সম্পাদকীয়
সত্যিই কি ৩৪০টি সিএনজিচালিত এসি বাস কিনবে বাংলাদেশ? গ্যাস-সংকটে যখন ভুগছে গোটা বিশ্ব, গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ-চালিত পরিবহনের দিকে ঝুঁকছে সবাই, তখন ৩৪০টি সিএনজিচালিত এসি বাস কেন কেনার প্রশ্নটি উঠছে, তার উত্তর মেলে না।
আলোচনাটাকে আমরা একটু বিস্তৃত করি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন, সংক্ষেপে আমরা যাকে বিআরটিসি বলে থাকি, তা যে কতটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে আছে, সেটা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন। আমাদের দেশে সাধারণত সরকারি সংস্থা যে রকম হয়, বিআরটিসি সে রকমই একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান জনগণের সেবা করবে নাকি জনগণই হন্যে হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সেবা করবে, সে প্রশ্নটিও আপাতত মীমাংসিত নয়। আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে গেলে মনে হয়, এগুলো জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত নয়, বরং এরাই জনগণের মালিক। এদের কৃপার ওপর জনগণের ভাগ্য নির্ভর করছে। যেকোনো সরকারি ব্যাংক আর বেসরকারি ব্যাংকে গেলেই সেবা পরিস্থিতির পার্থক্য যেমন বোঝা যায়, তেমনি মন্ত্রণালয়ে ফাইল কেন নড়ে না, সে প্রশ্নেরও সম্ভাব্য উত্তরের জন্য কেউ বসে থাকে না। এটাই বেশির ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিআরটিসিকে আলাদা কোনো অবস্থানে বসানোর প্রয়োজন নেই।
অতীত অভিজ্ঞতাকে সাক্ষী মেনে প্রথমেই বলতে হয়, নতুন চকচকে বাস এসে বিআরটিসির বহরে যুক্ত হলেও খুব অল্প দিনের মধ্যেই তার দৈন্যদশা হয়। নতুন পার্টসগুলো অকারণেই বিকল হয়ে যেতে থাকে। নতুন নতুন পার্টস কিনতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হয়। যাঁরা কর্মকর্তা, তাঁরা কোনো দিন নিজেদের পরিবহনে উঠে কখনো ভ্রমণ করেছেন কিনা জানি না, কিন্তু যদি করতেন, তাহলে দেখতে পেতেন, কতটা অনীহার সঙ্গে চলে এই পরিবহন। যাত্রীদের কতটা অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়।
যে মানসিকতায় চলছে এটা, তাতে বিআরটিসি একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে, এই মুহূর্তে এ রকম আশা করা অবান্তর। বিআরটিসির গোটা সিস্টেমটাই অচল হয়ে গেছে। সেবা বিষয়ে যে নতুন নতুন আইডিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বময়, তা আয়ত্ত করার কোনো সদিচ্ছা এই প্রতিষ্ঠানের আছে কি না, জানা নেই আমাদের। এ রকম পরিস্থিতিতে হাজার কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে ৩৪০টি এসি বাস কেনা তো কোনো ব্যাপারই না। বিআরটিসি থেকেই বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে, অথচ তারাই কিনা কিনছে সিএনজিচালিত বাস!
এ ধরনের কেনাকাটার টাকা যে জনগণের পকেট থেকে যায়, সে কথা এখন আর কেউ মনে রাখে না। সরকারের টাকা যে সম্রাটের খাজাঞ্চিখানা থেকে আসে না, সে কথাও বোধ হয় এখন কেউ বোঝে না। কৃষক, শ্রমিক বা কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবন চালায় যে মানুষ, তারই অর্জিত টাকা কর হিসেবে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারের কাছে। আর সেই টাকার এ রকম যথেচ্ছ ব্যবহার!
সরকারি সংস্থাগুলোর লোভী অসুস্থ মনকে নির্লোভ সুস্থ করে তুলতে না পারলে এই অপকর্ম চলতেই থাকবে।
সত্যিই কি ৩৪০টি সিএনজিচালিত এসি বাস কিনবে বাংলাদেশ? গ্যাস-সংকটে যখন ভুগছে গোটা বিশ্ব, গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ-চালিত পরিবহনের দিকে ঝুঁকছে সবাই, তখন ৩৪০টি সিএনজিচালিত এসি বাস কেন কেনার প্রশ্নটি উঠছে, তার উত্তর মেলে না।
আলোচনাটাকে আমরা একটু বিস্তৃত করি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন, সংক্ষেপে আমরা যাকে বিআরটিসি বলে থাকি, তা যে কতটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে আছে, সেটা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন। আমাদের দেশে সাধারণত সরকারি সংস্থা যে রকম হয়, বিআরটিসি সে রকমই একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান জনগণের সেবা করবে নাকি জনগণই হন্যে হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সেবা করবে, সে প্রশ্নটিও আপাতত মীমাংসিত নয়। আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে গেলে মনে হয়, এগুলো জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত নয়, বরং এরাই জনগণের মালিক। এদের কৃপার ওপর জনগণের ভাগ্য নির্ভর করছে। যেকোনো সরকারি ব্যাংক আর বেসরকারি ব্যাংকে গেলেই সেবা পরিস্থিতির পার্থক্য যেমন বোঝা যায়, তেমনি মন্ত্রণালয়ে ফাইল কেন নড়ে না, সে প্রশ্নেরও সম্ভাব্য উত্তরের জন্য কেউ বসে থাকে না। এটাই বেশির ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিআরটিসিকে আলাদা কোনো অবস্থানে বসানোর প্রয়োজন নেই।
অতীত অভিজ্ঞতাকে সাক্ষী মেনে প্রথমেই বলতে হয়, নতুন চকচকে বাস এসে বিআরটিসির বহরে যুক্ত হলেও খুব অল্প দিনের মধ্যেই তার দৈন্যদশা হয়। নতুন পার্টসগুলো অকারণেই বিকল হয়ে যেতে থাকে। নতুন নতুন পার্টস কিনতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হয়। যাঁরা কর্মকর্তা, তাঁরা কোনো দিন নিজেদের পরিবহনে উঠে কখনো ভ্রমণ করেছেন কিনা জানি না, কিন্তু যদি করতেন, তাহলে দেখতে পেতেন, কতটা অনীহার সঙ্গে চলে এই পরিবহন। যাত্রীদের কতটা অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়।
যে মানসিকতায় চলছে এটা, তাতে বিআরটিসি একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে, এই মুহূর্তে এ রকম আশা করা অবান্তর। বিআরটিসির গোটা সিস্টেমটাই অচল হয়ে গেছে। সেবা বিষয়ে যে নতুন নতুন আইডিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বময়, তা আয়ত্ত করার কোনো সদিচ্ছা এই প্রতিষ্ঠানের আছে কি না, জানা নেই আমাদের। এ রকম পরিস্থিতিতে হাজার কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে ৩৪০টি এসি বাস কেনা তো কোনো ব্যাপারই না। বিআরটিসি থেকেই বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে, অথচ তারাই কিনা কিনছে সিএনজিচালিত বাস!
এ ধরনের কেনাকাটার টাকা যে জনগণের পকেট থেকে যায়, সে কথা এখন আর কেউ মনে রাখে না। সরকারের টাকা যে সম্রাটের খাজাঞ্চিখানা থেকে আসে না, সে কথাও বোধ হয় এখন কেউ বোঝে না। কৃষক, শ্রমিক বা কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবন চালায় যে মানুষ, তারই অর্জিত টাকা কর হিসেবে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারের কাছে। আর সেই টাকার এ রকম যথেচ্ছ ব্যবহার!
সরকারি সংস্থাগুলোর লোভী অসুস্থ মনকে নির্লোভ সুস্থ করে তুলতে না পারলে এই অপকর্ম চলতেই থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে