অজয় দাশগুপ্ত
জাতির মূল চাওয়া আসলে কী? যেকোনো জাতি যখন স্বাধীনতা পায় বা লাভ করে, তখন থেকে তার উদ্দেশ্য বা আদর্শে থাকে দেশের মঙ্গল। এই মঙ্গলবোধটা না থাকলেই বিপদ। যাদের আছে, তারা ধীরে ধীরে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের জায়গা করে নেয়। তাদের জন্য অন্য দেশ ও জাতির সম্মান আর ভালোবাসা বাড়তে থাকে নদীর পানির মতো। জোর করে বা ভয় লাগিয়ে এসব আদায় করা যায় না। এগুলো আসে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা থেকে। আমাদের বাংলাদেশ একাত্তরে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেটাই আমাদের ভিত্তি।
আজকাল বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পর শোনা যায় আমরা আবারও স্বাধীন হয়েছি। কথাটা একদিক থেকে অসত্য নয়। বুকের ওপর চেপে বসা পাথরের মতো ভারী শাসন স্বৈরাচারের নাগপাশ থেকে মুক্তিকে আপনি স্বাধীনতা বলতেই পারেন। কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচার বা একনায়কের শাসন মানে একজন মানুষ বা তার সাঙ্গপাঙ্গদের শাসন। জায়গা বা দেশ বিশেষে পরিবারের শাসন। আমাদের বেলায়ও তা-ই হয়েছিল। মূলত পরিবার আর ব্যক্তি মিলেই একনায়ক হয়ে ওঠায় পালানোর মতো অপমানজনক বাস্তবতা মানতে বাধ্য হয়েছে তারা। কিন্তু এই তারাই তো সব নয়। সব নয় বলেই সিংহভাগ মানুষ বিরোধিতা করেছে। পথে নেমেছিল। তাহলে মানুষের অর্জিত স্বাধীনতা পদ দলনকারী মুষ্টিমেয়র জন্য কেন আমাদের একাত্তরের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে? কেন আমরা সেই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের আপন মনে করব না? আমি বলছি না যে কেউ তা মনে করছে না। কিন্তু আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মিডিয়ায় চোখ রাখলেই মনে হয় একাত্তর কি তার আলো হারাচ্ছে? জোর করে কি নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই আলো বা দ্যুতি?
আমার বা আমাদের এই ধারণা অমূলক হলে খুশি হব। সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি না থাকলে আরেকটি মৃত। আপনাদের হয়তো মনে থাকতে পারে রাশিয়ার সেই বিখ্যাত গল্প। ক্রুশ্চেভ তখন প্রধানমন্ত্রী, পলিটব্যুরোর এক সভায় তিনি দুঃখ করে বলছিলেন, ‘অনেক কথা আমরা স্তালিনের আমলে বলতে পারতাম না।’ এমন সময় নীরব সভাস্থলের মাঝখান থেকে কে যেন বলে উঠেছিল: ‘কেন, বলতে পারতেন না কেন?’ ভাষণ থামিয়ে ক্রুশ্চেভ জানতে চাইলেন, ‘কে বললেন এ কথা?’ কেউ কিছু বলে না। থমথমে নীরবতা। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনি দাঁড়ান, আপনার কোনো অসুবিধা হবে না। বরং আপনাকে দেখে অনেকেই সাহস পাবে।’ তবু কেউ দাঁড়াল না। কয়েকবার বলার পর তিনি হাসলেন। হাসতে হাসতে বললেন, ‘ঠিক একই কারণে আমরাও তখন বলতে সাহস পেতাম না।’
স্বাধীনতার জন্য দুটি বিষয় অনিবার্য। একটি ভোট, আরেকটি কথা বলার অধিকার। কথা বলা মানে কিন্তু তোতার মতো শেখানো বুলি আওড়ানো নয়। গঠনমূলক আর সত্য বলার অধিকারের নামই মুক্তি। সেই জায়গা থেকে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সত্য বলতে দেয়নি। কেউ আংশিক, কেউ খণ্ডিত, কেউ তাদের মনের মতো করে বলার অধিকার দিলেও মূল কথা বলতে পারা ছিল কঠিন, যার কারণে একাধিক সরকারকে বিদায় দিতে বাধ্য করেছে জনগণ। তার পরও কারও কোনো শিক্ষা হয়নি। কেউ তা থেকে পাঠ নেয়নি। নিলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো বাস্তবতা দেখতে হতো না।
দেশ বা জাতির মূল আকাঙ্ক্ষা আসলে কী? মানুষ যখন সুশাসন চায় বা কামনা করে, তখন তার মাথায় থাকে বাজারের জিনিসপত্রের দাম, রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা, জানমালের নিরাপত্তা আর বলা বা চলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশে যখনই কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়, তখনই জনগণ উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, যা খুবই স্বাভাবিক। বন্দিদশা থেকে মুক্তির মতো আচরণ করা মানুষগুলো কদিন পরই আবার হতাশার সাগরে ডুবতে শুরু করে দেয়। ওই যে বললাম, কোনটা আসলে জরুরি? বাংলা ভাষার পাশাপাশি উর্দু চালু করা? বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউকে আবার জিন্নাহ অ্যাভিনিউ করা? নাকি আইনের শাসন চালু করা? যারা পরাজিত হয়, তাদের অনেক বাস্তবতা মানতে হয় এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাদের আহাজারি বা কান্নার কথা বলছি না। তাদের এই কান্না বা শোক কবে শেষ হবে তার বিচারক—সময়। এর মধ্যে তাদের কী শাস্তি বা প্রতিদান পেতে হয়ে, সেটাও সময়ই বলে দেবে। আমরা বলছি জরুরি বিষয়গুলোর কথা। পরিবর্তন, পরিমার্জনের চেয়ে দরকার মানুষকে ভালো রাখা। মানুষ যেন অনুভব করে যে তারা আগের চেয়ে নিরাপদ।
আশা নিয়েই দেশ স্বাধীন হয়েছিল একাত্তরে। সেই আশার ব্যতিক্রম বা ভরাডুবিতেই বারবার মানুষ প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রতিহিংসা জয়ী হয়। মনে করতে পারেন ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের কথা। তিনি নিহত হওয়ার পর ভারতজুড়ে নৈরাজ্য আর হানাহানিতে বহু নিরীহ শিখ নিহত হন। সেই দাঙ্গা প্রশমনে সবচেয়ে চমৎকার ভূমিকা রেখেছিলেন সে দেশের সুদর্শন নেতা, পরবর্তীকালে বোমায় নিহত হওয়া ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। রাজীব জানতেন, এক চোখের বদলে অন্য চোখ নেওয়ার ধারা থাকলে মানুষ অন্ধ হতে বাধ্য। একসময় পুরো জাতিই অন্ধ হয়ে যাবে। তাই তিনি শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন, ‘আমার মা নিহত হয়েছেন। আমি যদি শান্ত থাকতে পারি, তোমাকেও থাকতে হবে।’ দাঙ্গা থামানোর জন্য এমন শান্তি স্থাপনের নামই নেতৃত্ব।
স্বাধীনতা আমাদের এমন শিক্ষা দিক, যাতে আমরা বুঝতে পারি পাহাড়ি-সমতল বা যেকোনো এলাকার স্বদেশি মানেই আমার আত্মীয়। যে দলকানা অন্ধ রাজনীতি হেলমেটের ভেতর দিয়ে নিজেদের শক্তি বজায় রাখতে চেয়েছিল, তারা এখন জেনে গেছে হেলমেটের তলায় আসলে কী বা কারা ছিল। না, লুকোচুরি নয়। সে কারণেই আমরা চাই স্বচ্ছতা। দেশকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য, মুক্ত করার জন্য যাঁরা জীবন দিলেন, তাঁদের প্রতি ভালোবাসা। আর মানুষকে নির্ভয়ে বাঁচতে দেওয়ার নামই যে স্বাধীনতা—প্রাজ্ঞ প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যরা তা বোঝেন।
একাত্তর থেকে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা আর মুক্তির সংজ্ঞা নির্ধারিত হলেই আমরা ভালো থাকব।
লেখক: অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
জাতির মূল চাওয়া আসলে কী? যেকোনো জাতি যখন স্বাধীনতা পায় বা লাভ করে, তখন থেকে তার উদ্দেশ্য বা আদর্শে থাকে দেশের মঙ্গল। এই মঙ্গলবোধটা না থাকলেই বিপদ। যাদের আছে, তারা ধীরে ধীরে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের জায়গা করে নেয়। তাদের জন্য অন্য দেশ ও জাতির সম্মান আর ভালোবাসা বাড়তে থাকে নদীর পানির মতো। জোর করে বা ভয় লাগিয়ে এসব আদায় করা যায় না। এগুলো আসে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা থেকে। আমাদের বাংলাদেশ একাত্তরে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেটাই আমাদের ভিত্তি।
আজকাল বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পর শোনা যায় আমরা আবারও স্বাধীন হয়েছি। কথাটা একদিক থেকে অসত্য নয়। বুকের ওপর চেপে বসা পাথরের মতো ভারী শাসন স্বৈরাচারের নাগপাশ থেকে মুক্তিকে আপনি স্বাধীনতা বলতেই পারেন। কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচার বা একনায়কের শাসন মানে একজন মানুষ বা তার সাঙ্গপাঙ্গদের শাসন। জায়গা বা দেশ বিশেষে পরিবারের শাসন। আমাদের বেলায়ও তা-ই হয়েছিল। মূলত পরিবার আর ব্যক্তি মিলেই একনায়ক হয়ে ওঠায় পালানোর মতো অপমানজনক বাস্তবতা মানতে বাধ্য হয়েছে তারা। কিন্তু এই তারাই তো সব নয়। সব নয় বলেই সিংহভাগ মানুষ বিরোধিতা করেছে। পথে নেমেছিল। তাহলে মানুষের অর্জিত স্বাধীনতা পদ দলনকারী মুষ্টিমেয়র জন্য কেন আমাদের একাত্তরের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে? কেন আমরা সেই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের আপন মনে করব না? আমি বলছি না যে কেউ তা মনে করছে না। কিন্তু আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মিডিয়ায় চোখ রাখলেই মনে হয় একাত্তর কি তার আলো হারাচ্ছে? জোর করে কি নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই আলো বা দ্যুতি?
আমার বা আমাদের এই ধারণা অমূলক হলে খুশি হব। সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি না থাকলে আরেকটি মৃত। আপনাদের হয়তো মনে থাকতে পারে রাশিয়ার সেই বিখ্যাত গল্প। ক্রুশ্চেভ তখন প্রধানমন্ত্রী, পলিটব্যুরোর এক সভায় তিনি দুঃখ করে বলছিলেন, ‘অনেক কথা আমরা স্তালিনের আমলে বলতে পারতাম না।’ এমন সময় নীরব সভাস্থলের মাঝখান থেকে কে যেন বলে উঠেছিল: ‘কেন, বলতে পারতেন না কেন?’ ভাষণ থামিয়ে ক্রুশ্চেভ জানতে চাইলেন, ‘কে বললেন এ কথা?’ কেউ কিছু বলে না। থমথমে নীরবতা। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনি দাঁড়ান, আপনার কোনো অসুবিধা হবে না। বরং আপনাকে দেখে অনেকেই সাহস পাবে।’ তবু কেউ দাঁড়াল না। কয়েকবার বলার পর তিনি হাসলেন। হাসতে হাসতে বললেন, ‘ঠিক একই কারণে আমরাও তখন বলতে সাহস পেতাম না।’
স্বাধীনতার জন্য দুটি বিষয় অনিবার্য। একটি ভোট, আরেকটি কথা বলার অধিকার। কথা বলা মানে কিন্তু তোতার মতো শেখানো বুলি আওড়ানো নয়। গঠনমূলক আর সত্য বলার অধিকারের নামই মুক্তি। সেই জায়গা থেকে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সত্য বলতে দেয়নি। কেউ আংশিক, কেউ খণ্ডিত, কেউ তাদের মনের মতো করে বলার অধিকার দিলেও মূল কথা বলতে পারা ছিল কঠিন, যার কারণে একাধিক সরকারকে বিদায় দিতে বাধ্য করেছে জনগণ। তার পরও কারও কোনো শিক্ষা হয়নি। কেউ তা থেকে পাঠ নেয়নি। নিলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো বাস্তবতা দেখতে হতো না।
দেশ বা জাতির মূল আকাঙ্ক্ষা আসলে কী? মানুষ যখন সুশাসন চায় বা কামনা করে, তখন তার মাথায় থাকে বাজারের জিনিসপত্রের দাম, রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা, জানমালের নিরাপত্তা আর বলা বা চলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশে যখনই কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়, তখনই জনগণ উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, যা খুবই স্বাভাবিক। বন্দিদশা থেকে মুক্তির মতো আচরণ করা মানুষগুলো কদিন পরই আবার হতাশার সাগরে ডুবতে শুরু করে দেয়। ওই যে বললাম, কোনটা আসলে জরুরি? বাংলা ভাষার পাশাপাশি উর্দু চালু করা? বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউকে আবার জিন্নাহ অ্যাভিনিউ করা? নাকি আইনের শাসন চালু করা? যারা পরাজিত হয়, তাদের অনেক বাস্তবতা মানতে হয় এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাদের আহাজারি বা কান্নার কথা বলছি না। তাদের এই কান্না বা শোক কবে শেষ হবে তার বিচারক—সময়। এর মধ্যে তাদের কী শাস্তি বা প্রতিদান পেতে হয়ে, সেটাও সময়ই বলে দেবে। আমরা বলছি জরুরি বিষয়গুলোর কথা। পরিবর্তন, পরিমার্জনের চেয়ে দরকার মানুষকে ভালো রাখা। মানুষ যেন অনুভব করে যে তারা আগের চেয়ে নিরাপদ।
আশা নিয়েই দেশ স্বাধীন হয়েছিল একাত্তরে। সেই আশার ব্যতিক্রম বা ভরাডুবিতেই বারবার মানুষ প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রতিহিংসা জয়ী হয়। মনে করতে পারেন ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের কথা। তিনি নিহত হওয়ার পর ভারতজুড়ে নৈরাজ্য আর হানাহানিতে বহু নিরীহ শিখ নিহত হন। সেই দাঙ্গা প্রশমনে সবচেয়ে চমৎকার ভূমিকা রেখেছিলেন সে দেশের সুদর্শন নেতা, পরবর্তীকালে বোমায় নিহত হওয়া ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। রাজীব জানতেন, এক চোখের বদলে অন্য চোখ নেওয়ার ধারা থাকলে মানুষ অন্ধ হতে বাধ্য। একসময় পুরো জাতিই অন্ধ হয়ে যাবে। তাই তিনি শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন, ‘আমার মা নিহত হয়েছেন। আমি যদি শান্ত থাকতে পারি, তোমাকেও থাকতে হবে।’ দাঙ্গা থামানোর জন্য এমন শান্তি স্থাপনের নামই নেতৃত্ব।
স্বাধীনতা আমাদের এমন শিক্ষা দিক, যাতে আমরা বুঝতে পারি পাহাড়ি-সমতল বা যেকোনো এলাকার স্বদেশি মানেই আমার আত্মীয়। যে দলকানা অন্ধ রাজনীতি হেলমেটের ভেতর দিয়ে নিজেদের শক্তি বজায় রাখতে চেয়েছিল, তারা এখন জেনে গেছে হেলমেটের তলায় আসলে কী বা কারা ছিল। না, লুকোচুরি নয়। সে কারণেই আমরা চাই স্বচ্ছতা। দেশকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য, মুক্ত করার জন্য যাঁরা জীবন দিলেন, তাঁদের প্রতি ভালোবাসা। আর মানুষকে নির্ভয়ে বাঁচতে দেওয়ার নামই যে স্বাধীনতা—প্রাজ্ঞ প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যরা তা বোঝেন।
একাত্তর থেকে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা আর মুক্তির সংজ্ঞা নির্ধারিত হলেই আমরা ভালো থাকব।
লেখক: অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে