ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে চাঁদা তুলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এক সপ্তাহ ধরে চলছে এসব চাঁদাবাজি। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, ‘জাতীয় অনুষ্ঠান বাবদ সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি ও কিছু সংগঠনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার বিত্তশালীরা এগিয়ে এসেছেন। এবার আমরা ভিন্নকিছু উপহার দিতে পারব। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ উপহার এবং তাঁদের সৌজন্যে মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে।’
ইউএনও দোষের কিছু না দেখলেও উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার মহাজন বলেছেন, ‘বিজয় আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। চাঁদা তুলে বিজয় দিবস উদ্যাপন করা স্বাধীনতার চেতনার মধ্যে পড়ে না। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না।’
জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা চত্বরে এ অনুষ্ঠান হবে। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সদরের একটি কনভেনশন সেন্টারে ১১০০ লোকের মেজবান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনের নাম করে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বনিম্ন ৫ হাজার এবং সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার একতা ব্রিকসের মালিক এস এম খসরু চৌধুরী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। এত টাকা দিয়ে তারা করবেটা কী?’
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল মুনসুর বলেন, ‘উপজেলায় ২২টি চালকল রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের প্রোগ্রামে আমরা চারটি চালকল থেকে ১০ হাজার করে এবং বাকি ১৮টি ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছি।’
করাতকলগুলো থেকেও চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা করাতকল মালিক সমিতির সদস্য শহীদুল আলম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই সরকারি
অনুষ্ঠানে আমাদের কাছ থেকে উপজেলা প্রশাসন টাকা নেয়। এ বছর উপজেলার সব করাতকল ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।’
বাদ যায়নি নিকাহ রেজিস্ট্রাররাও। উপজেলা নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি সমিতির সভাপতি কাজি মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘ইউএনও আমাদের ২১টি ইউনিয়নের কাজিদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। আমরা সবাই মিলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।’
উপজেলার ৫০ জন ঠিকাদার মিলে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান উপজেলা ঠিকাদার সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান টিটু।
সরকারি কর্মকর্তারাও ইউএনওর চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন। উপজেলা খাদ্যগুদামের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান হলে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। এ বছরও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি।’
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে চাঁদা তুলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এক সপ্তাহ ধরে চলছে এসব চাঁদাবাজি। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, ‘জাতীয় অনুষ্ঠান বাবদ সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি ও কিছু সংগঠনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার বিত্তশালীরা এগিয়ে এসেছেন। এবার আমরা ভিন্নকিছু উপহার দিতে পারব। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ উপহার এবং তাঁদের সৌজন্যে মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে।’
ইউএনও দোষের কিছু না দেখলেও উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার মহাজন বলেছেন, ‘বিজয় আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। চাঁদা তুলে বিজয় দিবস উদ্যাপন করা স্বাধীনতার চেতনার মধ্যে পড়ে না। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না।’
জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা চত্বরে এ অনুষ্ঠান হবে। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সদরের একটি কনভেনশন সেন্টারে ১১০০ লোকের মেজবান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনের নাম করে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বনিম্ন ৫ হাজার এবং সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার একতা ব্রিকসের মালিক এস এম খসরু চৌধুরী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। এত টাকা দিয়ে তারা করবেটা কী?’
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল মুনসুর বলেন, ‘উপজেলায় ২২টি চালকল রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের প্রোগ্রামে আমরা চারটি চালকল থেকে ১০ হাজার করে এবং বাকি ১৮টি ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছি।’
করাতকলগুলো থেকেও চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা করাতকল মালিক সমিতির সদস্য শহীদুল আলম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই সরকারি
অনুষ্ঠানে আমাদের কাছ থেকে উপজেলা প্রশাসন টাকা নেয়। এ বছর উপজেলার সব করাতকল ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।’
বাদ যায়নি নিকাহ রেজিস্ট্রাররাও। উপজেলা নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি সমিতির সভাপতি কাজি মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘ইউএনও আমাদের ২১টি ইউনিয়নের কাজিদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। আমরা সবাই মিলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।’
উপজেলার ৫০ জন ঠিকাদার মিলে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান উপজেলা ঠিকাদার সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান টিটু।
সরকারি কর্মকর্তারাও ইউএনওর চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন। উপজেলা খাদ্যগুদামের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান হলে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। এ বছরও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪