুবিধাবঞ্চিত। বাকি ৩৫টি ওয়ার্ডেও সব সময় পানি মেলে না। অপচয় কমানো গেলে এসব ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ করা যেত। সেই সঙ্গে বাড়ত ওয়াসার রাজস্ব।
পানি অপচয়ের চিত্র
চলতি বছরের মার্চে চট্টগ্রাম ওয়াসা পানি উৎপাদন করেছিল ১১ হাজার ৫৬৬ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু বিল হয়েছে ৮ হাজার ২০২ মিলিয়ন লিটারের। বাকি ৩ হাজার ৩৬৪ মিলিয়ন লিটার পানি অপচয়ের খাতায় চলেছে গেছে, যা মোট উৎপাদনের ২৯ শতাংশ। একইভাবে এপ্রিলে উৎপাদন হয়েছিল ১৩ হাজার ১৮৭ মিলিয়ন লিটার পানি আর বিল হয়েছে ৮ হাজার ৬৭০ মিলিয়ন লিটারের। এ মাসে অপচয় হয়েছে ৪ হাজার ৫১৭ মিলিয়ন লিটার পানি, যা মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ। মে মাসে ১৩ হাজার ৯৫৭ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল করেছে ৯ হাজার ৭৭৬ মিলিয়ন লিটারে। এ মাসে ৪ হাজার ১৮১ মিলিয়ন লিটার অর্থাৎ ৩০ শতাংশ পানি অপচয় দেখানো হয়েছে।
এ ছাড়া জুন মাসে ১৩ হাজার ৯১৭ লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৮ মিলিয়ন লিটার পানি, জুলাই মাসে ১৩ হাজার ৪৮৯ লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৬৬৭ মিলিয়ন লিটার, আগস্টে ১৩ হাজার ৭৫১ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে
৯ হাজার ৫৩২ লিটারের, সেপ্টেম্বরে ১৩ হাজার ৬৩৬ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৩ মিলিয়ন লিটারের। এই চার মাসে যথাক্রমে পানি অপচয় হয়েছে ৩০, ২৮, ৩১ ও ৩১ শতাংশ।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ কারণে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ওয়াসার কয়েক হাজার মিটার নষ্ট। সেগুলোতে পানি ব্যবহার সঠিক হিসাব হচ্ছে না। মিটার রিডারদের অনেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে সঠিক বিল দেন না। এ ছাড়া পাইপলাইনের লিকেজের কারণেও অনেক পানি অপচয় হয়ে যাচ্ছে। মার্চ থেকে জুলাই—এই ছয় মাসেই পাইপলাইনে ১ হাজার ৮৩৬টি লিকেজ হয়েছে।
যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় কর্ণফুলীর পানি কর্ণফুলীতে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি বোর্ডসভায় পানি অপচয় নিয়ে কথা হয়। বোর্ড সদস্যরা তাগাদা দেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পানি অপচয় কমাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তবে পানি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সিস্টেম লসও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পানি সরবরাহ বাড়ায় অনেক এলাকায় পাইপলাইন ছিদ্র হয়। তাতে পানি অপচয় হয়। এ অপচয় কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি মাসের উৎপাদন থেকে গড়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিই অপচয় হচ্ছে। অবৈধ পানির সংযোগ, পাইপলাইন ছিদ্র থাকা এবং বিল কম দেখানো—এই তিন কারণে ঘটছে এই অপচয়। অপচয় হওয়া এসব পানিকে রাজস্ববহির্ভূত পানি বা সিস্টেম লস হিসেবে দেখাচ্ছে সংস্থাটি। চট্টগ্রাম ওয়াসার ৭ মাসের (চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট) ‘ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি (এমআইএস) প্রতিবেদন’ পর্যালোচনা করে পানি অপচয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও পুরো নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা। দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার হলেও সংস্থাটি বর্তমানে ৪১ থেকে ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি প্রান্তিক ওয়ার্ড এখনো পানির সুবিধাবঞ্চিত। বাকি ৩৫টি ওয়ার্ডেও সব সময় পানি মেলে না। অপচয় কমানো গেলে এসব ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ করা যেত। সেই সঙ্গে বাড়ত ওয়াসার রাজস্ব।
পানি অপচয়ের চিত্র
চলতি বছরের মার্চে চট্টগ্রাম ওয়াসা পানি উৎপাদন করেছিল ১১ হাজার ৫৬৬ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু বিল হয়েছে ৮ হাজার ২০২ মিলিয়ন লিটারের। বাকি ৩ হাজার ৩৬৪ মিলিয়ন লিটার পানি অপচয়ের খাতায় চলেছে গেছে, যা মোট উৎপাদনের ২৯ শতাংশ। একইভাবে এপ্রিলে উৎপাদন হয়েছিল ১৩ হাজার ১৮৭ মিলিয়ন লিটার পানি আর বিল হয়েছে ৮ হাজার ৬৭০ মিলিয়ন লিটারের। এ মাসে অপচয় হয়েছে ৪ হাজার ৫১৭ মিলিয়ন লিটার পানি, যা মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ। মে মাসে ১৩ হাজার ৯৫৭ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল করেছে ৯ হাজার ৭৭৬ মিলিয়ন লিটারে। এ মাসে ৪ হাজার ১৮১ মিলিয়ন লিটার অর্থাৎ ৩০ শতাংশ পানি অপচয় দেখানো হয়েছে।
এ ছাড়া জুন মাসে ১৩ হাজার ৯১৭ লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৮ মিলিয়ন লিটার পানি, জুলাই মাসে ১৩ হাজার ৪৮৯ লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৬৬৭ মিলিয়ন লিটার, আগস্টে ১৩ হাজার ৭৫১ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে
৯ হাজার ৫৩২ লিটারের, সেপ্টেম্বরে ১৩ হাজার ৬৩৬ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করলেও বিল হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৩ মিলিয়ন লিটারের। এই চার মাসে যথাক্রমে পানি অপচয় হয়েছে ৩০, ২৮, ৩১ ও ৩১ শতাংশ।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ কারণে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ওয়াসার কয়েক হাজার মিটার নষ্ট। সেগুলোতে পানি ব্যবহার সঠিক হিসাব হচ্ছে না। মিটার রিডারদের অনেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে সঠিক বিল দেন না। এ ছাড়া পাইপলাইনের লিকেজের কারণেও অনেক পানি অপচয় হয়ে যাচ্ছে। মার্চ থেকে জুলাই—এই ছয় মাসেই পাইপলাইনে ১ হাজার ৮৩৬টি লিকেজ হয়েছে।
যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় কর্ণফুলীর পানি কর্ণফুলীতে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি বোর্ডসভায় পানি অপচয় নিয়ে কথা হয়। বোর্ড সদস্যরা তাগাদা দেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পানি অপচয় কমাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তবে পানি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সিস্টেম লসও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পানি সরবরাহ বাড়ায় অনেক এলাকায় পাইপলাইন ছিদ্র হয়। তাতে পানি অপচয় হয়। এ অপচয় কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে