কার ভুলের খেসারত কে দেয়

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৭
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৫

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা বাজারে সারের এক পরিবেশকের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে সাত কৃষককে। ওই সার ব্যবহার করায় সাত কৃষকের তিন একর জমিন ধান গাছ ঝলসে গেছে। অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকেলে মাঠ পরিদর্শন করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সারের ওই পরিবেশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধানের আগাছা মারতে নহাটা বাজারের মেসার্স সুজিদ প্রান্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কৃষ্ণপদ দে নামে এক সার ও কীটনাশক বিক্রেতার দোকান থেকে কীটনাশক কেনেন দুলাল জোমাদ্দার, তাইজেল মোল্যা, লুৎফার রহমান, বাদশা মোল্যাসহ আরও কয়েকজন কৃষক। তাঁরা জমিতে কীটনাশক ছিটানোর পর ধীরে ধীরে জমিন ধানগাছ ঝলসে যেতে শুরু করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতজন কৃষকের তিন একর জমিন ধান ঝলসে যায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষকেরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তাইজেল মোল্যা বলেন, ‘১০ সেপ্টেম্বর নহাটা বাজারের কৃষ্ণপদ দের দোকান থেকে ধানের আগাছানাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করি। পরে ঘাসের বদলে আমার সোনার ধান ঝলসে গেছে। এখন কী হবে আমার।’

দুলাল জোমাদ্দার বলেন, ‘ধার দেনা করে আমি ৯৬ শতাংশ জমিতে ধানের চাষ করি। ধানও ভালো হয়। দোকানের পরামর্শে আগাছানাশক স্প্রে করি। এক সপ্তাহে সব ধান পুড়ে যায়। এখন আমরা কী খাব। সব ধান তো শেষ হয়েছে গেল।’

অনেক খোঁজ করেও ওই পরিবেশককে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলে সুজিত দে জানান, আগাছানাশক যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে সেই বোতলের লেবেল ঠিক থাকলেও ভুলক্রমে ভেতরে অন্য ওষুধ চলে আসছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি প্রতিনিধিরা। তাঁরা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা মিলেছে। ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত