মো. মনিরুজ্জামান ফারুক ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার রহুলবিল। গতকাল শনিবার ছিল এই বিলে মাছ ধরার উৎসব। তাই কাকডাকা ভোর থেকে ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলার হাজারো শৌখিন মৎস্যশিকারি এসে জড়ো হন বিলপাড়ে। শীতের সকালে একে একে নামেন পানিতে। শুরু হয় মাছ ধরা। চলে দুপুর পর্যন্ত। এ সময় রুই, কাতলা, শোল, গজার, বোয়াল, মিনার কার্প, টাকি প্রভৃতি মাছ ধরতে পেরে অনেকে খুশি। আবার অনেকে মাছ শিকার করতে না পেরে মন খারাপ করে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন।
চলনবিল ও নদ-নদীবেষ্টিত এই উপজেলার মানুষ কর্দমাক্ত পানিতে নেমে মহা ধুমধামে মাছ শিকার করেন। যাঁরা মাছ ধরেন, তাঁদের বলা হয় ‘বাউত’। তাই স্থানীয় ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব’। প্রতিবছর শীতের শুরু থেকে মাছ শিকারের এই উৎসব চলে আসছে।
গতকাল আবারও শুরু হয় বাউত উৎসব। চলে দুপুর পর্যন্ত। মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা নানা বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিলের আশপাশে নেমেছিল হাজারো মানুষের ঢল। পুরো বিল এলাকা পরিণত হয় শৌখিন মৎস্যশিকারিদের মিলনমেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছরের নির্ধারিত একটি দিনে ঘোষণা দিয়ে নির্দিষ্ট বিলে মাছ শিকার করা এই অঞ্চলের একটি পুরোনো প্রথা।শুধু জেলেরাই নন, শৌখিন মৎস্যশিকারিরা পলো, বাদাই, খেয়াজাল, ঠেলাজাল প্রভৃতি ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ ধরেন এই উৎসবে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঔল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মিনিট্রাক ভাড়া করে আমরা ২৭ জনের একটি দল এখানে এসেছি মাছ ধরতে। খরাজাল দিয়ে রুই-কাতলা ধরেছি। তবে আশানুরূপ মাছ ধরতে পারিনি।’
পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার দত্তখারুয়া গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, তিনি চারটি শোল মাছ শিকার করতে পেরেছেন। বেশ আনন্দ লাগছে তাঁর। এখানে এত মানুষ একসঙ্গে মাছ ধরতে আসেন। এটা অনেক ভালো লাগে।
ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ী গ্রামের আলতাব হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহুলবিলে মাছ ধরার খবর পেয়ে ভোরবেলায় পলো নিয়ে তাঁরা বিলে হাজির হন; কিন্তু মাছ না পেয়ে তাঁদের খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, এভাবে শিকার করা মাছের বংশবিস্তারের জন্য ক্ষতিকর। তবু এলাকার মানুষ প্রতিবছর এভাবে মাছ শিকারের মাধ্যমে বাউত উৎসব উদ্যাপন করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বাউত উৎসব এই এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য। প্রতিবছর এই উৎসব হয়। এভাবে মাছ শিকার করায় যেন মাছের বংশবিস্তারে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার রহুলবিল। গতকাল শনিবার ছিল এই বিলে মাছ ধরার উৎসব। তাই কাকডাকা ভোর থেকে ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলার হাজারো শৌখিন মৎস্যশিকারি এসে জড়ো হন বিলপাড়ে। শীতের সকালে একে একে নামেন পানিতে। শুরু হয় মাছ ধরা। চলে দুপুর পর্যন্ত। এ সময় রুই, কাতলা, শোল, গজার, বোয়াল, মিনার কার্প, টাকি প্রভৃতি মাছ ধরতে পেরে অনেকে খুশি। আবার অনেকে মাছ শিকার করতে না পেরে মন খারাপ করে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন।
চলনবিল ও নদ-নদীবেষ্টিত এই উপজেলার মানুষ কর্দমাক্ত পানিতে নেমে মহা ধুমধামে মাছ শিকার করেন। যাঁরা মাছ ধরেন, তাঁদের বলা হয় ‘বাউত’। তাই স্থানীয় ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব’। প্রতিবছর শীতের শুরু থেকে মাছ শিকারের এই উৎসব চলে আসছে।
গতকাল আবারও শুরু হয় বাউত উৎসব। চলে দুপুর পর্যন্ত। মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা নানা বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিলের আশপাশে নেমেছিল হাজারো মানুষের ঢল। পুরো বিল এলাকা পরিণত হয় শৌখিন মৎস্যশিকারিদের মিলনমেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছরের নির্ধারিত একটি দিনে ঘোষণা দিয়ে নির্দিষ্ট বিলে মাছ শিকার করা এই অঞ্চলের একটি পুরোনো প্রথা।শুধু জেলেরাই নন, শৌখিন মৎস্যশিকারিরা পলো, বাদাই, খেয়াজাল, ঠেলাজাল প্রভৃতি ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ ধরেন এই উৎসবে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঔল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মিনিট্রাক ভাড়া করে আমরা ২৭ জনের একটি দল এখানে এসেছি মাছ ধরতে। খরাজাল দিয়ে রুই-কাতলা ধরেছি। তবে আশানুরূপ মাছ ধরতে পারিনি।’
পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার দত্তখারুয়া গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, তিনি চারটি শোল মাছ শিকার করতে পেরেছেন। বেশ আনন্দ লাগছে তাঁর। এখানে এত মানুষ একসঙ্গে মাছ ধরতে আসেন। এটা অনেক ভালো লাগে।
ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ী গ্রামের আলতাব হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহুলবিলে মাছ ধরার খবর পেয়ে ভোরবেলায় পলো নিয়ে তাঁরা বিলে হাজির হন; কিন্তু মাছ না পেয়ে তাঁদের খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, এভাবে শিকার করা মাছের বংশবিস্তারের জন্য ক্ষতিকর। তবু এলাকার মানুষ প্রতিবছর এভাবে মাছ শিকারের মাধ্যমে বাউত উৎসব উদ্যাপন করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বাউত উৎসব এই এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য। প্রতিবছর এই উৎসব হয়। এভাবে মাছ শিকার করায় যেন মাছের বংশবিস্তারে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে