সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় ক্রিসেন্ট ও উন্নয়ন পরিষদ নামে দুই এনজিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাস বিষয়ে ভিজিডি সদস্যদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের নামে এ দুটি এনজিও কোনো কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্রিসেন্ট এনজিও কলারোয়া উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৪২ জন ভিজিডি ভাতাভোগী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
পরবর্তীতে উন্নয়ন পরিষদ নামে এনজিও প্রতিষ্ঠানটি যুক্ত হয় এ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীদের জনপ্রতি ৮৫০ টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হিসাব অনুযায়ী তাঁরা মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পায় ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা। যার সব টাকাই লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই দুই এনজিওর প্রতিটি ভিজিডি ভাতাভোগীকে ভাতা পাওয়াকালীন ১৩ দিন সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ৭ দিন রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে উপজেলার কোথাও কোনো ভেন্যু বা কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি চুক্তিবদ্ধ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরও জানে না প্রশিক্ষণের খবর। তারা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে প্রশিক্ষণ শিডিউল জমা দিয়েছে সে মোতাবেক উপজেলার কোনো ইউনিয়নেই ভেন্যু বা ভাতাভোগী প্রশিক্ষণার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিসেন্টের পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকের কাছে মুঠোফোনে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের জন্য আমার কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে, যদি প্রশিক্ষণ কোথাও না দেয়, তাহলে বিষয়গুলো তদারকি করা হবে।’
এ বিষয়ে অপর এনজিও উন্নয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (২০২০-২১ অর্থ বছর) আব্দুস সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলার সময় নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর প্রশিক্ষণ হয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে এ বছর ক্রিসেন্ট নামক একটি এনজিও প্রশিক্ষণের শিডিউল জমা দিয়ে গেছে। তবে তাঁদের শিডিউল অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভেন্যুগুলোতে ফোন দিয়ে কোনো প্রশিক্ষণের খবর পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক একেএম শফিউল আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনজিওগুলো আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ার কারণে আমাদের কাছে জবাবদিহিও করতে চায় না। তাদের বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করেন। তা ছাড়া আমাদের তদারকি করার মতো কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় আমরাও সেভাবে তদারকি করতে পারি না।’
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে অবগত নই, তবে আমি সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জানার জন্য আমার দপ্তরে আসতে বলেছি। যদি তাঁরা প্রশিক্ষণ না দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাতক্ষীরায় ক্রিসেন্ট ও উন্নয়ন পরিষদ নামে দুই এনজিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাস বিষয়ে ভিজিডি সদস্যদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের নামে এ দুটি এনজিও কোনো কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্রিসেন্ট এনজিও কলারোয়া উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৪২ জন ভিজিডি ভাতাভোগী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
পরবর্তীতে উন্নয়ন পরিষদ নামে এনজিও প্রতিষ্ঠানটি যুক্ত হয় এ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীদের জনপ্রতি ৮৫০ টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হিসাব অনুযায়ী তাঁরা মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পায় ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা। যার সব টাকাই লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই দুই এনজিওর প্রতিটি ভিজিডি ভাতাভোগীকে ভাতা পাওয়াকালীন ১৩ দিন সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ৭ দিন রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে উপজেলার কোথাও কোনো ভেন্যু বা কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি চুক্তিবদ্ধ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরও জানে না প্রশিক্ষণের খবর। তারা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে প্রশিক্ষণ শিডিউল জমা দিয়েছে সে মোতাবেক উপজেলার কোনো ইউনিয়নেই ভেন্যু বা ভাতাভোগী প্রশিক্ষণার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিসেন্টের পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকের কাছে মুঠোফোনে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের জন্য আমার কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে, যদি প্রশিক্ষণ কোথাও না দেয়, তাহলে বিষয়গুলো তদারকি করা হবে।’
এ বিষয়ে অপর এনজিও উন্নয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (২০২০-২১ অর্থ বছর) আব্দুস সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলার সময় নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর প্রশিক্ষণ হয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে এ বছর ক্রিসেন্ট নামক একটি এনজিও প্রশিক্ষণের শিডিউল জমা দিয়ে গেছে। তবে তাঁদের শিডিউল অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভেন্যুগুলোতে ফোন দিয়ে কোনো প্রশিক্ষণের খবর পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক একেএম শফিউল আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনজিওগুলো আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ার কারণে আমাদের কাছে জবাবদিহিও করতে চায় না। তাদের বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করেন। তা ছাড়া আমাদের তদারকি করার মতো কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় আমরাও সেভাবে তদারকি করতে পারি না।’
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে অবগত নই, তবে আমি সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জানার জন্য আমার দপ্তরে আসতে বলেছি। যদি তাঁরা প্রশিক্ষণ না দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে