শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ছায়ার হাওরের মাউতির বাঁধ ভেঙে যায় গত রোববার ভোরে। এতে ওই হাওরের ৩০ ভাগ বোরো ধান তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ছায়ার হাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।
প্রশাসনের দেওয়া এমন তথ্য ‘মনগড়া ও মিথ্যা’ উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর আন্দোলন নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ঢাকতে প্রশাসন মনগড়া তথ্য দিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শুরু থেকেই বাঁধের কাজে অনিয়মের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) গাফিলতিকে দায়ী করে আসছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কিন্তু তখন তাঁদের কথা কেউ কানে নেয়নি। এখন দুর্বল বাঁধ ভেঙে ক্ষতি যা হওয়ার কৃষকেরই হয়েছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুবে যাওয়া আধাপাকা ফসল ঘরে তুলতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন কৃষকেরা। নারী-পুরুষ সবাই মিলে নেমে পড়েছেন ধান কাটার কাজে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিশুরাও।
ছায়ার হাওরে সাড়ে ৮ কেয়ার জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন শাল্লা উপজেলার সুখলাইন গ্রামের কৃষক ডালিম দাস। এর মধ্যে আধ কেয়ার জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৮ কেয়ার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
শুধু ডালিম দাস নয়, হরিধন দাস, আনোয়ার মিয়াসহ আরও অসংখ্য কৃষক রয়েছেন, যাঁরা এখন পথে বসার উপক্রম।
সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা হরিধন দাস বলেন, ‘আমার ৮ বিঘা জমি। অনেক আশা নিয়ে জমিতে ধান আবাদ করেছিলাম। এখন সব পানিতে তলিয়ে গেছে। মাত্র দুই কেয়ার জমির ধান এখন কাঁচা কেটে ফেলছি। সন্তানদের নিয়ে কীভাবে চলব?’
৬০ কেয়ার জমিতে ধান আবাদ করেছিলেন সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া। তিনি বলেন, অর্ধেক জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকিগুলো পানির নিচে।
কৃষকেরা সবাই কেউ অর্ধেক, কেউ ৩০ ভাগ, আবার কেউ আরও বেশি ধান তলিয়ে যাওয়ার তথ্য দিলেও উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পুরো শাল্লা উপজেলায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে এবার। এর মধ্যে ছায়ার হাওরে শাল্লার অংশে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টর। কাটা হয়েছে ৪ হাজার ৩৭ হেক্টর জমির ধান। রোববার মাউতির বাঁধ ভেঙে হাওর ডুবে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
তবে কৃষি বিভাগের এমন ‘মনগড়া’ তথ্য মানতে পারেননি স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা। বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘হাওরে এখনো প্রায় ৪০ ভাগ ধান রয়েছে। আমরা শুরু থেকেই পাউবোর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এখন বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পাউবো আর কৃষি বিভাগ নিজেদের মনগড়া তথ্য দিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি নিজে হাওরে হাওরে গিয়ে দেখেছি, নারী-পুরুষ সবাই নিজেদের ধান আনতে হাওরে কাজ করছেন। কেউ নৌকায় আবার কেউ মাথায় বহন করছেন।’
এদিকে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আর দু-এক দিনের মধ্যে বাকি ধানগুলোও কাটার সুযোগ পাবেন কৃষকেরা। কারণ, নদীর পানির তেমন চাপ নেই। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি, ভেঙে যাওয়া বাঁধের ভাঙা বন্ধ করতে। আশা করছি, রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ছায়ার হাওরের মাউতির বাঁধ ভেঙে যায় গত রোববার ভোরে। এতে ওই হাওরের ৩০ ভাগ বোরো ধান তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ছায়ার হাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।
প্রশাসনের দেওয়া এমন তথ্য ‘মনগড়া ও মিথ্যা’ উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর আন্দোলন নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ঢাকতে প্রশাসন মনগড়া তথ্য দিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শুরু থেকেই বাঁধের কাজে অনিয়মের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) গাফিলতিকে দায়ী করে আসছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কিন্তু তখন তাঁদের কথা কেউ কানে নেয়নি। এখন দুর্বল বাঁধ ভেঙে ক্ষতি যা হওয়ার কৃষকেরই হয়েছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুবে যাওয়া আধাপাকা ফসল ঘরে তুলতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন কৃষকেরা। নারী-পুরুষ সবাই মিলে নেমে পড়েছেন ধান কাটার কাজে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিশুরাও।
ছায়ার হাওরে সাড়ে ৮ কেয়ার জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন শাল্লা উপজেলার সুখলাইন গ্রামের কৃষক ডালিম দাস। এর মধ্যে আধ কেয়ার জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৮ কেয়ার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
শুধু ডালিম দাস নয়, হরিধন দাস, আনোয়ার মিয়াসহ আরও অসংখ্য কৃষক রয়েছেন, যাঁরা এখন পথে বসার উপক্রম।
সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা হরিধন দাস বলেন, ‘আমার ৮ বিঘা জমি। অনেক আশা নিয়ে জমিতে ধান আবাদ করেছিলাম। এখন সব পানিতে তলিয়ে গেছে। মাত্র দুই কেয়ার জমির ধান এখন কাঁচা কেটে ফেলছি। সন্তানদের নিয়ে কীভাবে চলব?’
৬০ কেয়ার জমিতে ধান আবাদ করেছিলেন সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া। তিনি বলেন, অর্ধেক জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকিগুলো পানির নিচে।
কৃষকেরা সবাই কেউ অর্ধেক, কেউ ৩০ ভাগ, আবার কেউ আরও বেশি ধান তলিয়ে যাওয়ার তথ্য দিলেও উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পুরো শাল্লা উপজেলায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে এবার। এর মধ্যে ছায়ার হাওরে শাল্লার অংশে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টর। কাটা হয়েছে ৪ হাজার ৩৭ হেক্টর জমির ধান। রোববার মাউতির বাঁধ ভেঙে হাওর ডুবে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
তবে কৃষি বিভাগের এমন ‘মনগড়া’ তথ্য মানতে পারেননি স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা। বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘হাওরে এখনো প্রায় ৪০ ভাগ ধান রয়েছে। আমরা শুরু থেকেই পাউবোর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এখন বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পাউবো আর কৃষি বিভাগ নিজেদের মনগড়া তথ্য দিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি নিজে হাওরে হাওরে গিয়ে দেখেছি, নারী-পুরুষ সবাই নিজেদের ধান আনতে হাওরে কাজ করছেন। কেউ নৌকায় আবার কেউ মাথায় বহন করছেন।’
এদিকে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আর দু-এক দিনের মধ্যে বাকি ধানগুলোও কাটার সুযোগ পাবেন কৃষকেরা। কারণ, নদীর পানির তেমন চাপ নেই। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি, ভেঙে যাওয়া বাঁধের ভাঙা বন্ধ করতে। আশা করছি, রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে