নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না ফরিদপুরের মধুখালী-মাগুরা ভায়া কামারখালী ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প। তবে সময় বাড়ানো হলেও প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়বে না বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

ওই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের সময় গতকাল বেলা ৩টার দিকে কামারখালী বাজারসংলগ্ন নির্মাণাধীন কামারখালী রেলস্টেশনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের নভেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ করার জটিলতা, এলাকার বাস্তবতা, সর্বোপরি করোনার কারণে কাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি।

মন্ত্রী আরও বলেন, সময়মতো কাজ শেষ করা না গেলে এর সময় বাড়ানো হবে, তবে এ জন্য প্রকল্প ব্যয় বাড়াবে না সরকার। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর দাবি করেছে। সেটা সরকার বিবেচনা করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যয় দিয়ে। তাই বিশ্ববাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম কতটা বেড়েছে, তা সরকারের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই।

এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মীর নাসির হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ৮৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে মধুমতি নদীর ওপর ২ হাজার ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণকাজ করা হচ্ছে ৪৪৮ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।