বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
মৌসুমেও অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে চালের দাম। তাই দাম সহনীয় রাখতে চালের শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর কথা খোদ খাদ্যমন্ত্রীই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে শুল্ক কমানোর দায়িত্বে থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর শুল্ক বিভাগ এখনো এ-সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও তাদের কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চালের এখন ভরা মৌসুম। এ সময়ে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। তবে মৌসুমের শুরু থেকেই দেখা যায়, চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত বুধবার ডিসি সম্মেলন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের কাছে চালের এখন যে পরিমাণ মজুত আছে, তা সর্বকালের সর্ববৃহৎ মজুত। তারপরও কেন দাম বাড়ছে-এর সদুত্তর না দিলেও তিনি চালের দাম সহনীয় রাখতে আবারও শুল্ক কমিয়ে আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান। এ জন্য শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তবে শুল্ক কমানোর পুরো কর্তৃত্ব এনবিআরের শুল্ক বিভাগের। খাদ্য মন্ত্রণালয় যদি চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিতে চায়, তবে তা এনবিআরের মাধ্যমে হতে হয়। এ ব্যাপারে এনবিআরের শুল্ক বিভাগে যোগাযোগ করে জানা যায়, চালের শুল্ক কমানোর চিন্তা তাদের দিক থেকে নেই। রাজস্বের স্বার্থেই তারা শুল্ক কমানোর পক্ষে নয়। তা ছাড়া খাদ্য বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো চিঠি বা প্রস্তাব আসেনি। সুতরাং চালের শুল্ক কমানোর ব্যাপারে কোনো আয়োজন বা পদক্ষেপ তাদের দিক থেকে নেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যদি সরকারের শীর্ষ মহল থেকে এনবিআরে প্রস্তাব আসে, সে ক্ষেত্রে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই তাঁরা প্রস্তাব তৈরি করে তা অনুমোদনের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুল্ক কমিয়ে পণ্যের দাম কমানোর রেকর্ড ভালো নয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য শুল্ক কমানোর দাবি করেন। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নয়। বেলা শেষে সরকার রাজস্ব হারায়, আবার বাজারে দামও কমে না। এর সঙ্গে মুদ্রা পাচারের ঝুঁকিও থাকে। তাই বিষয়টির বাস্তবতা বিবেচনা করে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ ওই কর্মকর্তার।
সরকার বিভিন্ন সময়ে দাম সহনীয় রাখতে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। সব শেষ গত বছরের আগস্ট মাসে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। সেদ্ধ ও আতপ চালে এই শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়। এ সুযোগ গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। এরপর তা অকার্যকর হয়ে যায়। এখন যাঁরা চাল আমদানি করছেন, তাঁরা সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্ক-কর দিয়েই চাল আনছেন।
এ প্রসঙ্গে একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখন যে শুল্ক আছে, সেটাকে আরও কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাতে আমাদের কৃষকেরা সুরক্ষিত থাকবে।’
ড. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে প্রায় ১৬ লাখ টন চাল মজুত আছে। এখন ৫-৬ লাখ টন চাল আমদানির প্রয়োজন আছে। এটা সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই আসতে পারে। এটার জন্য শুল্ক কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’
মৌসুমেও অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে চালের দাম। তাই দাম সহনীয় রাখতে চালের শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর কথা খোদ খাদ্যমন্ত্রীই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে শুল্ক কমানোর দায়িত্বে থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর শুল্ক বিভাগ এখনো এ-সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও তাদের কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চালের এখন ভরা মৌসুম। এ সময়ে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। তবে মৌসুমের শুরু থেকেই দেখা যায়, চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত বুধবার ডিসি সম্মেলন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের কাছে চালের এখন যে পরিমাণ মজুত আছে, তা সর্বকালের সর্ববৃহৎ মজুত। তারপরও কেন দাম বাড়ছে-এর সদুত্তর না দিলেও তিনি চালের দাম সহনীয় রাখতে আবারও শুল্ক কমিয়ে আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান। এ জন্য শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তবে শুল্ক কমানোর পুরো কর্তৃত্ব এনবিআরের শুল্ক বিভাগের। খাদ্য মন্ত্রণালয় যদি চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিতে চায়, তবে তা এনবিআরের মাধ্যমে হতে হয়। এ ব্যাপারে এনবিআরের শুল্ক বিভাগে যোগাযোগ করে জানা যায়, চালের শুল্ক কমানোর চিন্তা তাদের দিক থেকে নেই। রাজস্বের স্বার্থেই তারা শুল্ক কমানোর পক্ষে নয়। তা ছাড়া খাদ্য বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো চিঠি বা প্রস্তাব আসেনি। সুতরাং চালের শুল্ক কমানোর ব্যাপারে কোনো আয়োজন বা পদক্ষেপ তাদের দিক থেকে নেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যদি সরকারের শীর্ষ মহল থেকে এনবিআরে প্রস্তাব আসে, সে ক্ষেত্রে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই তাঁরা প্রস্তাব তৈরি করে তা অনুমোদনের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুল্ক কমিয়ে পণ্যের দাম কমানোর রেকর্ড ভালো নয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য শুল্ক কমানোর দাবি করেন। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নয়। বেলা শেষে সরকার রাজস্ব হারায়, আবার বাজারে দামও কমে না। এর সঙ্গে মুদ্রা পাচারের ঝুঁকিও থাকে। তাই বিষয়টির বাস্তবতা বিবেচনা করে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ ওই কর্মকর্তার।
সরকার বিভিন্ন সময়ে দাম সহনীয় রাখতে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। সব শেষ গত বছরের আগস্ট মাসে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। সেদ্ধ ও আতপ চালে এই শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়। এ সুযোগ গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। এরপর তা অকার্যকর হয়ে যায়। এখন যাঁরা চাল আমদানি করছেন, তাঁরা সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্ক-কর দিয়েই চাল আনছেন।
এ প্রসঙ্গে একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখন যে শুল্ক আছে, সেটাকে আরও কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাতে আমাদের কৃষকেরা সুরক্ষিত থাকবে।’
ড. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে প্রায় ১৬ লাখ টন চাল মজুত আছে। এখন ৫-৬ লাখ টন চাল আমদানির প্রয়োজন আছে। এটা সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই আসতে পারে। এটার জন্য শুল্ক কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে