রবিউল আলম, ঢাকা
১৮ মাসের অপেক্ষা শেষে গত রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব স্কুল-কলেজ। সশরীরে ক্লাসে আসতে শিক্ষার্থীরা যেমন বাধভাঙা আনন্দে মেতেছে, তেমনি উচ্ছ্বসিত শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও। তবে এ আনন্দ যেন মলিন না হয়, সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর সর্বোচ্চ জোর দিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন দফায় দেওয়া হচ্ছে নানান নির্দেশনা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধির এসব নির্দেশনার প্রতিপালন শুধু শ্রেণিকক্ষেই সীমাবদ্ধ।
শ্রেণিকক্ষের বাইরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির কথা ভুলে যান শিক্ষার্থীরা। স্কুলের মূল ফটকের সামনে আগের মতোই জটলা পাকাচ্ছেন অভিভাবকেরা। শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করিয়ে দূরে অবস্থান করতে বারবার অনুরোধ করা হলেও অভিভাবকেরা এতে একেবারেই কর্ণপাত করছেন না।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন শেষে যে চিত্র দেখা গেছে, তা সত্যি দুশ্চিন্তার। স্কুলগুলোর সামনে অভিভাবকদের একটা অংশের ভিড় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকেরা। তাঁরা বলছেন, স্কুলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও বাইরে যেই-সেই অবস্থা। স্বয়ং অভিভাবকেরাই এখন সন্তানদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তবে স্কুলগুলোতে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা আসছেন।
গতকাল সকালে ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় ইট, সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। স্কুল মাঠ হাঁটু পরিমাণ ঘাসে পরিপূর্ণ। স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঠিকভাবে পাঠদান চললেও স্কুলের প্রধান ফটকের বাইরে অভিভাবকেরা জটলা ফাঁকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্কুল খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হলেও এখনো মাঠ কেন অপরিচ্ছন্ন জানতে চাইলে স্কুলটির অধ্যক্ষ মাহবুবা হক বলেন, ঘাস কাটা হলে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে নেমে পড়বে তাই এখনো কাটা হয়নি। এখন পরিষ্কার করার জন্য ঘাসগুলো কাটা হচ্ছে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের জটলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভেতরে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর বেশ কড়াকড়ি দিয়েছি। এখন বাইরে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার দায়িত্বটা তো তাদের।’
শুধু ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল নয়, একই চিত্র দেখা গেছে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও। এ স্কুলের মাঠের দক্ষিণ পাশে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। এ ছাড়া স্কুলের প্রধান ফটকের সামনেই দুপুর ১২টায় ৫০ জনের মতো অভিভাবককে খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম বলেন, সিটি করপোরেশনকে বারবার বলেছি ময়লা নিতে কিন্তু তারা স্কুলের ভেতরের ময়লা নিতে নারাজ। আমি এ বিষয়ে পুলিশ এবং কাউন্সিলরকেও জানিয়েছি যে, শ্রেণিকক্ষে অনেক ময়লা হচ্ছে এগুলো দূর করতে হবে কিন্তু এ নিয়ে তারা কোন সমাধান দিচ্ছে না। মাইক দিয়ে অভিভাবকদের বারবার স্কুলের সামনে থেকে দূরে থাকতে বলেছি তাও তারা শুনছেন না।
স্কুলের সামনে আড্ডারত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের ফাইভে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, দুই ঘণ্টার জন্য বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসি তাই বাসায় যাওয়া আবার কিছুক্ষণ পর আসতে সময় চলে যায়। বাচ্চাকে তো আর একা রেখে যেতে পারি না তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে।
স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন। তবে বর্তমানে স্কুলগুলোতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকছে। এ বিষয়ে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে আসছেন। করোনার আগেও সব শিক্ষার্থী যে ক্লাসে আসত বিষয়টি তেমন না। কিছু অভিভাবক হয়তো পর্যবেক্ষণ করছেন তাই সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ঝরে পড়া বলতে যা বোঝায় সেটা এখানে নেই বললেই চলে।
১৮ মাসের অপেক্ষা শেষে গত রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব স্কুল-কলেজ। সশরীরে ক্লাসে আসতে শিক্ষার্থীরা যেমন বাধভাঙা আনন্দে মেতেছে, তেমনি উচ্ছ্বসিত শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও। তবে এ আনন্দ যেন মলিন না হয়, সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর সর্বোচ্চ জোর দিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন দফায় দেওয়া হচ্ছে নানান নির্দেশনা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধির এসব নির্দেশনার প্রতিপালন শুধু শ্রেণিকক্ষেই সীমাবদ্ধ।
শ্রেণিকক্ষের বাইরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির কথা ভুলে যান শিক্ষার্থীরা। স্কুলের মূল ফটকের সামনে আগের মতোই জটলা পাকাচ্ছেন অভিভাবকেরা। শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করিয়ে দূরে অবস্থান করতে বারবার অনুরোধ করা হলেও অভিভাবকেরা এতে একেবারেই কর্ণপাত করছেন না।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন শেষে যে চিত্র দেখা গেছে, তা সত্যি দুশ্চিন্তার। স্কুলগুলোর সামনে অভিভাবকদের একটা অংশের ভিড় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকেরা। তাঁরা বলছেন, স্কুলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও বাইরে যেই-সেই অবস্থা। স্বয়ং অভিভাবকেরাই এখন সন্তানদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তবে স্কুলগুলোতে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা আসছেন।
গতকাল সকালে ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় ইট, সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। স্কুল মাঠ হাঁটু পরিমাণ ঘাসে পরিপূর্ণ। স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঠিকভাবে পাঠদান চললেও স্কুলের প্রধান ফটকের বাইরে অভিভাবকেরা জটলা ফাঁকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্কুল খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হলেও এখনো মাঠ কেন অপরিচ্ছন্ন জানতে চাইলে স্কুলটির অধ্যক্ষ মাহবুবা হক বলেন, ঘাস কাটা হলে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে নেমে পড়বে তাই এখনো কাটা হয়নি। এখন পরিষ্কার করার জন্য ঘাসগুলো কাটা হচ্ছে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের জটলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভেতরে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর বেশ কড়াকড়ি দিয়েছি। এখন বাইরে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার দায়িত্বটা তো তাদের।’
শুধু ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল নয়, একই চিত্র দেখা গেছে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও। এ স্কুলের মাঠের দক্ষিণ পাশে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। এ ছাড়া স্কুলের প্রধান ফটকের সামনেই দুপুর ১২টায় ৫০ জনের মতো অভিভাবককে খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বেগম বলেন, সিটি করপোরেশনকে বারবার বলেছি ময়লা নিতে কিন্তু তারা স্কুলের ভেতরের ময়লা নিতে নারাজ। আমি এ বিষয়ে পুলিশ এবং কাউন্সিলরকেও জানিয়েছি যে, শ্রেণিকক্ষে অনেক ময়লা হচ্ছে এগুলো দূর করতে হবে কিন্তু এ নিয়ে তারা কোন সমাধান দিচ্ছে না। মাইক দিয়ে অভিভাবকদের বারবার স্কুলের সামনে থেকে দূরে থাকতে বলেছি তাও তারা শুনছেন না।
স্কুলের সামনে আড্ডারত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের ফাইভে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, দুই ঘণ্টার জন্য বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসি তাই বাসায় যাওয়া আবার কিছুক্ষণ পর আসতে সময় চলে যায়। বাচ্চাকে তো আর একা রেখে যেতে পারি না তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে।
স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন। তবে বর্তমানে স্কুলগুলোতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকছে। এ বিষয়ে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে আসছেন। করোনার আগেও সব শিক্ষার্থী যে ক্লাসে আসত বিষয়টি তেমন না। কিছু অভিভাবক হয়তো পর্যবেক্ষণ করছেন তাই সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ঝরে পড়া বলতে যা বোঝায় সেটা এখানে নেই বললেই চলে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে